পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মাইক্রোস্পোরোজেনেসিস : সংজ্ঞা, পদ্ধতি, প্রশ্ন উত্তর | Microsporogenesis

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে মাইক্রোস্পোরোজেনেসিস বা পুং রেণুর উৎপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। প্রথমেই দেখবো মাইক্রোস্পোরোজেনেসিস কি বা এর সংজ্ঞা। সংজ্ঞা: যে প্রক্রিয়ায় রেনুধর কলায় অবস্থিত রেনু মাতৃকোষ থেকে পরাগরেণু বা পোলেন গ্রেন (pollen grains) সৃষ্টি হয় তাকে মাইক্রোস্পোরোজেনেসিস বলে। রেণুস্থলী এর মধ্যে থাকা রেনুধর কলা বারবার বিভাজিত হয়ে রেনু মাতৃকোষ গঠন করে। এই রেনু মাতৃকোষ গুলি ডিপ্লয়েড (2n) হয়। ডিপ্লয়েড রেনু মাতৃকোষ মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয় এবং হ্যাপ্লয়েড (n) মাইক্রোস্পোর বা পরাগরেণু গঠন করে। একটি রেনু মাতৃকোষ থেকে মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় চারটি পরাগরেণু সৃষ্টি হয়। উৎপন্ন পরাগরেণু গুলি একটি আবরণ এর মধ্যে একত্রিত ভাবে থাকে এই জন্য এদের রেনুচতুষ্টয় (spore tetrad) বলে। এই রেনু চতুষ্টয় এর থেকে প্রতিটি রেনু পৃথক হয়ে বৃদ্ধি পায়। Aristolochia elegans নামের এক প্রজাতিতে পাঁচ রকমের পরাগরেণু দেখা যায়, যেগুলি হলো টেট্রাহেড্রাল (tetrahedral), আইসোবাইল্যাটারাল (isobilateral), ডেকাসেট (decussate), লিনিয়ার (li...

প্রশ্ন-উত্তর : রেচন | Questions-Answere : Excretion

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা রেচন থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখব। রেচনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর এই আর্টিকেলের আলোচনা করা হয়েছে। ১) রেচন কাকে বলে? উত্তর: যে জৈবিক ক্রিয়ার মাধ্যমে জীবদেহে বিপাক এর ফলে উৎপন্ন অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকারক উপজাত দ্রব্যসমূহ দেহ থেকে নির্গত বা অপসারিত হয় অথবা অদ্রাব্য কোলয়েড কণা হিসেবে দেহের কোনো অংশে সাময়িক ভাবে সঞ্চিত থাকে, সেই জৈবিক ক্রিয়াকে রেচন বলে। ২) পতঙ্গদের রেচন অঙ্গের নাম কী? উত্তর; পতঙ্গদের রেচন অঙ্গের নাম হলো ম্যালপিজিয়ান নালিকা। ৩) চিংড়ির রেচন অঙ্গের নাম কী? উত্তর: চিংড়ির রেচন অঙ্গের নাম হলো সবুজ গ্ৰন্থি বা শুঙ্গ গ্ৰন্থি। ৪) মাকড়সার রেচন অঙ্গের নাম কী? উত্তর: মাকড়সার রেচন অঙ্গের নাম হলো কক্সাল গ্ৰন্থি। ৫) কাঁকড়া বিছের রেচন অঙ্গের নাম কী? উত্তর: কাঁকড়া বিছের রেচন অঙ্গের নাম হলো কক্সাল গ্ৰন্থি। ৬) ফ্লেমকোশ বা শিখাকোশ কাদের রেচন অঙ্গ? উত্তর: চ্যাপ্টা কৃমিদের (প্লানেরিয়া, ফিতা কৃমি ইত্যাদি) রেচন অঙ্গ হলো ফ্লেমকোশ বা শিখাকোশ। ৭) রেচন তন্ত্র কাকে বলে? (What is excretory system?) উত্তর: রেচনে সাহায্য কারী অঙ্গ গুলি ...

