পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রেচন থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Questions and answers from Excretion | Part-01

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে দেওয়া হয়েছে রেচন থেকে প্রশ্ন এবং উত্তর। দেখুন। ১) রেচন কাকে বলে? উত্তর: যে জৈবিক ক্রিয়ার মাধ্যমে জীবদেহে বিপাক এর ফলে উৎপন্ন অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকারক উপজাত দ্রব্যসমূহ দেহ থেকে নির্গত বা অপসারিত হয় অথবা অদ্রাব্য কোলয়েড কণা হিসেবে দেহের কোনো অংশে সাময়িক ভাবে সঞ্চিত থাকে, সেই জৈবিক ক্রিয়াকে রেচন বলে। ২) পতঙ্গদের রেচন অঙ্গের নাম কী? উত্তর; পতঙ্গদের রেচন অঙ্গের নাম হলো ম্যালপিজিয়ান নালিকা। ৩) চিংড়ির রেচন অঙ্গের নাম কী? উত্তর: চিংড়ির রেচন অঙ্গের নাম হলো সবুজ গ্ৰন্থি বা শুঙ্গ গ্ৰন্থি। ৪) মাকড়সার রেচন অঙ্গের নাম কী? উত্তর: মাকড়সার রেচন অঙ্গের নাম হলো কক্সাল গ্ৰন্থি। ৫) কাঁকড়া বিছের রেচন অঙ্গের নাম কী? উত্তর: কাঁকড়া বিছের রেচন অঙ্গের নাম হলো কক্সাল গ্ৰন্থি। ৬)ফ্লেমকোশ বা শিখাকোশ কাদের রেচন অঙ্গ? উত্তর: চ্যাপ্টা কৃমিদের (প্লানেরিয়া, ফিতা কৃমি ইত্যাদি) রেচন অঙ্গ হলো ফ্লেমকোশ বা শিখাকোশ। ৭) রেচন তন্ত্র কাকে বলে? (What is excretory system?) উত্তর: রেচনে সাহায্য কারী অঙ্গ গুলি মিলিত হয়ে যে তন্ত্র গঠিত হয় তাকে রেচন তন্ত্র বলে। ৮) নেফ্রিড...

ম্যালপিজিয়ান নালিকা এবং ম্যালপিজিয়ান করপাসল এর পার্থক্য | Difference between Malpighian Tubule and Malpighian Corpuscle

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো ম্যালপিজিয়ান নালিকা এবং ম্যালপিজিয়ান করপাসল এর পার্থক্য। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। ম্যালপিজিয়ান নালিকা এবং ম্যালপিজিয়ান করপাসল এর পার্থক্য (Difference between Malpighian Tubule and Malpighian Corpuscle) ১)  ম্যালপিজিয়ান নালিকা : ম্যালপিজিয়ান নালিকা হলো পতঙ্গ শ্রেণীর প্রাণীদের রেচন অঙ্গ। এটি পতঙ্গ শ্রেণীর প্রাণীদের মধ্য ও পশ্চাদ পৌষ্টিক নালীর সংযোগস্থলে অবস্থিত। ১)  ম্যালপিজিয়ান করপাসল : অপরদিকে, ম্যালপিজিয়ান করপাসল হলো মেরুদন্ডী প্রাণীদের বৃক্ক এর মধ্যে অবস্থিত নেফ্রন এর অংশ। ২)  ম্যালপিজিয়ান নালিকা : ম্যালপিজিয়ান নালিকা হিমোলিম্ফ এ ভাসমান অবস্থায় থাকে। ২)  ম্যালপিজিয়ান করপাসল : অপরদিকে, ম্যালপিজিয়ান করপাসল বৃক্ক এর কর্টেক্স অঞ্চলে থাকে। ৩)  ম্যালপিজিয়ান নালিকা : ম্যালপিজিয়ান নালিকা এর আকৃতি নলের মতো হয়। ৩)  ম্যালপিজিয়ান করপাসল : অপরদিকে, ম্যালপিজিয়ান করপাসল এর আকৃতি কণিকার মতো হয়। ৪)  ম্যালপিজিয়ান নালিকা : ম্যালপিজিয়ান নালিকা হিমোলিম্ফ থেকে রেচন পদার্থ শোষণ করে পৌষ্টিক নাল...

