পোস্টগুলি

মে, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অঙ্গজ জননের গুরুত্ব

ছবি
অঙ্গজ জননের গুরুত্ব এই জননের মাধ্যমে মাতৃ উদ্ভিদের মতো একইরকম গুণসম্পন্ন অপত্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করা সম্ভব, ফলে বংশপরম্পরায় বিশুদ্ধ গুণের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। অঙ্গজ জননের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অপত্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করা যায়। অঙ্গজ জননের মাধ্যমে সৃষ্ট অপত্য উদ্ভিদে দ্রুত ফল ও ফুল জন্মায়। এই জনন পদ্ধতিতে নতুন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উদ্ভিদের সৃষ্টি হয় না। অপত্য উদ্ভিদগুলির অভিযোজন ক্ষমতা কমে যাওয়ায় তারা প্রতিকূল বা নতুন পরিবেশে নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারে না, ফলে প্রজাতির অবলুপ্তি হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। অঙ্গজ জননের দ্বারা স্বল্প পরিসরে অসংখ্য উদ্ভিদ জন্মায়, ফলে অনেক উদ্ভিদই দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অকালে মারা যায়। ◼ অঙ্গজ জনন কাকে বলে ? যে পদ্ধতিতে জনিতৃ উদ্ভিদের দেহের কোনো অংশ প্রত্যক্ষভাবে বংশবিস্তারে অংশগ্রহণ করে তাকে উদ্ভিদের অঙ্গজ জনন বলে। Importance of Vegetative Reproduction

আরকি | Archaea - Bigyanbook

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো আরকি সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। আরকি কাকে বলে? (What is Archaea?) যে জীবসম্প্রদায় এককোশী প্রোক্যারিওটিক প্রকৃতির হয় এবং যাদের কোশপ্রাচীরে পেপটাইডোগ্লাইক্যান থাকে না এবং চরম পরিবেশে (extreme environment) বসবাস করে তাদের আরকিব্যাকটেরিয়া (Archaebacteria) বা আরকি (Archaea) বলে। এবারে দেখে নেবো আরকি এর কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য। আরকির বৈশিষ্ট্য (Characters of Archaea) ১) কোশপ্রাচীর (Cell wall) : আরকি এর কোষপ্রাচীরে পেপটাইডোগ্লাইক্যান(Peptidoglycan) থাকে না। এদের কোষপ্রাচীরে সিউডোমিউরিন (Pseudomurein) উপস্থিত। Methanospirillum নামের আরকি এর কোষপ্রাচীরের বাইরের স্তরটি সম্পূর্ণভাবে প্রোটিন দ্বারা নির্মিত। Methanospirillum নামের এই আরকি এর কোষপ্রাচীর প্রধানত হেটারোপলিস্যাকারাইড (heteropolysaccharide) দিয়ে গঠিত, এই হেটারোপলিস্যাকারাইডের মধ্যে গ্যালাক্টোসাম্যাইন, প্রশম শর্করা ও ইউরোনিক অ্যাসিড থাকে। ২) কোশ পর্দা (Cell membrane) : আরকি বা আরকিব্যাকটেরিয়ার কোশপর্দাতে ডাই-ইথার (C²⁰ ফাইটেন) এবং ডাই-গ্লিসারল টেট্রাইথার (C⁴⁰ বাইফা...

ক্লাইনফেল্টার সিন্ড্রোম | Klinefelter's Syndrome

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে ক্লাইনফেল্টার সিন্ড্রোম সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। মানুষের ৪৬ টি ক্রোমোজোমের মধ্যে ৪৪ টি অটোজোম এবং ২ টি সেক্স ক্রোমোজোম থাকে। মানুষের এই ক্রোমোজোমের সংখ্যার পরিবর্তনজনিত কারণে ক্লাইনফেল্টার সিন্ড্রোম (Klinefelter's Syndrome) দেখা যায়। ক্লাইনফেল্টার সিন্ড্রোম কী? ( What is Klinefelter's Syndrome? ) এই ধরনের অস্বাভাবিকতায় একজন পুরুষ মানুষের মধ্যে কিছু কিছু স্ত্রী চরিত্রের প্রকাশ ঘটে এবং এই রোগে আক্রান্ত মানুষেরা জনন কাজে অসফল হয়। পপুলেশন বা জনসংখ্যায় প্রায় ৫০০ নবাগত শিশুর মধ্যে একজনের এই ধরনের অস্বাভাবিকতায় দেখা যায়। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে H.F. Klinefelter এই সিন্ড্রোমের ক্রোমোজোমগত ভিত্তি সম্পর্কে সর্বপ্রথম আলোকপাত করেন। ক্লাইনফেল্টার সিন্ড্রোমের লক্ষণ ( Symptoms of Klinefelter's Syndrome ) ক্লাইনফেল্টার সিন্ড্রোমের ক্ষেত্রে মানুষের যে অবয়বগত লক্ষণ বা অস্বাভাবিকতা দেখা যায় সেগুলি হলো — ১) শীর্ণ লম্বা গড়নবিশিষ্ট পুরুষ। ২) দেহের নিম্ন ভাগ তুলনামূলক ভাবে অনেক দীর্ঘ হয়। ৩) গোঁফ দাড়ি অল্প। ৪) মহিলা...

