পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বাফার দ্রবণের বৈশিষ্ট্য কী কী?

ছবি
বাফার দ্রবণের বৈশিষ্ট্য বাফার দ্রবণের একটি নির্দিষ্ট pH আছে। দীর্ঘ সময় পরেও এর pH -এর পরিবর্তন ঘটে না। বাফার দ্রবণ লঘু করার সময়েও এর pH এর কোনো পরিবর্তন হয় না। এই দ্রবণে অল্প পরিমাণে অ্যাসিড বা ক্ষার যোগ করলে, pH -এর সামান্য পরিবর্তন ঘটে। বাফার দ্রবণ কাকে বলে ? উত্তর : যে দ্রবণে কোনো অ্যাসিড বা ক্ষার যোগ করার পরেও pH -এর বড়ো কোনো পরিবর্তন হয় না, তাকে বাফার দ্রবণ বলে। বাফার দ্রবণের প্রকারভেদ বাফার দ্রবণ প্রধানত দুই প্রকারের হয়ে থাকে। যথা — অ্যাসিডিক বাফার, ক্ষারীয় বাফার। 1) অ্যাসিডিক বাফার বা অম্লীয় বাফার দুর্বল অ্যাসিড এবং এর লবণ এবং শক্তিশালী ক্ষারের মিশ্রণে এই বাফার এর সৃষ্টি হয়। অ্যাসিডিক বাফার এর উদাহরণ : (i) CH 3 COOH + CH 3 COONa, (ii) HCN + NaCN, (iii) বোরিক অ্যাসিড + বোরাক্স ইত্যাদি। 2) ক্ষারীয় বাফার দুর্বল ক্ষার এবং এর লবণ এবং শক্তিশালী অ্যাসিড এর মিশ্রণে এই বাফার এর সৃষ্টি হয়। ক্ষারীয় বাফার এর উদাহরণ : (i) NH 4 OH + NH 4 Cl, (ii) NH 4 OH + NH 4 NO 3 , (iii) গ্লাইসিন + গ্লাইসিন হাইড্রোক্লোরাইড । 3) সরল বাফার এই বাফার অ্যাসিডের লবণ এবং একটি পলিবেসিক (polybasic) অ্...

উদ্ভিদের রেচন ও প্রাণীর রেচনের পার্থক্য কী কী?

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুকে। এই আর্টিকেলে আমরা দেখবো উদ্ভিদ রেচন ও প্রাণীর রেচনের পার্থক্য। এর সঙ্গে আছে, উদ্ভিদের রেচনের বৈশিষ্ট্য, উদ্ভিদের রেচন পদার্থ ত্যাগের পদ্ধতি, প্রাণীর রেচনের বৈশিষ্ট্য। তাহলে চলুন এক এক করে প্রত্যেকটা পয়েন্ট দেখে নিই। উদ্ভিদ ও প্রাণীর রেচন ক্রিয়ার পার্থক্য উদ্ভিদ প্রাণী 1. রেচন পদার্থ নিষ্কাশন এর জন্য উদ্ভিদ দেহে নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গ থাকে না। পত্রমোচন, বাকল মোচন, গঁদ নিঃসরণ এর মাধ্যমে উদ্ভিদ রেচন পদার্থ, উদ্ভিদ দেহ থেকে ত্যাগ করে। 1. প্রাণীর দেহে রেচন পদার্থ নিষ্কাশন এর জন্য নির্দিষ্ট অঙ্গ এবং তন্ত্র থাকে। 2. অধিকাংশ উদ্ভিদ তাদের রেচন পদার্থ গুলি অদ্রাব্য কেলাস বা কোলয়েড রূপে দেহের কলা-কোশে সঞ্চয় করে রাখে। 2. প্রাণীরা তাদের রেচন পদার্থ বেশি সময়ের জন্য দেহে সঞ্চিত রাখতে পারে না। প্রাণীরা তাদের রেচন পদার্থ এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় দেহ থেকে নির্গত করে। (কয়েকটি সন্ধিপদ এবং সরিসৃপ প্রাণী তাদের রেচন পদার্থ সাময়িক ভাবে বহিঃকঙ্কালে সঞ্চয় করে রাখে)। 3. উদ্ভিদ তাদের রেচন পদার্থ গুলি বিভিন্ন উপচিতি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুনরায় ...

অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড কাকে বলে ?

ছবি
অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড কাকে বলে ? যে সমস্ত ফ্যাটি অ্যাসিড দেহে স্বাভাবিকভাবে সংশ্লেষিত হয় না, দেহের পক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তাকে অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড বা এসেনসিয়াল ফাটি অ্যাসিড বলে। অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিডের উদাহরণ  তিনটি ফ্যাটি এসিড — লিনোলেইক অ্যাসিড, লিনোলেনিক অ্যাসিড এবং অ্যারাকিডোনিক অ্যাসিড হলো অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড। এই অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড গুলি স্বাভাবিকভাবে দেহের মধ্যে সংশ্লেষিত হয় না। অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার মাধ্যমে এইগুলি দেহে আসে। সুতরাং তাহলে দেখে নেয়া যাক কোন কোন খাদ্য থেকে পাওয়া যাবে এই অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড গুলি। অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রকারভেদ 1) লিনোলেইক অ্যাসিড এই অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাবে আঁশযুক্ত চামড়া সহ বিলম্বিত বৃদ্ধি দেখা যায়। মাতৃদুগ্ধে এই ফ্যাটি এসিড বিপুল পরিমাণে উপস্থিত থাকে। একজন সুস্থ ব্যক্তির দেহেও এই ফ্যাটি অ্যাসিড বিপুল পরিমাণে থাকে। তাই মানুষের দেহে এর অভাব একটি অস্বাভাবিক ঘটনা।  যাইহোক, লিনোলেইক অ্যাসিড যে সমস্ত খাদ্য থেকে পাওয়া যায় সেগুলি এবার আলোচনা করা যাক। লিনোলেইক অ্যাসিড পা...