জীবের জনন | Reproduction in Organism

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। আমরা এই আর্টিকেলে জানবো জীবের জনন সম্পর্কে, জীবের জনন এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, জীবের জনন এর বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা বা জননের গুরুত্ব, জননের পর্যায় এবং জননের প্রকারভেদ সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। জনন হল জীবের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। জননের মাধ্যমে জীব বংশবৃদ্ধি করার মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব কে বাঁচিয়ে রাখে। বংশবৃদ্ধি করার মাধ্যমে জীবনের প্রবাহ অক্ষুন্ন থাকে। যে জীব থেকে জননের মাধ্যমে অপত্য জীবের সৃষ্টি হয় তাকে জনিতৃ জীব বলে। জননের মাধ্যমে জনিতৃ জীব থেকে সৃষ্ট জীব কে অপত্য জীব বলে। যে পদ্ধতিতে জনিতৃ জীব থেকে অপত্য জীবের সৃষ্টি হয় তাকে জনন বলে। • জনন কাকে বলে? যে জৈবিক পদ্ধতিতে জীব তার নিজের সত্ত্বা এবং আকৃতিবিশিষ্ট অপত্য জীবের সৃষ্টি করে এবং বংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে, বংশধারাকে অক্ষুন্ন রাখে তাকে জনন বা রিপ্রোডাকশন বলে। • জননের গুরুত্ব (Importance of reproduction) ১. সমগ্র জীবজগৎ জনন পদ্ধতির মাধ্যমে, বংশধর সৃষ্টির দ্বারা নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখে। ২. জননের মাধ্যমে প্রতিটি জীব তাদের নিজ প্রজাতির সংখ্যা বৃদ্ধি করে। ৩. জনন এর মাধ্যমে প্রতিটি জীব তার বংশ...

পুং জননতন্ত্রের গোলযোগ | Disorder of male reproductive system

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই পোস্টে আমরা জানতে চলেছি পুং জনন তন্ত্রের গোলযোগ সম্পর্কে। মানুষের পুং জনন তন্ত্রের ক্ষেত্রে কি কি গোলযোগ দেখা দিতে পারে তার সমস্ত কিছুই আমরা এই পোস্টে জানব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। মানুষের পুং জনন তন্ত্রের গোলযোগগুলি আমরা এক এক করে দেখবো। ১) বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারট্রফি (Benign Prostatic Hypertrophy - BPH) এই ধরনের পুং জনন তন্ত্রের গোলযোগের ক্ষেত্রে প্রস্ট্রেট বড় হয়ে অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে। প্রোস্টেট বড় হয়ে যাবার কারণে মূত্রনালীর উপর চাপ সৃষ্টি হয় এবং মূত্রত্যাগে এর ফলে অসুবিধা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও এর ফলে রাত্রিবেলায় ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ দেখা যায়। এই ধরনের পুং জননতন্ত্রের গোলযোগ সময়মতো চিকিৎসা না হলে এর দ্বারা বৃক্কের বা কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এর ফলে অনেক সময় প্রোস্টেট ক্যান্সার ও হতে দেখা যায়। আরও পড়ুন: ভাসা ইফারেনসিয়া ও ভাস ডিফারেনসিয়া এর পার্থক্য ২) ক্রিপটরকিডিজম (Cryptorchidism) এই ধরনের পুং জনন তন্ত্রের গোলযোগের ক্ষেত্রে শুক্রাশয় দুটি উদর গহ্বর থেকে স্কোটামে নেমে আসে না। ভ্রূণ অবস্থাতে শুক্রাশয় থেকে টেস্টোস্টেরন হরমোন কম ক্ষরণে...

ব্যাকটেরিওফাজ | Bacteriophage

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো ব্যাকটেরিয়া আক্রমণকারী ভাইরাস বা ব্যাকটেরিওফাজ সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। ব্যাকটেরিওফাজ হল এমন এক ধরনের ফাজ বা ভক্ষক ভাইরাস যা ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে তাদের ধ্বংস করে। • ব্যাকটেরিওফাজ কি? (What is Bacteriophage?) যেসব ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া কে আক্রমণ এবং ধ্বংস করে তাদের ব্যাকটেরিওফাজ বা ফাজ ভাইরাস বলে। বিজ্ঞানী দ্য হেরেলি (d' Herelle) 1917 খ্রিস্টাব্দে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণকারী ভাইরাসদের ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস বা ব্যাকটেরিওফাজ বা ফাজ নামে অভিহিত করেন। এখনো পর্যন্ত যে সমস্ত ব্যাকটেরিওফাজের অস্তিত্ব সম্পর্কে আমরা জানি তাদের মধ্যে 'T' শ্রেণীর অন্তর্গত ব্যাকটেরিওফাজ প্রধান। 'T' শ্রেণীর অন্তর্গত ব্যাকটেরিওফাজ দের 1 থেকে 7 সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। 'T' শ্রেণীর সমস্ত ভাইরাস E. coli নামক ব্যাকটেরিয়া কে আক্রমণ করে। 'T' শ্রেণীর সমস্ত ব্যাকটেরিওফাজ একতন্ত্রী DNA এবং প্রোটিন এর সমন্বয়ে গঠিত। এই শ্রেণীর ব্যাকটেরিওফাজের মধ্যে, T3 এবং T7 ছাড়া সমস্ত ব্যাকটেরিওফাজ এর মস্তক ষড়ভূজ আকারের হয় এবং দ...