অনাক্রম্যতা

ছবি
অনাক্রম্যতা কাকে বলে ? রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু, ভাইরাস ইত্যাদি ক্ষতিকারক বিজাতীয় পদার্থের বিরুদ্ধে দেহে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে তাকে অনাক্রম্যতা বলে। অনাক্রম্যতার প্রকারভেদ দেহের অনাক্রম্যতাকে দুভাগে ভাগ করা হয়। ১) সহজাত অনাক্রম্যতা এবং ২) অর্জিত অনাক্রম্যতা। ১) সহজাত অনাক্রম্যতা সহজাত অনাক্রম্যতা কাকে বলে ? বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত, জন্মের সময় থেকে গঠিত যে অনাক্রম্যতা দেহের সাধারণ ও স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম তাকে সহজাত অনাক্রম্যতা বলে। সহজাত অনাক্রম্যতার উদাহরণ দেহত্বক, দেহরসের pH, ম্যাক্রোফাজ, নিউট্রোফিল, বেসোফিল কোশ ইত্যাদি সহজাত অনাক্রম্যতায় অংশ নেয়। সহজাত অনাক্রম্যতা সৃষ্টির পদ্ধতি সহজাত অনাক্রম্যতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে কোশগুলি দু-ভাবে কাজ করে - a) বাহ্যিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং b) অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। a) বাহ্যিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা এই ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিভিন্ন ভাবে দেহে রোগজীবাণুর প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা দেয়। যেমন — ভৌত প্রতিবন্ধক : এই ধরনের বাহ্যিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিভিন্ন ভাবে দেহে রোগজীবাণুর বা প্যাথোজেনের প্রবেশে বাধা দেয়। দেহত্বক, নাসাব...

✨ পার্থক্য: দূরত্ব ও সরণের মধ্যে পার্থক্য

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো দুরত্ব এবং সরণের পার্থক্য। এর সাথে সাথেই জানবো দূরত্ব এবং সরণের সম্পর্কে আরো কিছু। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। দূরত্ব কাকে বলে? সময়ের সঙ্গে একটি বস্তুর বা কণার অবস্থানের পরিবর্তন হলে, তার প্রাথমিক ও অন্তিম অবস্থানের মাঝে অতিক্রান্ত পথের দৈর্ঘ্যকে ওই বস্তু বা কণা দ্বারা অতিক্রান্ত দূরত্ব বলে। দূরত্ব কোন রাশি? দূরত্বের মান আছে কিন্তু অভিমুখ নেই তাই দুরত্ব হলো স্কেলার রাশি। দূরত্বের একক (Distance Unit) : দুরত্ব এর এস আই একক হলো মিটার (m) এবং দুরত্ব এর সিজিএস একক হলো সেন্টিমিটার (cm)। সরণ কাকে বলে? সময়ের সঙ্গে একটি বস্তুর বা কণার অবস্থানের পরিবর্তন হলে তার প্রাথমিক ও অন্তিম অবস্থানের মাঝে সরলরৈখিক দুরত্বকে সরণ বলে। সরণ কোন রাশি? সরণের মান এবং অভিমুখ উভয় আছে তাই সরণ হলো ভেক্টর রাশি। সরণের একক সরণের এস আই একক মিটার (m) এবং সরণের সিজিএস একক সেন্টিমিটার (cm)। দূরত্ব ও সরণের মধ্যে পার্থক্য (Difference between distance and displacement) দূরত্ব সরণ ১) সময়ের সঙ্গে একটি বস্তুর বা কণার অবস্থানের পরিবর্তন হলে, ত...