পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মাশরুমের পুষ্টিগুণ | Healthy benifits of mushroom

ছবি
বিজ্ঞানবুক -এ আপনাকে স্বাগত। এই আর্টিকেলে আমরা যে বিষয় সম্বন্ধে জানবো তা হলো মাশরুমের পুষ্টিগুণ বা মাশরুমের উপকারিতা। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। প্রোটিন, শর্করা, তন্তু বা ফাইবার, স্নেহ বস্তু বা ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ মৌল প্রভৃতি গুণসম্পন্ন মাশরুম আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। মাশরুমের পুষ্টিগুণ ১. প্রোটিন: মাশরুমে অশোধিত প্রোটিনের পরিমাণ 100 গ্রামে 43 গ্রাম। ২. শর্করা: আমাদের নিত্য ব্যবহৃত ভোজ্য মাশরুমে শর্করার পরিমাণ 50-70% । ৩. তন্তু বা ফাইবার: ভোজ্য মাশরুমে তন্তুজ পদার্থ সর্বোচ্চ থাকে 17.5% । ৪. স্নেহবস্তু বা ফ্যাট: ভোজ্য মাশরুমে স্নেহবস্তুর পরিমাণ সর্বোচ্চ থাকে 8.2% । ৫. ভিটামিন: ভোজ্য মাশরুমে ভিটামিন প্রয়োজনের থেকে একটু বেশিই থাকে। এদের মধ্যে থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড বেশি পরিমাণে থাকে। ৬. খনিজ মৌল: মাশরুমে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লৌহ এবং সোডিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। ৭. পুষ্টিমান: মাশরুমের পুষ্টি সূচক মাঝারি 22 ( Agaricus bisporus )  । এক্ষেত্রে মুরগির মাংসের পুষ্টি সূচক 59 । Bigyanbook এর সমস্ত নতুন পোস্টের আপডেট পেয়ে ...

পরাগরেণু পোষণ কী? | What is pollen culture? | What is haploid culture?

ছবি
বিজ্ঞানবুক -এ আপনাকে স্বাগত। এই আর্টিকেলে আমরা যে বিষয় সম্বন্ধে জানবো তাহলো পরাগরেণু পোষণ। পরাগরেণু পোষণ কি তা আমরা এই আর্টিকেলে জানতে পারবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। পরাগরেণু পোষণ কী? উদ্ভিদের পুং জনন অঙ্গ হল পরাগধানী। পরাগধানীর মধ্যে মিয়োসিস কোষ বিভাজনের ফলে হ্যাপ্লয়েড পরাগ বা হ্যাপ্লয়েড পোলেন তৈরি হয়। পোষণ মাধ্যমে এই হ্যাপ্লয়েড পরাগকে পোষণ করে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করাকে পরাগ রেণু পোষণ বলে। পরাগরেণু পোষণের মাধ্যমে উৎপন্ন উদ্ভিদ হ্যাপ্লয়েড প্রকৃতির হয়। এই জন্য একে হ্যাপ্লয়েড কালচারও বলে। • পোষণ পদ্ধতি: জীবাণুনাশক তরল দিয়ে সতেজ ফুলের কুড়ির বহির্ভাগ জীবাণুমুক্ত করা হয়। এরপর পরাগধানীগুলি পৃথক করা হয়। পৃথকীকৃত পরাগধানী থেকে পরাগরেণু গুলিকে আলাদা করে পোষণ মাধ্যমে রাখা হয়। পরাগধানী থেকে পরাগরেণু গুলিকে বের করার জন্য পরাগধানী গুলিকে চাপ দিয়ে পরাগরেণু গুলিকে বের করে সেন্ট্রফিউজের মাধ্যমে আলাদা করা হয়। পরাগরেণু পোষণে MS মিডিয়াম ব্যবহার করা হয়। এই MS মিডিয়ামে সুক্রোজ 2-4% এবং আয়রন থাকা প্রয়োজনীয়। পরাগ থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদ হ্যাপ্লয়েড প্রকৃতির হয়। ডিপ্লয়েড উদ্ভিদ সৃষ্টি করার ...

