লাইটিক চক্র ও লাইসোজেনিক চক্রের মধ্যে পার্থক্য | Difference between lytic cycle and lysogenic cycle

নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো লাইসোজেনিক চক্র এবং লাইটিক চক্রের মধ্যে পার্থক্য। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

www.bigyanbook.co.in


• লাইটিক চক্র কী? | What is Lytic cycle?

যে পদ্ধতিতে ফাজ ভাইরাস পোষক ব্যাকটেরিয়া কোশে প্রবেশ করে জনন সম্পন্ন করে এবং অপত্য ভাইরাসগুলি পোষক দেহের বিদারণ বা লাইসিস ঘটিয়ে নির্গত হয় তাকে লাইটিক চক্র বলে।


• লাইসোজেনিক চক্র কী? | What is Lysogenic cycle?

যে পদ্ধতিতে ফাজ ভাইরাস পোষক ব্যাকটেরিয়ার কোশে প্রবেশ করার পর ভাইরাল DNA, ব্যাকটেরিয়াল DNA -এর সঙ্গে সংযুক্ত হয় এবং ব্যাকটেরিয়াল DNA-এর সঙ্গে একত্রে প্রতিলিপি গঠন করে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ ভাইরাসরূপে পোষক ব্যাকটেরিয়ার কোশের বিদারণ ঘটিয়ে মুক্ত হয় না তাকে লাইসোজেনিক চক্র বলে।



লাইটিক চক্র ও লাইসোজেনিক চক্রের মধ্যে পার্থক্য | Difference between lytic cycle and lysogenic cycle

১) লাইটিক চক্র : লাইটিক চক্রের মাধ্যমে সমগ্র ভাইরাসটি গঠিত হয়।

১) লাইসোজেনিক চক্র : লাইসোজেনিক চক্রের মাধ্যমে কেবলমাত্র ভাইরাল DNA অনুর প্রতিলিপি গঠিত হয় কিন্তু সম্পূর্ণ ভাইরাসের সৃষ্টি হয় না।


২) লাইটিক চক্র : লাইটিক চক্রে পোষক ব্যাকটেরিয়া কোষের বিদারণ ঘটে।

২) লাইসোজেনিক চক্র : লাইসোজেনিক চক্রের পোষক ব্যাকটেরিয়া কোষের বিদারণ ঘটে না।


৩) লাইটিক চক্র : লাইটিক চক্রের ক্ষেত্রে আক্রমণের প্রকৃতি তীব্র বা ভিরুলেন্ট (Virulent) হয়।

৩) লাইসোজেনিক চক্র : লাইসোজেনিক চক্রের ক্ষেত্রে পোষক ব্যাকটেরিয়া কোষের মৃত্যু ঘটে না তাই আক্রমণ মৃদু বা টেম্পারেট (Temperate) প্রকৃতির হয়।


৪) লাইটিক চক্র : এই চক্রের ক্ষেত্রে পোষক ব্যাকটেরিয়ার DNA বিনষ্ট হয়।

৪) লাইসোজেনিক চক্র : এই চক্রের ক্ষেত্রে পোষক ব্যাকটেরিয়ার DNA -এর সঙ্গে যুক্ত হয়েই ব্যাকটেরিয়ার DNA -এর সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল DNA -এর প্রতিলিপি গঠিত হয়।


৫) লাইটিক চক্র : লাইটিক চক্রের ক্ষেত্রে প্রোফাজ গঠিত হয় না।

৫) লাইসোজেনিক চক্র : লাইসোজেনিক চক্রের ক্ষেত্রে টেম্পারেট ফাজের DNA ব্যাকটেরিয়ার DNA -এর সঙ্গে যুক্ত হয়, এই অবস্থায় ফাজকে প্রোফাজ বলে।


৬) লাইটিক চক্র : লাইটিক চক্রের ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার জেনেটিক পুনঃসংযোজন পদ্ধতির কোনো ভূমিকা নেই।

৬) লাইসোজেনিক চক্র : লাইসোজেনিক চক্রের ক্ষেত্রে ট্রান্সডাকশন পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ার জেনেটিক পুনঃসংযোজন ঘটায়।


৭) লাইটিক চক্র : উদাহরণ — T2 ফাজ , T4 ফাজ।

৭) লাইসোজেনিক চক্র : উদাহরণ — ল্যামডা ফাজ।


» পান বিজ্ঞানবুকের সমস্ত আপডেটস সরাসরি আপনার ইমেলে। নীচে আপনার ইমেল দিয়ে বিনামূল্যে সাবস্ক্রাইব করুন।

» সাবস্ক্রাইব করুন বিজ্ঞানবুক ইউটিউবে। লাইক, ফলো করুন বিজ্ঞানবুক ফেসবুক, টুইটারে।

» শেয়ার করুন বিজ্ঞানবুকের আর্টিকেলগুলি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে।

» কোনো প্রশ্ন থাকলে, বা কোনো মতামত কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান।

» পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক।

» আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