পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র এবং এর গাণিতিক রূপ

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানব তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র এবং তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্রের গাণিতিক রূপ সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। শক্তির সংরক্ষণ সূত্র অনুযায়ী শক্তিকে সৃষ্টি বা ধ্বংস কোনটাই করা যায় না শুধুমাত্র শক্তিকে এক রূপ থেকে অন্যরূপে পরিবর্তিত করা যায়। ঠিক একই রকম তাপ গতিবিদ্যার প্রথম সূত্র।  তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র  মহাবিশ্বে মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট এবং অপরিবর্তনীয়।  তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্রের গাণিতিক রূপ  একটি বদ্ধ সিস্টেম এবং পরিবেশের মধ্যে তাপ বা কার্য অথবা তাপ এবং কার্য উভয়ের আদান-প্রদান ঘটলে সিস্টেমের অবস্থান পরিবর্তন হয় এবং এর ফলে সিস্টেমের আন্তরশক্তির পরিবর্তন ঘটে থাকে। মনে করি বদ্ধ সিস্টেমের প্রারম্ভিক  অবস্থার আন্তরশক্তির হলো U 1 এই বদ্ধ সিস্টেমে q পরিমান তাপ প্রয়োগ করা হলো এবং সিস্টেম এই পরিমাণ তাপ সম্পূর্ণরূপে শোষণ করলো।  তাপ গতিবিদ্যার প্রথম সূত্র অনুযায়ী তাপের বা অন্য যেকোনো প্রকারের শক্তির বিনাশ নেই তাই শোষিত তাপের সম্পূর্ণ অংশই আন্তরশক্তি রূপে সিস্টেমের সঞ্চিত হবে। সুতরাং, প্রারম্ভিক অবস্...

আইসোটোপ কাকে বলে? আইসোটোপের ব্যবহার

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো আইসোটোপ কাকে বলে আইসোটোপের ব্যবহার সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। আইসোটোপ কাকে বলে?  একই মৌলের বিভিন্ন পরমাণু, যাদের পরমাণুক ক্রমাঙ্ক বা প্রোটন সংখ্যা একই, কিন্তু নিউক্লিয়াসের বিভিন্ন সংখ্যক নিউট্রন থাকার ফলে ভর সংখ্যা আলাদা হয়, এই পরমাণু গুলিকে পরস্পরের আইসোটোপ বা সংস্থানিক বলে।  আইসোটোপ গুলির রাসায়নিক ধর্ম অভিন্ন হয় অর্থাৎ একই রকমের হয়, কিন্তু পারমাণবিক ভরের উপর নির্ভরশীল এমন ভৌত ধর্ম গুলি পৃথক হয়। প্রথমে তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে আইসোটোপের অস্তিত্ব জানা গেলেও পরে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে প্রায় প্রতিটি প্রাকৃতিক মৌলেরই আইসোটোপ আছে। আইসোটোপগুলি তেজস্ক্রিয় অথবা অ-তেজস্ক্রিয় দুই প্রকার হতে পারে। একটি মৌলের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ থাকতে পারে আবার এর সাথে সাথে অ-তেজস্ক্রিয় আইসোটোপও থাকতে পারে। আইসোটোপের ব্যবহার  ১) পৃথিবীর বয়স বা জৈব পদার্থ সমন্বিত প্রাচীন বস্তুর বয়স নির্ণয় করার জন্য কার্বনের কার্বন-14 তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়। ২) চিকিৎসা বিজ্ঞানে ক্যান্সার টিউমার ও গলগন্ড রোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন তেজস্ক্...

জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যের মধ্যে পার্থক্য

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুকে। এই পোস্টে আমরা জানবো জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে। তাহলে চলুন বিস্তারিত দেখে নিই প্রধান পার্থক্যগুলি। জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যের মধ্যে পার্থক্য ১) জাতীয় উদ্যান : প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সহ যেসব স্থানে সমস্ত রকম গাছপালা, বন্য জীবজন্তু নিজস্ব পরিবেশে, কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে সংরক্ষিত হয়। অভয়ারণ্য : যে বিশেষ সংরক্ষিত অঞ্চলে গাছপালার সঙ্গে বিশেষ কোনো প্রজাতির রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা আছে। ২) জাতীয় উদ্যান : জাতীয় উদ্যান এর মাধ্যমে ফ্লোরা এবং ফনা উভয়কেই সুরক্ষিত করা হয়। অভয়ারণ্য : অভয়ারণ্যের মাধ্যমে শুধুমাত্র ফনাকে সুরক্ষিত করা হয়। ৩) জাতীয় উদ্যান : জাতীয় উদ্যান থেকে কোনো প্রকারের বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা হয় না। অভয়ারণ্য : অভয়ারণ্য থেকে বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা হয়। ৪) জাতীয় উদ্যান : উদাহরণ - পশ্চিমবঙ্গের জলদাপাড়া, উত্তরপ্রদেশের করবেট, মধ্যপ্রদেশের কানহা, শিবপুরি ইত্যাদি। অভয়ারণ্য : উদাহরণ - পশ্চিমবঙ্গের বেথুয়াডহরি, কর্ণাটকের বন্দিপুর ইত্যাদি। জাতীয় উদ্যান অভয়ারণ্য 1. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সহ যেসব স্থানে সমস্ত রকম...

লেন্সের ক্ষমতার সূত্র কী ?

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুকে। এই পোস্টে আমরা জানবো লেন্সের ক্ষমতা সূত্র সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।  লেন্সের ক্ষমতার সূত্র লেন্সের ক্ষমতার একক হলো ডায়োপটার। একে D বা dpt আকারে প্রকাশ করা হয়।  উত্তর লেন্সের ক্ষেত্রে D এর মান ধনাত্মক হয় অর্থাৎ '+' হয়। অবতল লেন্সের ক্ষেত্রে D এর মান ঋণাত্মক হয় অর্থাৎ '-' হয়। D এর মান দেখে বোঝা যায় লেন্সটা উত্তল না অবতল। লেন্সের ক্ষমতা = P ফোকাস দৈর্ঘ্য = f ফোকাস দৈর্ঘ্য যদি মিটারে থাকে তাহলে লেন্সের ক্ষমতার সূত্র হবে, P = 1 f ফোকাস দীর্ঘ যদি সেন্টিমিটারে থাকে তাহলে লেন্সের ক্ষমতা সূত্র হবে, P = 100 f যদি প্রশ্নে লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বের করতে বলে সেক্ষেত্রে যে সূত্র ব্যবহার করতে হবে তা হলো, f = 100 P ধরো প্রশ্নে আছে কোনো একটি 2D ক্ষমতার লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য কত এবং এটি কী ধরনের লেন্স ? যেহেতু লেন্সের ক্ষমতার মান ধনাত্মক আছে তাই বোঝাই যাচ্ছে এটি একটি উত্তল লেন্স। এবং ফোকাস দৈর্ঘ্য হলো, f = 100 P ...

লেন্সের সাধারণ সূত্র কী ?

ছবি
স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুকে। এই পোস্টে জানবো লেন্সের সাধারণ সমীকরণ বা লেন্সের সাধারণ সূত্র সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক।  লেন্সের সাধারণ সূত্র কী ? বস্তু দূরত্ব, প্রতিবিম্ব দূরত্ব এবং লেন্সের ফোকাস দূরত্বের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কই হলো লেন্সের সাধারণ সূত্র। বস্তু দূরত্ব = u প্রতিবিম্ব দূরত্ব = v লেন্সের ফোকাস দূরত্ব = f লেন্সের সাধারণ সূত্র হলো,  1 v + 1 u = 1 f উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব ধনাত্মক ধরা হয়, সেই কারণে মাঝখানে '+' চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু যদি অবতল লেন্সের প্রশ্ন থাকে অর্থাৎ, প্রশ্নে যদি লেন্সের সাধারণ সূত্র হিসেবে অবতল লেন্সের কথা উল্লেখ থাকে তাহলে মাঝখানে '-' চিহ্ন বসবে। 1 v - 1 u = 1 f এটা যদি প্রশ্নে অবতল লেন্স উল্লেখ থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে লেন্সের সাধারণ সূত্র হিসেবে এই সূত্রটা উত্তর হবে।