মাইরাসিডিয়াম লার্ভা | Miracidium larva | Bigyanbook

ছবি
বিজ্ঞানবুক -এ আপনাকে স্বাগত। এই আর্টিকেলে আমরা মাইরাসিডিয়াম লার্ভা সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। মাইরাসিডিয়াম লার্ভা (Miracidium larva) • ১. মাইরাসিডিয়াম লার্ভা সিলিয়াযুক্ত এবং মুক্ত সঞ্চারণশীল লার্ভা। লার্ভার দেহ গাত্রে সিলিয়াযুক্ত এপিডারমাল কোষের পাঁচটি রিং থাকে। মাইরাসিডিয়াম লার্ভা এর দেহ কিউটিকল দাঁড়া আবৃত থাকে। • ২. মাইরাসিডিয়াম লার্ভা এর দেহের অগ্রপ্রান্ত শঙ্কু আকৃতির এপিক্যাল প্যাপিলা এবং এপিক্যাল গ্রন্থি থাকে। • ৩. দেহের অগ্র প্রান্তে থাকা এপিক্যাল গ্রন্থির উভয় পাশে থাকে পেনিট্রেশন গ্রন্থি। • ৪. পেনিট্রেশন গ্রন্থির প্রতিটিতে দুটি ফ্লেমকোশ সহ একজোড়া প্রোটোনেফ্রিডিয়া  থাকে। • ৫. লার্ভার দেহের পশ্চাৎ প্রান্তে থাকা জার্ম কোষ বিভাজিত হয়ে ভ্রুন গঠন করে। • ৬. মাইরাসিডিয়াম লার্ভা কোন খাদ্য গ্রহণ করে না। • ৭. মাইরাসিডিয়াম লার্ভা এর অন্তর্বর্তী পোষক হলো Limnea    অথবা  Planorbis গণের স্বাদুজলে বাস করা ছোটো শামুক। Bigyanbook এর সমস্ত নতুন পোস্টের আপডেট পেয়ে যান সরাসরি আপনার ইমেইলের ইনবক্স এ। নিচে আপনার ইমেইল দিয়ে ফ্রিতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। এ...

পায়রার দুধ | Pigeon's milk - What is Pigeon's milk?

ছবি
বিজ্ঞান বুক এ আপনাকে স্বাগত। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো পায়রার দুধ সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। পায়রার দুধ কী? প্রজনন ঋতুতে পুরুষ এবং স্ত্রী পায়রার ক্রপের আঁইশাকার আবরণী কলার ফ্যাট যুক্ত কোষ বিচ্ছিন্ন হয়ে একপ্রকার শ্বেতবর্ণের তরল পদার্থ ক্ষরণ করে একে পায়রার দুধ বলে। পায়রার এই শ্বেতবর্ণের তরল পদার্থের মধ্যে থাকে, জল 65.87% , প্রোটিন 13.3% - 18.6% , ফ্যাট 6.0% - 12.7% , অঙ্গার 1.5% । • পায়রার শাবকরা এই দুগ্ধ পান করে পুষ্টি লাভ করে থাকে। Bigyanbook এর সমস্ত নতুন পোস্টের আপডেট পেয়ে যান সরাসরি আপনার ইমেইলের ইনবক্স এ। নিচে আপনার ইমেইল দিয়ে ফ্রিতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। এই ওয়েবসাইট টিকে দ্রুত খুঁজে পাওয়ার জন্য এটিকে আপনার ব্রাউজারে বুকমার্ক হিসেবে অ্যাড করুন। এছাড়াও আপনি লাইক করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ। নিচে সোশ্যাল প্লাগিন অপশনে ফেসবুক লেখাটিতে ক্লিক করে আপনি আমাদের ফেসবুক পেজে গিয়ে লাইক, ফলো করতে পারেন। এছাড়াও আপনি লাইক করতে পারেন এবং সাবস্ক্রাইব করতে পারেন আমাদের টুইটার হ্যান্ডেল এবং ইউটিউব চ্যানেল। পড়তে থাকুন বিজ্ঞান এর সমস্ত বিষয় সম্পূর্ণ বাংলায়, বিজ্ঞানবুক -এ। পড়ত...

