ফলো করুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল: চ্যানেল দেখুন »

টেরিডোফাইটা ও জিমনোস্পার্মের পার্থক্য | Difference between Pteridophytes and Gymnosperms

Text size:

নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুকে। এই আর্টিকেলে আমরা দেখবো টেরিডোফাইটা এবং জিম্নোস্পার্ম এর মধ্যে পার্থক্য। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

www.bigyanbook.co.in


টেরিডোফাইটা ও জিমনোস্পার্মের পার্থক্য | Difference between Pteridophytes and Gymnosperms

১) টেরিডোফাইটা : অধিকাংশ টেরিডোফাইটা সমরেণু বা হোমোস্পোরাস প্রকৃতির হয়।

১) জিমনোস্পার্ম : অধিকাংশ জিম্নোস্পার্ম বিষমরেণু বা হেটারোস্পোরাস প্রকৃতির হয়।


২) টেরিডোফাইটা : টেরিডোফাইটা জাতীয় উদ্ভিদের কান্ড রাইজোম প্রকৃতির হয়।

২) জিমনোস্পার্ম : জিম্নোস্পার্ম বা ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের কান্ড বায়বীয় প্রকৃতির হয়।


৩) টেরিডোফাইটা : টেরিডোফাইটা উদ্ভিদের মূল অস্থানিক প্রকৃতির হয় এবং এদের অস্থানিক মূলতন্ত্র (adventitious root system) দেখা যায়।

৩) জিমনোস্পার্ম : ব্যক্তবীজী বা জিম্নোস্পার্ম উদ্ভিদের ক্ষেত্রে প্রধান মূলতন্ত্র দেখা যায়।


৪) টেরিডোফাইটা : টেরিডোফাইটা জাতীয় উদ্ভিদ বীজ উৎপাদনে অক্ষম, এরা বীজ উৎপাদন করতে পারে না।

৪) জিমনোস্পার্ম : জিম্নোস্পার্ম বা ব্যক্তবীজী জাতীয় উদ্ভিদ বীজ উৎপাদনে সক্ষম, এরা বীজ উৎপাদন করতে পারে।


৫) টেরিডোফাইটা : অধিকাংশ টেরিডোফাইটার কাণ্ডে গৌণ বৃদ্ধি দেখা যায় না।

৫) জিমনোস্পার্ম : জিমনোস্পার্ম ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের কান্ডের গৌণ বৃদ্ধি দেখা যায়।


৬) টেরিডোফাইটা : রেনু অঙ্কুরোদগমের সময় টেরিডোফাইটের ক্ষেত্রে কোনো প্রকারের রেণুনালিকার সৃষ্টি হয় না।

৬) জিমনোস্পার্ম : ব্যক্তবীজী উদ্ভিদ বা জিম্নোস্পার্ম এর পরাগরেণু অঙ্কুরোদগমের সময় পরাগনালিকার সৃষ্টি হয়।


৭) টেরিডোফাইটা : টেরিডোফাইটা উদ্ভিদের মেগাস্পোর ইনটেগুমেন্ট নামের আবরণী স্তর দ্বারা আবৃত থাকে না। টেরিডোফাইটার মেগাস্পোরাঞ্জিয়াম কোন ছিদ্র দ্বারা বাইরে উন্মুক্ত থাকে না।

৭) জিমনোস্পার্ম : জিম্নোস্পার্ম বা ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের মেগাস্পোর ইনটেগুমেন্ট নামের আবরণী দ্বারা আবৃত থাকে। এক্ষেত্রে ডিম্বক গঠিত হয়। ডিম্বক মাইক্রোপাইন প্রান্তে একটি ছিদ্রের দ্বারা বাইরে উন্মুক্ত থাকে।


৮) টেরিডোফাইটা : টেরিডোফাইটা উদ্ভিদের মেগাস্পোর, মেগাস্পোরাঞ্জিয়াম এর মধ্যে স্থায়ীভাবে নিমজ্জিত থাকে না।

৮) জিমনোস্পার্ম : ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের মেগাস্পোর ডিম্বকের নিউসেলাস এর মধ্যে স্থায়ীভাবে নিমজ্জিত অবস্থায় থাকে।


৯) টেরিডোফাইটা : টেরিডোফাইটা উদ্ভিদের স্ত্রীধানীতে গ্রীবা নালিকোশ (neek canal cell) উপস্থিতি দেখা যায়।

৯) জিমনোস্পার্ম : জিম্নোস্পার্ম বা ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের স্ত্রীধানীর গ্রীবা নালিকোশ থাকে না।


১০) টেরিডোফাইটা : টেরিডোফাইটা উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ভ্রূণ উৎপাদনকালে জাইগোট নিউক্লিয়াসের মুক্ত বিভাজন ঘটে না।

১০) জিমনোস্পার্ম : ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ভ্রূণ উৎপাদনকালে জাইগোট নিউক্লিয়াসের মুক্ত নিউক্লিয়াস বিভাজন ঘটে।


» পান বিজ্ঞানবুকের সমস্ত আপডেটস সরাসরি আপনার ইমেলে। নীচে আপনার ইমেল দিয়ে বিনামূল্যে সাবস্ক্রাইব করুন।

» সাবস্ক্রাইব করুন বিজ্ঞানবুক ইউটিউবে। লাইক, ফলো করুন বিজ্ঞানবুক ফেসবুক, টুইটারে।

» শেয়ার করুন বিজ্ঞানবুকের আর্টিকেলগুলি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে।

» কোনো প্রশ্ন থাকলে, বা কোনো মতামত কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান।

» পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক।

» আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।।

Share this page
Bigyanbook

লেখাটি কেমন কমেন্ট করে জানান। শেয়ার করুন এই পেজটি। পড়ুন অন্যান্য পোস্টগুলিও। youtube facebook whatsapp email

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন