পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

লাইটিক চক্র ও লাইসোজেনিক চক্রের মধ্যে পার্থক্য | Difference between lytic cycle and lysogenic cycle

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো লাইসোজেনিক চক্র এবং লাইটিক চক্রের মধ্যে পার্থক্য। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। • লাইটিক চক্র কী? | What is Lytic cycle? যে পদ্ধতিতে ফাজ ভাইরাস পোষক ব্যাকটেরিয়া কোশে প্রবেশ করে জনন সম্পন্ন করে এবং অপত্য ভাইরাসগুলি পোষক দেহের বিদারণ বা লাইসিস ঘটিয়ে নির্গত হয় তাকে লাইটিক চক্র বলে। • লাইসোজেনিক চক্র কী? | What is Lysogenic cycle? যে পদ্ধতিতে ফাজ ভাইরাস পোষক ব্যাকটেরিয়ার কোশে প্রবেশ করার পর ভাইরাল DNA, ব্যাকটেরিয়াল DNA -এর সঙ্গে সংযুক্ত হয় এবং ব্যাকটেরিয়াল DNA-এর সঙ্গে একত্রে প্রতিলিপি গঠন করে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ ভাইরাসরূপে পোষক ব্যাকটেরিয়ার কোশের বিদারণ ঘটিয়ে মুক্ত হয় না তাকে লাইসোজেনিক চক্র বলে। লাইটিক চক্র ও লাইসোজেনিক চক্রের মধ্যে পার্থক্য | Difference between lytic cycle and lysogenic cycle ১) লাইটিক চক্র : লাইটিক চক্রের মাধ্যমে সমগ্র ভাইরাসটি গঠিত হয়। ১) লাইসোজেনিক চক্র : লাইসোজেনিক চক্রের মাধ্যমে কেবলমাত্র ভাইরাল DNA অনুর প্রতিলিপি গঠিত হয় কিন্তু সম্পূর্ণ ভাইরাসের সৃষ্টি হয় না। ২) লাইটিক চক্র : লাইটিক চক্রে পোষ...

লাইসোজেনিক চক্র | ব্যাকটেরিওফাজ | Lysogenic cycle | Bacteriophage

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো ব্যাকটেরিওফাজের লাইসোজেনিক চক্র সমন্ধে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। • লাইসোজেনিক চক্র কী? | What is Lysogenic cycle? যে পদ্ধতিতে ফাজ ভাইরাস পোষক ব্যাকটেরিয়ার কোশে প্রবেশ করার পর ভাইরাল DNA, ব্যাকটেরিয়াল DNA -এর সঙ্গে সংযুক্ত হয় এবং ব্যাকটেরিয়াল DNA-এর সঙ্গে একত্রে প্রতিলিপি গঠন করে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ ভাইরাসরূপে পোষক ব্যাকটেরিয়ার কোশের বিদারণ ঘটিয়ে মুক্ত হয় না তাকে লাইসোজেনিক চক্র বলে। ✓ এবারে দেখে নেওয়া যাক লাইসোজেনিক চক্রের বিভিন্ন পর্যায় । লাইসোজেনিক চক্রের বিভিন্ন পর্যায় ১) পোষক ব্যাকটেরিয়ায় ফাজ DNA এর অণুপ্রবেশ (Entry of phage DNA in host bacterium) লাইটিক চক্রের অনুরূপভাবে প্রথমে ফাজ ভাইরাস তার DNA অণুটিকে পোষক ব্যাকটেরিয়ার কোশের মধ্যে প্রবেশ করায় এবং প্রোটিন আবরণীটি পোষকের বাইরে থেকে যায়। ২) ব্যাকটেরিয়াল DNA -এর সঙ্গে ভাইরাল DNA -এর সংযুক্তি (Integration of viral DNA with bacterial DNA) লাইসোজেনিক চক্রের এই পর্যায়ে ভাইরাল DNA অণুটি চক্রাকার হয়ে ব্যাকটেরিয়াল DNA অণুর কোনো কর্তিত অংশে গিয়ে সংযুক্ত হয়। স...