ল্যাসারটিলিয়া ও অফিডিয়া এর পার্থক্য | Difference between Lacertilia and Ophidia

ছবি
বিজ্ঞানবুক -এ আপনাকে স্বাগত। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো ল্যাসারটিলিয়া এবং অফিডিয়ার মধ্যে পার্থক্য। ল্যাসারটিলিয়া এবং অফিডিয়া কোন কোন দিক থেকে আলাদা তার সবকিছু আমরা এই আর্টিকেলে জানবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। ল্যাসারটিলিয়া ও অফিডিয়া এর পার্থক্য ১. ল্যাসারটিলিয়া: এরা চার পদ বিশিষ্ট সরীসৃপ প্রাণী। প্রত্যেক পদে পাঁচটি নখ যুক্ত আঙ্গুল থাকে। ১. অফিডিয়া: এরা পদ বিহীন সরীসৃপ প্রাণী। (ব্যতিক্রম পাইথন, বোয়া, অজগর সাপের পশ্চাদপদ এর চিহ্ন বর্তমান) ২. ল্যাসারটিলিয়া : এদের বহিঃস্ত্বকীয় আঁশ গুলি ক্ষুদ্রাকার এবং এগুলি একে অপরের উপর সজ্জিত থাকে। এদের অস্টিওডার্ম উপস্থিত থাকে। ২. অফিডিয়া: এদের আঁশগুলো দেহের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন ভাবে রূপান্তরিত অবস্থায় থাকে। এদের অস্টিওডার্ম অনুপস্থিত। ৩. ল্যাসারটিলিয়া: এদের শরীরে বক্ষ চক্র, শ্রোণীচক্র উরঃফলক উপস্থিত। ৩. অফিডিয়া: এদের শরীরে বক্ষ চক্র কোন সময়েই থাকেনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শ্রোণীচক্র এবং পশ্চাত্পদ অনুপস্থিত। ৪. ল্যাসারটিলিয়া: এদের করোটি স্নায়ু 12 জোড়া। ৪. অফিডিয়া: এদের করোটি স্নায়ু 10 জোড়া। ৫. ল্যাসারটিলিয়া: উদাহরণ — টিকটিকি। ৫...

জননের গুরুত্ব | What are the Importance of reproduction?

ছবি
জীবের জননের প্রয়োজনীয়তা জনন হলো জীবের অন্যতম এক প্রধান বৈশিষ্ট্য। এই জনন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিটি জীব তাদের নিজেদের অস্তিত্বকে অপত্যদের মধ্যে বাঁচিয়ে রেখে বংশ রক্ষা এবং বংশ বিস্তার ঘটায়। বংশ বিস্তারের মাধ্যমে জীবনের প্রভাব অক্ষুন্ন থাকে। জনন এর মাধ্যমে যে জীব থেকে অপত্য জীবের সৃষ্টি হয় তাকে জনিতৃ জীব বলে এবং জনিতৃ জীব থেকে সৃষ্ট জীব কে অপত্য জীব বলে।  জনন কাকে বলে ? যে জৈবিক পদ্ধতিতে জীব তার নিজের সত্তা এবং আকৃতিবশিষ্ট অপত্য জীবের সৃষ্টি করে এবং সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে বংশধারা কে অক্ষুন্ন রাখে, তাকে জনন বা রিপ্রোডাকশন বলে। • জননের গুরুত্ব (Importance of reproduction): ১. সমগ্র জীবজগৎ জনন পদ্ধতির মাধ্যমে, বংশধর সৃষ্টির দ্বারা নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখে। ২. জননের মাধ্যমে প্রতিটি জীব তাদের নিজ প্রজাতির সংখ্যা বৃদ্ধি করে। ৩. জনন এর মাধ্যমে প্রতিটি জীব তার বংশানুক্রমিক ধারা কে বাঁচিয়ে রাখে। ৪. জনন এর দ্বারা জীবের মৃত্যুজনিত সংখ্যার হ্রাস এর পূরণ ঘটে, এর ফলে পৃথিবীতে জীবজগতের ভারসাম্য বজায় থাকে। ৫. যৌন জননের দ্বারা অপত্য বংশধরদের মধ্যে নানা বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় ঘটে, ভেদ বা প্রকর...