থাইরক্সিন | Thyroxin | Bigyanbook

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো থাইরক্সিন সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। থাইরক্সিন হলো থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একটি হরমোন। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে আরও দুটি হরমোন নিঃসৃত হয় যে গুলি হলো, ট্রাই আয়োডোথাইরেনিন এবং ক্যালসিটোনিন। আমরা এই আর্টিকেলে শুধু থাইরক্সিন সম্পর্কে জানব। থাইরক্সিন সম্পর্কে জানার আগে একটু থাইরয়েড গ্রন্থি সম্পর্কে আলোচনা করে নেওয়া যাক। থাইরয়েড গ্রন্থি আমাদের গ্রীবাদেশে ট্রাকিয়ার দুই পাশে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ ট্রাকিয়াল রিং এর সামনে অবস্থিত। একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের থাইরয়েড গ্রন্থির ওজন হয় প্রায় 20 থেকে 35 গ্রাম হয়। এবার আমরা জেনে নেবো থাইরক্সিন হরমোনের বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে। আরও দেখুন : পিটুইটারি গ্রন্থি নিঃসৃত বিভিন্ন হরমোনের কাজ থাইরক্সিন এর কাজ (Functions of Thyroxin) • থাইরক্সিন হরমোন মানবদেহে বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ, বৃদ্ধি, মানসিক পরিপূর্ণতা এবং বিভিন্ন গৌণ ও যৌন লক্ষণ প্রকাশে সাহায্য করে। • থাইরক্সিন মৌল বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে বা মানবদেহের বিএমআর (BMR) কে নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরক্সিন হরমোনের প্রভাবে মৌল বিপাকীয় ক্রিয়া বা ...

অক্সিন, জিব্বেরেলিন ও সাইটোকাইনিন এর পার্থক্য | Difference between Auxin, Gibberelin and Cytokinin

ছবি
নমস্কার, স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো, তিনটি উদ্ভিদ হরমোন বা ফাইটোহরমোন অক্সিন, জিব্বারেলিন এবং সাইটোকাইনিন এর পার্থক্য। পার্থক্য এর শেষে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা। প্রথমে একসাথে তিনটি উদ্ভিদ হরমোন এর মধ্যে পার্থক্য দেখবো। অক্সিন, জিব্বারেলিন ও সাইটোকাইনিন এর পার্থক্য (Difference between Auxin, Gibberelin and Cytokinin) • অক্সিন : অক্সিন হলো নাইট্রোজেন ঘটিত জৈব যৌগ। • জিব্বারেলিন : জিব্বারেলিন হলো নাইট্রোজেন বিহীন জৈব যৌগ। • সাইটোকাইনিন : সাইটোকাইনিন হলো নাইট্রোজেন ঘটিত জৈব যৌগ। • অক্সিন : অক্সিন এর উৎপত্তিস্থল হলো প্রধানত কান্ড এবং মূলের অগ্রস্থ ভাজক কলা। • জিব্বারেলিন : জিব্বারেলিন এর উৎপত্তিস্থল হলো প্রধানত পরিণত বীজ, অঙ্কুরিত চারা গাছ এবং বীজ পত্র। • সাইটোকাইনিন : সাইটোকাইনিন এর উৎপত্তিস্থল হলো প্রধানত সস্য কলা এবং ফুল ও ফল এর নির্যাস। • অক্সিন : অক্সিন এর কাজ হলো প্রধানত উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা। • জিব্বারেলিন : জিব্বারেলিন এর কাজ হলো প্রধানত উদ্ভিদের ফুল সৃষ্টি এবং বীজের সুপ্ত দশা ভঙ্গ করে অঙ্কুরোদ...

