জেনেটিক ফিউশন | What is genetic fusion? : Genetic fusion

Text size:

এই আর্টিকেল এ যে বিষয়ে জানবো তা হলো জেনেটিক ফিউশন। এই জেনেটিক ফিউশন হলো বায়োটেকনোলজির একটি প্রযুক্তিগত কৌশল। সেই বিষয়েই এই পোস্টে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।


শুরুর আগে আমরা বায়োটেকনোলজি সম্বন্ধে কিছু জানবো। জৈবপ্রযুক্তি অর্থাৎ বায়োটেকনোলজির ইতিহাস অনেক পুরনো। প্রাচীনকাল থেকেই একে আশ্রয় করে অনেক মানুষ দিন যাপন করত। এই জৈব প্রযুক্তি বা বায়োটেকনোলজির মানুষের রান্নাঘর থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞান পর্যন্ত ব্যাপ্তি ঘটেছিল। একটি সরলতম জৈব প্রযুক্তির উদাহরণ হল যা প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ব্যবহার করে আসছে যেমন খাদ্য সংরক্ষণে নুন এর ব্যবহার। সভ্যতার বিকাশের আদিকাল থেকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় জৈবপ্রযুক্তির কিছু কিছু দিক প্রায় খ্রিস্টপূর্ব 6000 বছর পুরনো। জৈবপ্রযুক্তি বা বায়োটেকনোলজি স্বীকৃতি লাভ করে 1920 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ। 1919 খ্রিস্টাব্দে হাঙ্গেরির ইঞ্জিনিয়ার কার্ল এরাকী (Karl Ereky) প্রথম বায়োটেকনোলজি কথাটি প্রবর্তন করেন।

আরো পড়ুন: স্পার্ম ব্যাংক বা শুক্রাণু ব্যাংক

আধুনিক জৈবপ্রযুক্তি (Modern Biotechnology)

প্রায় 1920 খ্রিস্টাব্দে থেকে আধুনিক জৈবপ্রযুক্তি বা মর্ডান বায়োটেকনোলজির শুরু হয়। 1920 খ্রিস্টাব্দে ইরানের পাস্তুর এবং 1925 খ্রিস্টাব্দে রেজি ইনস্টিটিউটে কতগুলি ভ্যাকসিন তৈরীর মাধ্যমে আধুনিক জৈবপ্রযুক্তি বা মর্ডান বায়োটেকনোলজির সূচনা ঘটে। এই আধুনিক জৈব প্রযুক্তির অন্তর্গত কিছু প্রযুক্তিগত কৌশল হলো — জেনেটিক ফিউশন, প্রোটোপ্লাস্ট ফিউশন, জিন আম্প্লিফিকেশন, হাইব্রিডোমা সৃষ্টি ও পুনর্জীবিত ডিএনএ প্রযুক্তি।

আরো পড়ুন: অযৌন জননের সুবিধা ও অসুবিধা

জেনেটিক ফিউশন (Genetic fusion)

একটি ক্রোমোজোমের এক জায়গার কিছু জিন ওই ক্রোমোজোমের অপর কোন জায়গায় যুক্ত হলে তাকে জেনেটিক ফিউশন বলে।

এতে ক্রোমোজোমের কোন একটি জিনের পাশের একটি অংশ স্থানচ্যুত হয় এবং সেই জায়গায় অন্য একটি জিন এসে জুড়ে যায়। এর ফলে দুটি জিন খন্ড একত্রিত হয় এবং জেনেটিক ফিউশন ঘটে। E. coli এর কোশে gal ওপেরন এবং biotin ওপেরন একটি ক্রোমোজোমের আলাদা আলাদা জায়গায় অবস্থিত। বায়োটিন অপেরনের স্ট্রাকচারাল জিন এবং গল ওপেরনের মাঝে থাকে বায়ো-ওপেরনের রেগুলেটর জিন ও তার অন্যান্য নিয়ন্ত্রক জিনগুলি। জেনেটিক ফিউশন পদ্ধতিতে এই রেগুলেটর জিন এবং নিয়ন্ত্রক জিন সম্বন্ধিত ক্রোমোজোম খণ্ডকে দূর করে দুটি ওপেরনকে একসঙ্গে জোড়া গেছে। এর ফলে গল ওপেরনের নিয়ন্ত্রক জিনের প্রভাবে গল ওপেরন এবং বায়ো ওপেরন একসাথে কাজ করে।

ছবি: gal ওপেরন এবং biotin ওপেরন জোড়ার পরে - Genetic fusion


আরো পড়ুন: জননের গুরুত্ব

জেনেটিক ফিউশনের আরো একটি সাফল্যের উদাহরণ হলো, জেনেটিক ফিউশনের মাধ্যমে  Streptomyces syringae নামের ব্যাকটেরিয়ার এমন একটি স্টেন সৃষ্টি করা গেছে যা স্ট্রবেরি গাছে বরফ জনিত ক্ষত তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। সাধারণ ব্যাকটেরিয়া আলু ও স্ট্রবেরি গাছের পাতায় বাসা বাঁধে এবং বরফজনিত কেলাসিত প্রোটিন তৈরি করে যার ফলে এই গাছগুলির পাতায় শৈত্য জনিত ক্ষতের সৃষ্টি হয়। জেনেটিক ফিউশন বা জিন ফিউশন এর মাধ্যমে এমন ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করেছেন যে ব্যাকটেরিয়া গুলি পাতার ওপর থাকলেও বরফজনিত কেলাসিত প্রোটিন তৈরি করতে পারে না। এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া গাছের পাতায় ছড়িয়ে দিলে তারা একদিকে সাধারণ ব্যাকটেরিয়াদের পাতাতে জন্মাতে দেয় না, এছাড়াও শৈত্য জনিত ক্ষতির হাত থেকে গাছগুলিকে রক্ষা করে।

আরো পড়ুন: মাশরুমের পুষ্টিগুণ

Bigyanbook এর সমস্ত আর্টিকেল সরাসরি আপনার ইমেইলের ইনবক্স এ পাওয়ার জন্য নিচে ফ্রিতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। এছাড়াও এই ওয়েব সাইটিকে আপনার ব্রাউজারে সহজে পাওয়ার জন্য এখনই এটিকে বুকমার্ক হিসেবে অ্যাড করুন। আপনি লাইক করতে পারেন Bigyanbook এর ফেসবুক পেজ। ফেসবুক পেজে লাইক করার জন্য নিচে Social plugin এ Facebook লেখাটিতে ক্লিক করে যান Bigyanbook এর ফেসবুক পেজে এবং সেখানে গিয়ে লাইক করতে পারেন ফলো করতে পারেন এবং পোস্টগুলি শেয়ার করতে পারেন। অন্যান্যদের সাহায্য করতে এক্ষুনি এই পোস্টটিকে শেয়ার করুন। বিজ্ঞান বুকের সঙ্গে থাকুন, পড়তে থাকুন বিজ্ঞান এর সমস্ত বিষয় সম্পূর্ণ বাংলায়।

ধন্যবাদ।।

Share this page
Bigyanbook

লেখাটি কেমন কমেন্ট করে জানান। শেয়ার করুন এই পেজটি। পড়ুন অন্যান্য পোস্টগুলিও। youtube facebook whatsapp email

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post