লাইটিক চক্র | ব্যাকটেরিওফাজের জীবনচক্র | Lytic cycle | Bacteriophage

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো ব্যাকটেরিওফাজের জনন বা জীবনচক্র এর লাইটিক চক্র সমন্ধে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। লাইটিক চক্র কী? | What is Lytic cycle? যে পদ্ধতিতে ফাজ ভাইরাস পোষক ব্যাকটেরিয়া কোশে প্রবেশ করে জনন সম্পন্ন করে এবং অপত্য ভাইরাসগুলি পোষক দেহের বিদারণ বা লাইসিস ঘটিয়ে নির্গত হয় তাকে লাইটিক চক্র বলে। এবার জানবো লাইটিক চক্রের বিভিন্ন পর্যায় সম্পর্কে। লাইটিক চক্রের বিভিন্ন পর্যায় সম্পর্কে ১) পৃষ্ঠলগ্নীভবন (Landing) এটি হলো প্রথম পর্যায়। এই পর্যায়ে প্রথমে ফাজ ভাইরাস পোষক ব্যাকটেরিয়ার কোশ প্রাচীরের উপর এসে স্থাপিত হয়। এরপর ব্যাকটেরিয়ার নির্দিষ্ট গ্রাহীস্থানে (Receptive spot) ফাজ ভাইরাস তার পুচ্ছ তন্তুর সাহায্যে সংযুক্ত হয়। T2 ব্যাকটেরিওফাজ ভাইরাসের ক্ষেত্রে, ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীরের টিকোয়িক অ্যাসিড, লাইপোপলিস্যাকারাইড গ্ৰাহীরূপে (receptor) কাজ করে। ২) পুচ্ছ তন্তুর সংকোচন (Tail Fibre Contraction) এটি হলো দ্বিতীয় পর্যায়। এই পর্যায়ে ফাজ ভাইরাসের পুচ্ছ তন্তুগুলি সংকুচিত হয় এবং পাদফলক বা বেস প্লেটটি ( base plate ) ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচী...

ককের মৌলিক নীতি | Koch's postulates | Fully explained | bengali

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো কক্ এর মৌলিক নীতি সম্পর্কে। এর সাথে থাকবে আরো একাধিক তথ্য। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। ব্যাকটেরিওলজির জনক (Father of Bacteriology) বলা হয় রবার্ট কক্ (Robert Koch, 1843-1910) -কে। বিজ্ঞানী রবার্ট কক্ কতগুলি ধারাবাহিক ভাবে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে, কোনো রোগের জন্য কোনো নির্দিষ্ট অণুজীব দায়ী। একে কক্ এর মৌলিক নীতি (Koch's postulates) বলে। 1887 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী রবার্ট কক্ এই নীতির প্রবর্তন করেন। • কক এর মৌলিক নীতি (Koch's postulates) ১) যে জীবাণুকে কোনো রোগের কারণ হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে, সেই জীবাণুকে প্রতিটি রোগাক্রান্ত জীবে উপস্থিত থাকতে হবে। ২) রোগাক্রান্ত জীবের (উদ্ভিদ) থেকে এই অণুজীবকে পৃথক করে বিশুদ্ধ কৃষ্টি বা কর্ষণ মাধ্যমে অণুজীব টির সংখ্যাবৃদ্ধি করানো হবে। ৩) সংখ্যাবৃদ্ধি করানোর পরে কৃষ্টি মাধ্যম থেকে অণুজীবটি নিয়ে সুস্থ জীবে (উদ্ভিদ) প্রবেশ বা বীজায়ন (Inoculate) করাতে হবে। এরপর পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে যে, বীজায়িত জীব (উদ্ভিদ) অনুরূপ রোগ লক্ষণ প্রকাশ করছে কিনা। ৪) রোগাক্রান্ত জীবের থেকে প্রাপ...

