নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই পেজে আমরা জানবো স্থির তড়িতের প্রাথমিক ঘটনাবলি সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

তড়িদাহিত বস্তু কী?
ঘর্ষণের ফলে যে বস্তু অন্য বস্তুকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা লাভ করে তাকে তড়িদাহিত বস্তু বলে।
তড়িদাধান কাকে বলে?
পদার্থের যে ধর্মের জন্য তড়িৎ বল ক্রিয়া করে তাকে তড়িদাধান বলে।
তড়িৎবল কী?
যে বলের জন্য পদার্থের একটি মৌলিক কণা অপর একটি মৌলিক কণাকে তাদের নিজস্ব ভর এবং মহাকর্ষীয় বল দ্বারা আকর্ষণ করে অথবা বিকর্ষণ করে তাকে তড়িৎ বল বলে।
• তড়িদাধান হলো একটি স্কেলার রাশি।
• তড়িদাধানের একক : CGS = esu বা statC
SI = কুলম্ব (C)
• তড়িদাধানের মাত্রা : IT
• তড়িদাধান দুই প্রকারের যথা, ধনাত্মক আধান এবং ঋণাত্মক আধান।
স্থির তড়িৎ শ্রেণী কাকে বলে?
দুটি বস্তুকে পরস্পরের সঙ্গে ঘর্ষণ করলে কোনটিতে কোন জাতীয় আধানের সৃষ্টি হবে তা যে পরীক্ষালব্ধ তালিকা থেকে জানা যায় তাকে স্থির তড়িৎ শ্রেণী বলে।
কোনো বস্তু তড়িৎগ্রস্ত কিনা বোঝার জন্য আকর্ষণ অপেক্ষা বিকর্ষণ অধিকতর নির্ভরযোগ্য — ব্যাখ্যা করো।
একটি তড়িদাহিত বস্তু তার বিপরীত আধানে আহিত বস্তুকেও আকর্ষণ করে আবার একটি অনাহিত বস্তুকেও আকর্ষণ করে। তাই এ ক্ষেত্রে দুটি বস্তুর মধ্যে আকর্ষণ দেখে পরীক্ষাধীন বস্তুটি তড়িৎগ্রস্থ কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় না। কিন্তু পরীক্ষাাধীন বস্তু এবং আহিত বস্তুর মধ্যে বিকর্ষণ হলে আমরা নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারি যে পরীক্ষাধীন বস্তুটি আহিত কারণ বিকর্ষণ দুটি সমজাতীয় আধানের মধ্যে হয়। সুতরাং এর থেকে প্রমাণিত হয় যে আকর্ষণ অপেক্ষা বিকর্ষণ তড়িৎগ্রস্ততার ক্ষেত্রে অধিকতর নির্ভরযোগ্য।
তড়িৎ এর ইলেকট্রনীয় মতবাদ কী?
তড়িৎ এর ইলেকট্রনীয় মতবাদ অনুযায়ী, পরমাণুতে ইলেকট্রন সংখ্যা বাড়লে পরমাণু ঋণাত্মক তড়িদাহিত এবং ইলেকট্রন সংখ্যা কমলে পরমাণু ধনাত্মক তড়িদাহিত হয়ে পড়ে।
আধানের কোয়ান্টায়ন কাকে বলে?
প্রকৃতিতে যে ধনাত্মক বা ঋণাত্মক আধান পাওয়া যায় তা সব সময় একটি মূল আধানের মান এর অখণ্ড গুণিতক হয়। মূল আধানটির মান একটি ইলেকট্রনের আধানের সমান হয়। এই ঘটনাকে আধানের কোয়ান্টায়ন বলা হয়।
তড়িদাধানের নিত্যতা সূত্র কী?
কোন বিচ্ছিন্ন বস্তুসংস্থার আধানের মোট পরিমাণ সর্বদা অপরিবর্তিত থাকে। এটি হল তড়িদাধানের নিত্যতা সূত্র।
• তড়িদাধানের নিত্যতা সূত্র হলো সর্বজনীন সূত্র কারণ এর কোনো ব্যতিক্রম নেই।
• তড়িৎ পরিবাহিতার তারতম্য অনুযায়ী সব পদার্থকে দুটি প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করা হয়, যথাক্রমে পরিবাহী এবং অন্তরক বা অপরিবাহী।
পরিবাহী কাকে বলে?
