নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে।
একই স্ত্রীলিঙ্গধরের মধ্যে অবস্থিত দুটি ভিন্ন ধরনের (ডিম্বাণু ও নির্ণীত নিউক্লিয়াস) স্ত্রী জনন কোশের সঙ্গে দুটি পুং গ্যামেটের মিলন ঘটার মাধ্যমে যে নিষেক ঘটে তা হলো দ্বিনিষেক।
এই দ্বিনিষেক পদ্ধতি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী নওয়াসিন, Fritillaria এবং Lilium নামক দুটি উদ্ভিদকে পরীক্ষার মাধ্যমে।
দ্বিনিষেক পদ্ধতিটি শুধুমাত্র গুপ্তবীজী সস্যল উদ্ভিদ দেহেই সম্পন্ন হয়। উদাহরণ - রেড়ি, ভুট্টা, গম, ধান ইত্যাদি।
দ্বিনিষেক পদ্ধতি
1) পরাগযোগের পর পরাগরেণু থেকে পরাগনালী নির্গত হয়ে গর্ভদণ্ডের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত হতে থাকে। পরাগনালিতে দুটি পুং গ্যামেট থাকে।
2) পরাগনালি ডিম্বক কেন্দ্র দিয়ে ভ্রূণস্থলীতে প্রবেশ করে।
3) ভ্রূণস্থলির অগ্রভাগ বিদীর্ণ হলে পুং গ্যামেট বা পুং জনন কোশ দুটি ভ্রূণস্থলীতে মুক্ত হয়।
4) একটি পুং জনন কোশ, ডিম্বাণুকে (oosphere) নিষিক্ত করে এবং এর ফলে ডিপ্লয়েড জাইগোট (2n) (oospore) সৃষ্টি হয়।
5) অপর পুং জনন কোশ নির্ণীত নিউক্লিয়াস (2n) -কে নিষিক্ত করে এবং এর ফলে ট্রিপ্লয়েড সস্য নিউক্লিয়াস (3n) সৃষ্টি হয়।