সেন্ট্রাল ডগমা কী ?

ছবি
সেন্ট্রাল ডগমা কী ? প্রোটিন সংশ্লেষণ পদ্ধতি অর্থাৎ DNA এর জেনেটিক সংকেত mRNA তে এবং mRNA থেকে প্রোটিনে বাহিত হওয়ার ঘটনাকে সেন্ট্রাল ডগমা বলে। সেন্ট্রাল ডগমা কথাটি প্রথম প্রবর্তন করেন ক্রিক (Crick) 1958 খ্রিস্টাব্দে। ক্রিকের মডেল অনুযায়ী সেন্ট্রাল ডগমা একমুখী। অর্থাৎ DNA এর জেনেটিক সংকেত mRNA তে বাহিত হয় এবং mRNA থেকে প্রোটিনে বাহিত হয়। সেন্ট্রাল ডগমা প্রথম ধাপ কে ট্রানস্ক্রিপশন বলে। এই ট্রান্সক্রিপশনের মাধ্যমে DNA -এর জেনেটিক সংকেত mRNA তে পৌঁছায়। এই ধাপে কোডের কোনো পরিবর্তন হয় না কারণ, DNA এবং mRNA একে অপরের পরিপূরক। সেন্ট্রাল ডগমার দ্বিতীয় ধাপকে ট্রান্সলেশন বলে। এই ধাপে DNA এর জেনেটিক সংকেত mRNA থেকে প্রোটিনে পৌঁছায়। এই ধাপে কোডের পরিবর্তন হয়। নিউক্লিওটাইড ক্রম (Sequence) অ্যামিনো অ্যাসিড ক্রমে পরিবর্তিত হয়। সেন্ট্রাল ডগমা ছক DNA → DNA রেপ্লিকেশন DNA → mRNA ট্রান্সক্রিপশন mRNA → প্রোটিন ট্রান্সলেশন প্রোটিন → mRNA রিভার্স ট্রান্সলেশন mRNA → DNA রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন 1968 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী...

ট্রান্সপোজন | Transposon | Transposable element

ছবি
What is Transposon? or Transposable element? যে বিশেষ DNA খন্ড ক্রোমোজোমের মধ্যে বা এক ক্রোমোজোম থেকে অন্য ক্রোমোজোমে স্থান পরিবর্তন করতে সক্ষম তাকে ট্রান্সপোজেবল এলিমেন্ট বা ট্রান্সপোজন (Transposon or Transposable element) বলে। • বারবারা ম্যাক্লিংটক 1940 সালে ভুট্টার অন্তর্বীজের মধ্যে বর্ণের বৈচিত্র্য লক্ষ্য করেন। বারবারা ম্যাক্লিংটক এর মতে, এই বর্ণবৈচিত্র্য অস্থায়ী এবং পরিব্যক্তির ফলস্বরূপ এবং এই পরিব্যক্তি এক ধরনের সচল জেনেটিক পদার্থ বা DNA খন্ড এর জন্য সংঘটিত হয়। 1983 খ্রিস্টাব্দে বারবারা ম্যাক্লিংটক তার এই গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার পান। বিজ্ঞানী বারবারা ম্যাক্লিংটক এটিকে 'জাম্পিং জিন' (Jumping gene) নাম দিয়েছিলেন। • এখনো পর্যন্ত যত প্রাণী এবং উদ্ভিদে পরীক্ষা করা হয়েছে প্রায় সব ক্ষেত্রেই এই Transposable element এর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। মানুষের জিনোমে এই ধরনের সচল DNA খন্ডের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এখনো পর্যন্ত Tn3, Tn4, Tn5 ইত্যাদি প্রায় 35 টির ও বেশি Transposon এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয় যে এই Transposon এর জন্যে অভিব্যাক্তি (Evolution) ঘট...

