রেচন থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Questions and answers from Excretion | Part-01

Contents

    নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে দেওয়া হয়েছে রেচন থেকে প্রশ্ন এবং উত্তর। দেখুন।

    www.bigyanbook.co.in


    ১) রেচন কাকে বলে?

    উত্তর: যে জৈবিক ক্রিয়ার মাধ্যমে জীবদেহে বিপাক এর ফলে উৎপন্ন অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকারক উপজাত দ্রব্যসমূহ দেহ থেকে নির্গত বা অপসারিত হয় অথবা অদ্রাব্য কোলয়েড কণা হিসেবে দেহের কোনো অংশে সাময়িক ভাবে সঞ্চিত থাকে, সেই জৈবিক ক্রিয়াকে রেচন বলে।


    ২) পতঙ্গদের রেচন অঙ্গের নাম কী?

    উত্তর; পতঙ্গদের রেচন অঙ্গের নাম হলো ম্যালপিজিয়ান নালিকা।


    ৩) চিংড়ির রেচন অঙ্গের নাম কী?

    উত্তর: চিংড়ির রেচন অঙ্গের নাম হলো সবুজ গ্ৰন্থি বা শুঙ্গ গ্ৰন্থি।


    ৪) মাকড়সার রেচন অঙ্গের নাম কী?

    উত্তর: মাকড়সার রেচন অঙ্গের নাম হলো কক্সাল গ্ৰন্থি।


    ৫) কাঁকড়া বিছের রেচন অঙ্গের নাম কী?

    উত্তর: কাঁকড়া বিছের রেচন অঙ্গের নাম হলো কক্সাল গ্ৰন্থি।


    ৬)ফ্লেমকোশ বা শিখাকোশ কাদের রেচন অঙ্গ?

    উত্তর: চ্যাপ্টা কৃমিদের (প্লানেরিয়া, ফিতা কৃমি ইত্যাদি) রেচন অঙ্গ হলো ফ্লেমকোশ বা শিখাকোশ।


    ৭) রেচন তন্ত্র কাকে বলে? (What is excretory system?)

    উত্তর: রেচনে সাহায্য কারী অঙ্গ গুলি মিলিত হয়ে যে তন্ত্র গঠিত হয় তাকে রেচন তন্ত্র বলে।


    ৮) নেফ্রিডিয়া কাদের রেচন অঙ্গ?

    উত্তর: কেঁচো, জোঁক, পেরিপেটাস এবং অ্যাম্ফিঅক্সাসের রেচন অঙ্গ হলো নেফ্রিডিয়া।


    ৯) রেচন পদার্থ কাকে বলে? (What is excretory products?)

    উত্তর: জীবদেহের কোশে উৎপন্ন বিপাকজাত দূষিত পদার্থ গুলিকে রেচন পদার্থ বলে।


    ১০) উদ্ভিদ ও প্রাণীর রেচন পদার্থ গুলিকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?

    উত্তর: উদ্ভিদ ও প্রাণীর রেচন পদার্থ গুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা, 1] নাইট্রোজেন বিহীন রেচন পদার্থ, 2] নাইট্রোজেন যুক্ত রেচন পদার্থ এবং 3] কার্বন যুক্ত রেচন পদার্থ।


    ১১) দুটি কার্বন যুক্ত রেচন পদার্থের উদাহরণ দাও।

    উত্তর: দুটি কার্বন যুক্ত রেচন পদার্থ হলো, উদ্ভিদের ট্যানিন এবং প্রাণীদের কার্বন ডাই অক্সাইড।


    ১২) রেচনের প্রধান উদ্দেশ্য কী?

    উত্তর: জীব দেহের কলা কোশে উৎপন্ন বিপাকজাত দূষিত পদার্থ গুলিকে কোশ থেকে অপসারিত করা এবং প্রোটোপ্লাজমের জীবজ ক্রিয়া গুলিকে স্বাভাবিক রাখা হলো রেচনের প্রধান উদ্দেশ্য।


    ১৩) গঁদ বা গাম এর অর্থকরী গুরুত্ব লেখো।

    উত্তর: গঁদ বা গাম বিভিন্ন শিল্পে বিশেষ করে কাষ্ঠ শিল্প এবং বই বাঁধাই শিল্পে আঠা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।


    ১৪) রজন বা রেজিন কয় প্রকারের এবং কী কী?

    উত্তর: রজন বা রেজিন তিন প্রকারের হয়, যথা, 1] কঠিন রজন, 2] ওলিও রজন এবং 3] গঁদ রজন।


    ১৫) রজন এর অর্থকরী গুরুত্ব লেখো।

    উত্তর: রজন বা রেজিন গালা, টারপেনটাইন, ভ্যানিস শিল্পে অর্থাৎ কাঠ রঙ করতে, সাবান ও ফিনাইল প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়।


    ১৬) সাদা জলের মতো তরুক্ষীর কোথায় দেখা যায়?

    উত্তর: সাদা জলের মতো তরুক্ষীর কলা, তামাক প্রভৃতি গাছে দেখা যায়।


    ১৭) কোন গাছের তরুক্ষীর থেকে বাণিজ্যিক রবার প্রস্তুত হয়?

    উত্তর: হিভিয়া ব্রাসিলিয়েন্সিস (Hevea brasiliensis ) নামের প্যারা রবার গাছের তরুক্ষীর থেকে বাণিজ্যিক রবার প্রস্তুত হয়।


    ১৮) কুইনাইন কোথায় পাওয়া যায়?

    উত্তর: সিঙ্কোনা গাছের বাকল থেকে কুইনাইন পাওয়া যায়।


    ১৯) নিকোটিন কোথায় পাওয়া যায়?