অণুবিস্তারণের গুরুত্ব

ছবি
অণুবিস্তারণের গুরুত্ব বা মাইক্রোপ্রোপাগেশনের গুরুত্ব কিছু কিছু উদ্ভিদ যেমন - লেবু, কফি এদের ক্ষেত্রে অণুবিস্তারের সাহায্যে বীজের সুপ্ত দশা কাটিয়ে, চাষের সময়কাল কমিয়ে, ফলন বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। যে সমস্ত উদ্ভিদের বীজের অপরিণত অবস্থায় ভ্রুণের মৃত্যু হয়, সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতির মাধ্যমে কৃত্রিম বীজ সৃষ্টি করে বংশবৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব হয়েছে। কৃষিজ সংকর উদ্ভিদের চারাগাছের মৃত্যু ঘটলে, অণুবিস্তারের মাধ্যমে সতেজ চারাগাছ তৈরি করে চাষ করা সম্ভব হয়েছে। অণুবিস্তারণের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধী শস্য সৃষ্টি করা গেছে। (উদাহরণ: আলুর পত্র আবরণ রোগ - Potato leaf roll virus - PLRV) বাঁধাকপি, ফুলকপি, ভুট্টা, পেঁয়াজ প্রভৃতি উদ্ভিদে পুংবন্ধ্যাত্ব উদ্ভিদ অণুবিস্তার বা মাইক্রোপ্রোপাগেশন পদ্ধতির দ্বারা তৈরী করে স্বনিষেক রোধের দ্বারা উদ্ভিদের গুণগত মান সঠিক রাখা গেছে। অণুবিস্তার পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষি উদ্ভিদের আদি প্রকরণ গুলি সংরক্ষণ এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে সংকরায়ণ ঘটানো সহজসাধ্য হয়। অণুবিস্তারণের প্রয়োগ অণুবিস্তারণ বা মাইক্রোপ্রোপাগেশন পদ্ধতির মাধ্যমে অসংখ্য অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ প্রজা...

হরমোনের বৈশিষ্ট্য | Characteristics of Hormone : Bigyanbook

ছবি
নমস্কার, স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো, হরমোন এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। • হরমোন কাকে বলে? প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড বা স্টেরয়েড ধর্মী যে জৈব রাসায়নিক পদার্থ জীব দেহের কোনো বিশেষ কোশগুচ্ছ অথবা অন্তঃক্ষরা বা অনাল গ্ৰন্থি থেকে স্বল্প মাত্রায় ক্ষরিত হয়ে সাধারণত রক্ত, লসিকা ইত্যাদির মাধ্যমে উৎপত্তিস্থল থেকে দূরে শরীরের কোনো বিশেষ জায়গায় পরিবাহিত হয় এবং সেই অঞ্চলের কলা কোশের বিভিন্ন বিপাকীয় কাজের মধ্যে রাসায়নিক সমন্বয়সাধন করে এবং কাজের শেষে নষ্ট হয়ে যায়, তাকে হরমোন বলে। আরও দেখুন : পিটুইটারি গ্রন্থি নিঃসৃত বিভিন্ন হরমোনের কাজ হরমোন কথাটির গ্ৰিক শব্দ "হরম্যাসিন" (Hormacin) বা "হরমাও" (Hormao) থেকে উৎপত্তি হয়েছে। যার অর্থ জাগ্ৰত করা অথবা উত্তেজিত করা। 1905 খ্রিস্টাব্দে বেলিস (Bayliss) এবং স্টারলিং (Starling) নামের দুই বিজ্ঞানী প্রথম জীবদেহে হরমোন এর উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেন। আরও পড়ুন: প্রতিবর্ত ক্রিয়া হরমোনের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Hormones) 1. হরমোন হলো এক রকম প্রোটিন ধর্মী বা স্টেরয়েড ধর্মী বা ...