জনুক্রম | Alternation of Generation

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো জনুক্রম বা অল্টারনেশন অফ জেনেরেশন (Alternation of Generation) সম্পর্কে। জনুক্রম এর প্রকারভেদ এবং সেইসব প্রকারভেদ সম্পর্কে ও জানবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। প্রথমেই আমরা জেনে নেবো জনুক্রম কাকে বলে বা জনুক্রম কী সেই সম্পর্কে। জনুক্রম কাকে বলে? (What is alternation of generation?) কোনো জীবের জীবনচক্রে ডিপ্লয়েড (2n) রেণুধর জনু বা অযৌন জনু এবং হ্যাপ্লয়েড (n) লিঙ্গধর জনু বা যৌন জনুর পর্যায়ক্রমিক চক্রাকার আবর্তন কে জনুক্রম বলে। তবে জনুক্রম সমস্ত জীব এর ক্ষেত্রে দেখা যায় না। অনেক জীবের জীবনে হ্যাপ্লয়েড দশাই হলো প্রধান, যেখানে ডিপ্লয়েড দশা শুধুমাত্র ভ্রূণাণু বা জাইগোট (Zygote) এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ, যেমন - শৈবাল ও ছত্রাক। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ডিপ্লয়েড দশাই হলো প্রধান দশা, যেখানে হ্যাপ্লয়েড দশা রেণুর মধ্যে গ্যামেট সৃষ্টির ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ, যেমন - সপুষ্পক উদ্ভিদ। আবার কিছু জীবের মধ্যে হ্যাপ্লয়েড এবং ডিপ্লয়েড এই দুটি দশাই সু্স্পষ্ট ভাবে এবং স্বাধীন ভাবে হয়, যেমন - ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদ। আরও পড়ুন: অযৌন জননের সুবিধা ও ...

অঙ্গজ জনন ও অযৌন জননের পার্থক্য | Difference between Vegetative Reproduction and Asexual Reproduction

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো অঙ্গজ জনন এবং অযৌন জনন এর মধ্যে পার্থক্য। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। অঙ্গজ জনন ও অযৌন জনন এর পার্থক্য • অঙ্গজ জনন : এই জনন প্রক্রিয়ায় জনিতৃ দেহ থেকে কোনো অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য জীবের সৃষ্টি হয়। • অযৌন জনন: এই জনন প্রক্রিয়ায় জনিতৃ জীব প্রধানত রেণু উৎপাদন এর মাধ্যমে অপত্য জীবের সৃষ্টি করে। • অঙ্গজ জনন: এই জনন প্রধানত উদ্ভিদ দেহে সম্পন্ন হয়। • অযৌন জনন: এই জনন প্রক্রিয়া সাধারণত উদ্ভিদের দেহে দেখা গেলেও, কোনো কোনো প্রাণী দেহেও অযৌন জনন দেখা যায়। • অঙ্গজ জনন: এই জনন প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে সরল। • অযৌন জনন: এই জনন প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে জটিল। এই জনন প্রক্রিয়ায় রেণুস্থলী গঠন এবং রেণু উৎপাদন ঘটে। • অঙ্গজ জনন: এই জনন প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র মাইটোসিস কোষ বিভাজন এর প্রয়োজন হয়। • অযৌন জনন: এই জনন প্রক্রিয়া প্রধানত মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হলেও, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু প্রজাতিতে মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মিয়োস্পোর গঠন করে (যেমন, অ্যাসকোস্পোর, ব্যাসিডিওস্পোর) যেগুলি অঙ্কুরিত হবার মাধ্যমে...