    উত্তর: তামাক গাছের পাতায় নিকোটিন পাওয়া যায়।


    ২০) ক্যাফিন কোথায় পাওয়া যায়?

    উত্তর: কফি গাছের বীজ এ ক্যাফিন পাওয়া যায়।


    ২১) ম্যালেরিয়ার ওষুধ তৈরিতে কোন উপক্ষার ব্যবহৃত হয়?

    উত্তর: ম্যালেরিয়ার ওষুধ তৈরিতে কুইনাইন ব্যবহৃত হয়।


    ২২) উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ তৈরিতে কোন উপক্ষার ব্যবহৃত হয়?

    উত্তর: উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ তৈরিতে রেসারপিন ব্যবহৃত হয়।


    ২৩) স্ট্রিকনিন কোথায় পাওয়া যায়?

    উত্তর: নাক্সভোমিকা বা কুঁচেলা গাছের বীজ এ স্ট্রিকনিন পাওয়া যায়।


    ২৪) স্ট্রিকনিন এর অর্থকরী গুরুত্ব লেখো।

    উত্তর: পেটের পীড়ার ওষুধ তৈরিতে স্ট্রিকনিন ব্যবহৃত হয়।


    ২৫) মরফিন এর ব্যবহার লেখো।

    উত্তর: ব্যাথা বেদনার উপশমকারী এবং গাঢ় নিদ্রার ওষুধ তৈরিতে মরফিন ব্যবহৃত হয়।


    ২৬) মানবদেহের প্রধান রেচন অঙ্গের নাম কী?

    উত্তর: মানবদেহের প্রধান রেচন অঙ্গের নাম হলো বৃক্ক বা কিডনি।


    ২৭) মানুষের বৃক্কের ওজন কত?

    উত্তর: মানুষের বৃক্কের ওজন প্রায় 125-170 gm. ।


    ২৮) হাইলাম কী?

    উত্তর: বৃক্ক বা কিডনির পিঠের দিকটি উত্তল হয় এবং ভিতরের দিকটি অবতল হয়। বৃক্কের অবতল খাঁজটিকে বৃক্কীয় নাভী বা হাইলাম বলে।


    ২৯) বৃক্কীয় পিরামিড কাকে বলে?

    উত্তর: বৃক্কের কর্টেক্স বিভিন্ন স্থানে মেডালার গভীরে প্রবেশ করে পিরামিড এর মতো গঠন তৈরি করে, এগুলিকে বৃক্কীয় পিরামিড বলে।


    ৩০) বৃক্কের গঠনগত এবং কার্যগত একক কী?

    উত্তর: বৃক্কের গঠনগত এবং কার্যগত একক হলো নেফ্রন।


    ৩১) নেফ্রন কোন কোন অংশ নিয়ে গঠিত?

    উত্তর: নেফ্রন তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। যেগুলি হলো, 1] ম্যালপিজিয়ান করপাসল, 2] বৃক্কীয় নালিকা এবং 3] সংগ্রাহী নালিকা।


    ৩২) বৃক্কীয় নালিকার প্রধান কাজ কী?

    উত্তর: পরিস্রুত তরলের প্রয়োজনীয় অংশের পুনঃশোষন হলো বৃক্কীয় নালিকার প্রধান কাজ।


    ৩৩) হেনলীর লুপ কোথায় অবস্থিত?

    উত্তর: বৃক্কীয় নালিকার মাঝের 'U' আকৃতি বিশিষ্ট অংশকে হেনলীর লুপ বলে।


    ৩৪) মুত্রের অজৈব পদার্থগুলি কী কী?

    উত্তর: মুত্রের অজৈব পদার্থগুলি হলো, সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, সালফেট, ফসফেট, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রণ ইত্যাদি।


    ৩৫) মুত্রের জৈব পদার্থগুলি কী কী?

    উত্তর: মুত্রের জৈব পদার্থগুলি হলো, ইউরিয়া, অ্যামোনিয়া, ইউরিক অ্যাসিড, ক্রিয়েটিনিন, কিটোন বডি, অ্যাসিটোন ইত্যাদি।


    😊 Bigyanbook এর সমস্ত নতুন পোস্টের আপডেট পেয়ে যান সরাসরি আপনার ইমেইলের ইনবক্স এ। নিচে আপনার ইমেইল দিয়ে ফ্রিতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। 


    😊 এই ওয়েবসাইট টিকে দ্রুত খুঁজে পাওয়ার জন্য এটিকে আপনার ব্রাউজারে বুকমার্ক হিসেবে অ্যাড করুন। 


    😊 এছাড়াও আপনি লাইক করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ। নিচে সোশ্যাল প্লাগিন অপশনে ফেসবুক লেখাটিতে ক্লিক করে আপনি আমাদের ফেসবুক পেজে গিয়ে লাইক, ফলো করতে পারেন। এছাড়াও আপনি লাইক করতে পারেন এবং সাবস্ক্রাইব করতে পারেন আমাদের টুইটার হ্যান্ডেল এবং ইউটিউব চ্যানেল।


    😊 পড়তে থাকুন বিজ্ঞান এর সমস্ত বিষয় সম্পূর্ণ বাংলায়, বিজ্ঞানবুক -এ।


    😊 পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক।


    😊 ধন্যবাদ ।।

    Post a Comment (0)
    Previous Post Next Post

    My Favorites ❤️

    See your favorite posts by clicking the love icon at the top ❤️
    ⚠️
    AdBlocker Detected
    We noticed that you are using an AdBlocker.

    Our website is free to use, but we need ads to cover our server costs. Please disable your AdBlocker and reload the page to continue reading.