অযৌন জননের সুবিধা ও অসুবিধা | Advantages and disadvantages of Asexual reproduction

ছবি
বিজ্ঞানবুক এ আপনাকে স্বাগতম। এই আর্টিকেলে আমরা যে বিষয় সম্বন্ধে জানবো তা হলো অযৌন জননের সুবিধা এবং অসুবিধা। অযৌন জননের সুবিধা কি কি এবং অযৌন জননের অসুবিধা কি কি তার সমস্ত কিছু আমরা এই আর্টিকেলে জানব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। অযৌন জননের সুবিধা ও অসুবিধা • অযৌন জননের সুবিধা : ১. অযৌন জননের একটিমাত্র জনিতৃ থেকে বংশবিস্তার সম্ভব। অর্থাৎ, যৌন মিলনের প্রয়োজন হয়না। ২. অযৌন জনন খুব সরল একটি পদ্ধতি যা কেবল অ্যামাইটোসিস এবং মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। ৩. অযৌন জননের মাধ্যমে দ্রুত বংশ বিস্তার ঘটে। ৪. একটিমাত্র জনিতৃ থেকে অযৌন জননের মাধ্যমে অসংখ্য অপত্য জীব সৃষ্টি হয়। ৫. অযৌন জননের মাধ্যমে সৃষ্ট অপত্য জীব গুলি জিনগতভাবে মাতৃ জীবের সদৃশ হয়। • অযৌন জননের অসুবিধা : ১. অযৌন জনন পদ্ধতিতে জিন বস্তুর মিলন না ঘটায় প্রজাতির মধ্যে কোনো ভেদ বা ভেরিয়েশন লক্ষ করা যায় না। ২. অযৌন জনন পদ্ধতিতে অপত্য দের মধ্যে প্রজাতিগত ভেদ না থাকায় এদের বিবর্তন ঘটে না। ৩. অযৌন জনন পদ্ধতিতে খুব দ্রুত হারে বিভাজন ঘটে ফলে জীবের সংখ্যা অতিরিক্ত হারে বেড়ে যায়। এর ফলে অপত্য দের খাদ্য এবং বাসস্থানের সংকুলান ...

অচল রেণু কাকে বলে ?

ছবি
অচল রেণু কাকে বলে ? ফ্লাজেলা বিহীন নিশ্চল রেনুকে অচল রেণু বা অ্যাপ্লানোস্পোর বলে। যেমন — 1. রেণুস্থলীরেনু : Rhizopus , Mucor প্রভৃতি ছত্রাকে অনুকূল পরিবেশে রেণুস্থলীর মধ্যে অসংখ্য এককোষী নিশ্চল রেনু সৃষ্টি হয়। রেণুস্থলী বিদারিত হয়ে রেনু বাইরে নির্গত হয় এবং এরপর অঙ্কুরিত হয় ও অপত্য ছত্রাক সৃষ্টি করে। 2. কনিডিয়া : Penicillium জাতীয় ছত্রাকে বায়বীয় দন্ডাকার কনিডিওফোর থেকে অসংখ্য কনিডিয়া উৎপন্ন হয়। এই কনিডিয়া গুলি এক বা একাধিক সারিতে শৃঙ্খলাকারে সজ্জিত হয়। প্রতিটি কনিডিয়াম গোলাকার বা বৃত্তাকার এবং সূক্ষ্ম প্রাচীর যুক্ত হয়। কনিডিওফোর থেকে বিচ্ছিন্ন হবার পর কনিডিয়াম অঙ্কুরিত হয়ে অপত্য ছত্রাক সৃষ্টি করে। 3. ওইডিয়া : ছত্রাক অনুসুত্রের অগ্রভাগ বারবার বিভাজিত হয়ে গোলাকার বা আয়তাকার আকার ধারণ করে। শর্করা ও লবণের মাত্রা বেশি থাকলে ওইডিয়া উৎপন্ন হয়। ওইডিয়াম বিচ্ছিন্ন হয়ে অঙ্কুরোদগম এর মাধ্যমে নতুন অনুসূত্র গঠন করে। যেমন — Agaricus 4. ক্লামাইডোস্পোর : প্রতিকূল পরিবেশেও অনেক ছত্রাকের কোষ খাদ্য সঞ্চয় এর ফলে আয়তনে বৃদ্ধি পায় এবং গোলাকার আকৃতি ধারণ করে। ক্ল্যামাইডোস্পোর অনুকূল ...