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ সহজে চলাচল করতে পারে তাদের পরিবাহী বলে। উদাহরণ রুপা, তামা, অ্যালুমিনিয়াম খুব ভালো পরিবাহী।
অন্তরক বা অপরিবাহী কাকে বলে?
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ চলাচল করতে পারেনা তাদের অন্তরক বা অপরিবাহী বলা হয়। উদাহরণ কাচ, রবার, চিনামাটি প্রভৃতি অন্তরক বা অপরিবাহী পদার্থের উদাহরণ।
তড়িদাবেশ কাকে বলে ?
একটি আহিত বস্তুকে একটি অন্তরক বা পরিবাহীর কাছে এনে তাকে সাময়িকভাবে আহিত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ আবেশ বলা হয়।
মুক্ত ইলেকট্রন কী?
পরিবাহী পদার্থের পরমাণুর সর্ববহিস্থ কক্ষপথে যে সমস্ত ইলেকট্রন থাকে তাদের উপর নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ বল এতটাই শিথিল যে পরিবাহীর মধ্যে ওই ইলেকট্রন গুলি স্বচ্ছন্দে এক পরমাণু থেকে অন্য পরমাণুতে চলাচল করে, এই ইলেকট্রন গুলিকে মুক্ত ইলেকট্রন বলে।
পরমাণুর সমবর্তন কাকে বলে?
পরমাণুর অভ্যন্তরে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধান গুলির মধ্যে সামান্য আপেক্ষিক ব্যবধানের সৃষ্টি হয়। অন্তরকের সব পরমাণুর ক্ষেত্রে এরকম ঘটে, এই ঘটনাকে পরমাণুর সমবর্তন বলা হয়।
আবেশী আধান কাকে বলে?
যে আধানের প্রভাবে আবেশ সৃষ্টি হয় তাকে আবেশী আধান বলে।
আবিষ্ট আধান কাকে বলে?
আবেশের ফলে উদ্ভূত আধানকে আবিষ্ট আধান বলে।
বদ্ধ আধান কাকে বলে?
আবেশের কারণে কোনো পরিবাহীর নিকটতম প্রান্তের আবিষ্ট আধানকে বদ্ধ আধান বলে
মুক্ত আধান কাকে বলে?
আবেশের কারণে কোনো পরিবাহীর দূরতম প্রান্তের আবিষ্ট আধানকে মুক্ত আধান বলে।
তড়িৎ পর্দা কাকে বলে?
যে ব্যবস্থায় কোনো স্থানকে এমনভাবে পৃথক করা হয় যেখানে বাইরের কোনো আধান ওই স্থানে তার প্রভাব বিস্তার করতে পারে না, সেই ব্যবস্থাকে তড়িৎ পর্দা বলা হয়।
তড়িৎ পর্দায় কোন নীতি প্রয়োগ করা হয়?
সমজাতীয় আধান পরস্পরকে বিকর্ষণ করে, তাই আধান পরিবাহীর পৃষ্ঠে চলে আসে। এই নীতি তড়িৎ পর্দায় প্রয়োগ করা হয়।
তড়িৎবীক্ষণ কাকে বলে?
যে যন্ত্রের সাহায্যে কোনো বস্তুতে তড়িদাধানের অস্তিত্ব এবং প্রকৃতি জানা যায় তাকে তড়িৎবীক্ষণ বলে।
আধানের তলমাত্রিক ঘনত্ব কাকে বলে?
কোনো আহিত পরিবাহীর পৃষ্ঠের প্রতি একক ক্ষেত্রফলে যে পরিমাণ আধান থাকে তাকে আধানের তলমাত্রিক ঘনত্ব বলা হয়।
কেমন লাগছে বিজ্ঞানবুক পড়তে অবশ্যই জানান নীচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল এবং ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক। ধন্যবাদ।