তাপগ্রাহিতা ও জলসমের তুলনা | Difference between thermal capacity and water equivalent

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলের আমরা দেখবো তাপগ্রাহিতা এবং জলসম এর মধ্যে তুলনা। এছাড়াও আমরা দেখবো তাপগ্রাহীতার সংজ্ঞা, জলসম এর সংজ্ঞা এবং বিভিন্ন পদ্ধতিতে এদের মান এবং আরো অন্যান্য কিছু তথ্য। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। তাপগ্রাহিতা ও জলসমের তুলনা | Difference between thermal capacity and water equivalent ১) তাপগ্ৰাহীতা : তাপগ্রাহিতা কিছু পরিমান তাপ বোঝায়। ১) জলসম : জলসম কিছু পরিমাণ জল বোঝায়। ২) তাপগ্ৰাহীতা : CGS পদ্ধতিতে তাপ গ্রহীতার সাংখ্যমান = বস্তুর ভর × আপেক্ষিক তাপ, SI পদ্ধতিতে তাপগ্ৰাহীতার সাংখ্যমান = বস্তুর ভর × আপেক্ষিক তাপ। ২) জলসম : CGS পদ্ধতিতে জলসম এর সাংখ্যমান = বস্তুর ভর × আপেক্ষিক তাপ, SI পদ্ধতিতে জলসম এর সাংখ্যমান = (বস্তুর ভর × আপেক্ষিক তাপ) / 4200 ৩) তাপগ্ৰাহীতা : CGS পদ্ধতিতে তাপগ্রাহীতার একক হল = ক্যালোরি/°C বা Cal/°C SI পদ্ধতিতে তাপগ্রাহীতার একক হল = জুল/K বা J/K ৩) জলসম : CGS পদ্ধতিতে জলসমের একক হল = গ্রাম। SI পদ্ধতিতে জলসমের একক হল = কিলোগ্রাম। • তাপগ্রাহিতা কাকে বলে? | What is thermal capacity? উত্তর : কোন বস্তুর উষ্ণতা 1° বৃদ্ধি করতে য...

স্বপরাগযোগের সুবিধা ও অসুবিধা | Advantages and Disadvantages of Self pollination

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো উদ্ভিদের স্বপরাগযোগের সুবিধা ও অসুবিধা। শেষের দিকে কিছু প্রশ্ন উত্তর থাকবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। স্বপরাগযোগের সুবিধা ও অসুবিধা | Advantages and Disadvantages of Self pollination স্বপরাগযোগের সুবিধা ১) স্বপরাগযোগ প্রক্রিয়ায় প্রজাতির বিশুদ্ধতা রক্ষা পায়। এই প্রক্রিয়াতে জনিতৃ বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রিত হয়। ২) সংকরায়ন পরীক্ষাতে পিওর লাইন ( pure line ) বজায় রাখার জন্য স্বপরাগযোগ ঘটানো হয়। ৩) স্বপরাগযোগ পদ্ধতিতে পরাগযোগ এর জন্য অন্য প্রজাতির উদ্ভিদের বা ফুলের প্রয়োজন হয় না। ৪) স্বপরাগযোগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে অধিক সংখ্যক পরাগরেণুর প্রয়োজন হয় না। ৫) স্বপরাগযোগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাহকের উপর নির্ভর করতে হয় না। ৬) স্বপরাগযোগ প্রক্রিয়ার জন্য উজ্জ্বল বর্ণ অথবা মকরন্দ গ্রন্থির উপস্থিতির দরকার হয় না। ৭) স্বপরাগযোগ পদ্ধতি উদ্ভিদের কিছু মন্দ প্রকৃতির প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্যের বিলোপ ঘটায়। ৮) স্বপরাগযোগ পদ্ধতি একই ফুলে ঘটে বলে এই ধরনের পরাগযোগের ক্ষেত্রে সফলতার পরিমাণ বেশি হয়। আরও পড়ুন :  মাইক্রোস্পোরোজেনেসিস : সংজ্...