মদ্যপানের ফলাফল | Alcoholism

ছবি
বিজ্ঞানবুক এ আপনাকে স্বাগত। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো মদ্যপানের ফলাফল। মদ্যপানের উপর ভিত্তি করে বা মাদকাসক্তির উপর ভিত্তি করে মদ্যপানের শ্রেণীবিভাগ আমরা জানবো এই আর্টিকেলে। মদ্যপান কোন কোন দিক থেকে ক্ষতিকারক, মদ্যপান করার বিভিন্ন সমস্যা সমস্ত কিছুই আমরা এই আর্টিকেলে জানবো। এবং মাদকাসক্তি থেকে কিভাবে দূরে থাকা যায় তাও আমরা এই আর্টিকেলে জানব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। মদ্যপানের ফলাফল • ইথাইল অ্যালকোহল এর বিভিন্ন মাত্রার জলীয় দ্রবণ বাজারে বিভিন্ন নামের মদ হিসেবে পাওয়া যায়। যেমন — বিয়ার (Beer), ব্রান্ডি (Brandy), ভোদকা (Vodka), জিন (Gin) মদ্যপানের শ্রেণীবিভাগ : মানুষের মধ্যে মদ্যপানের পরিমাণ ও পানজনিত অসুবিধা সৃষ্টির উপর ভিত্তি করে মাদকাসক্তি বা অ্যালকোহলিজম কে ৫ ভাগে ভাগ করা যায়। ১. Alpha alcoholism : আলফা অ্যালকোহলিজম :- এক্ষেত্রে সাধারণত কোনো শারীরিক বা মানসিক যন্ত্রণা দূর করার জন্যে অত্যাধিক পরিমাণে মদ্যপান করা হয়। নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। ২. Beta alcoholism : বিটা অ্যালকোহলিজম :- সামাজিক কারণে এক্ষেত্রে অত্যাধিক পরিমাণে মদ্যপান করা হয়। মদের উপর কোনো আসক্তি জন্মায় না। ল...

অ্যামিবিক আমাশা-র লক্ষন | Symptoms of amoebic diarrhea

ছবি
 অ্যামিবিক আমাশা-র লক্ষন ১. পরজীবী অন্ত্রের অন্তগাত্রের মাইক্রোভিলির সঙ্গে যুক্ত হয়। ল্যাকটিন নামক শর্করা প্রোটিন যৌগ যুক্ত হতে সাহায্য করে। ২. ট্রফোজয়েটের প্লাজমা পর্দা থেকে নিঃসৃত এনজাইম অন্ত্রের কোলাজেন তন্তু কে ধীরে ধীরে দ্রবীভূত করে ক্ষত সৃষ্টি করে। ৩. এই ক্ষত ধীরে ধীরে প্রসারিত হতে থাকে এবং ক্ষতস্থান থেকে রক্ত, মিউকাস নির্গত হয় ও তা অন্ত্রের গহ্বরে জমা হতে থাকে। এই ক্ষত থেকেই আমাশয়ের সৃষ্টি হয়। ৪. ক্ষতস্থান ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে তলপেটে ব্যাথা, কোষ্ঠবদ্ধতা, স্নায়ুদৌর্বল্য প্রভৃতি দেখা যায়। Bigyanbook এর সমস্ত নতুন পোস্টের আপডেট পেয়ে যান সরাসরি আপনার ইমেইলের ইনবক্স এ। নিচে আপনার ইমেইল দিয়ে ফ্রিতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। এই ওয়েবসাইট টিকে দ্রুত খুঁজে পাওয়ার জন্য এটিকে আপনার ব্রাউজারে বুকমার্ক হিসেবে অ্যাড করুন। এছাড়াও আপনি লাইক করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ। নিচে সোশ্যাল প্লাগিন অপশনে ফেসবুক লেখাটিতে ক্লিক করে আপনি আমাদের ফেসবুক পেজে গিয়ে লাইক, ফলো করতে পারেন। এছাড়াও আপনি লাইক করতে পারেন এবং সাবস্ক্রাইব করতে পারেন আমাদের টুইটার হ্যান্ডেল এবং ইউটিউব চ্যানেল...