নিউরোনের শ্রেণীবিভাগ | মোটর নিউরোন ও সেনসরি নিউরোন এর পার্থক্য | Classification of Neurone | Difference between Motor Neurone and Sensory Neurone

ছবি
নমস্কার, স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা যে বিষয়ে জানবো তা হলো নিউরোন এর শ্রেণীবিভাগ। এছাড়াও আমরা জানবো মোটর নিউরোন এবং সেনসরি নিউরোন এর পার্থক্য। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। আরও পড়ুন: ইউক্যারিওটিক ক্রোমোজোমের অঙ্গসংস্থানিক গঠন • কাজ অনুসারে নিউরোনের শ্রেণীবিভাগ কাজ অনুসারে নিউরোন তিন রকমের হয়। ১) সংজ্ঞা বহ বা সেনসরি নিউরোন, ২) আজ্ঞাবহ বা চেষ্টিয় বা মোটর নিউরোন এবং ৩) সহযোগী বা অ্যাডজাস্টার বা ইন্টারকানেক্টিং নিউরোন। ১) সংজ্ঞা বহ বা সেনসরি নিউরোন (Sensory Neurone) সংজ্ঞা বহ বা সেনসরি নিউরোন রিসেপটর থেকে স্নায়ু স্পন্দন (nerve impulse) অর্থাৎ আবেগ কে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে বহন করে। সেনসরি নিউরোন এর মাধ্যমে আবেগ বাইরে থেকে ভিতরে পরিবাহিত হয় বলে একে অন্তর্বাহী বা অ্যাফারেন্ট নিউরোন (Afferent Neuron) বলে। এই রকম নিউরোন রিসেপটর থেকে উদ্দীপনা গ্ৰহণ করে বলে একে রিসেপ্টর নিউরোন (Receptor Neurone) বলে। ২) আজ্ঞাবহ বা চেষ্টিয় বা মোটর নিউরোন (Motor Neurone) আজ্ঞাবহ বা চেষ্টিয় বা মোটর নিউরোন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে স্নায়ু স্পন্দন (nerve impulse) অর্থাৎ সাড়া, কারক বা ই...

অ্যাভোগাড্রো সূত্র | অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা | Avogadro's Law | Avogadro Number

ছবি
নমস্কার, স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুক এ। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো অ্যাভোগাড্রো সূত্র, অ্যাভোগাড্রো সূত্রের অনুসিদ্ধান্ত, এবং অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা সম্বন্ধে। তাহলে চলুন শুরু করা। আরও পড়ুন: চৌম্বক পর্দা বা চৌম্বক আবরন • অ্যাভোগাড্রো সূত্র (Avogadro's Law) অনু বা মলিকিউল -এর ধারণা রসায়ন বিজ্ঞানে এক যুগান্তকারী ধারণা। এই ধারণা প্রবর্তনের মাধ্যমে অ্যাভোগাড্রো, বার্জেলিয়াস প্রকল্পকে সংশোধন করে নতুন একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেন। অ্যাভোগাড্রোর এই প্রকল্পটি একই উষ্ণতা এবং চাপে গ্যাসীয় পদার্থের আয়তন ও অনুর সংখ্যার মধ্যকার সম্পর্ক বিষয়ে। সরাসরি কোনো পরীক্ষা দ্বারা অ্যাভোগাড্রো প্রকল্পের সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। তাই প্রকল্পের সংজ্ঞা অনুযায়ী অ্যাভোগাড্রো এর এই প্রকল্পকে, প্রকল্প বলা উচিত। সরাসরি পরীক্ষা দ্বারা প্রকল্পের সত্যতা প্রমাণিত না হলেও অ্যাভোগাড্রো প্রকল্পের পরীক্ষালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত অনুসিদ্ধান্ত গুলি সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই অনুসিদ্ধান্ত গুলির পরিপন্থী এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সেই জন্যে অ্যাভোগাড্রো প্রকল্প কে সূত্রের মর্যাদা দেওয়া যায়। রসায়ন বিজ্ঞানে ...