পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পেটেন্টের সুবিধা ও অসুবিধা

ছবি
পেটেন্ট কী ? কোনো নতুন প্রয়োজনীয় আবিষ্কার (যা আগে আবিষ্কৃত হয়নি) যখন সরকারীভাবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং তার উপর আবিষ্কারকের অধিকার স্বত্ব জন্মায় তখন তাকে পেটেন্ট বলে। পেটেন্ট কথাটা এসেছে ল্যাটিন শব্দ পেটার ( Patere ) থেকে। যার অর্থ খুলে ধরা বা সাধারণের দৃষ্টিতে আনা। খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ সালে গ্ৰিস দেশের সাইবারিস শহরে প্রথম পেটেন্ট প্রথা চালু হয় বলে জানা যায়। আধুনিক পেটেন্ট চালু হয় প্রথম ১৪৭৪ খ্রিস্টাব্দে ভেনিস প্রজাতন্ত্রে। উত্তর আমেরিকায় ১৬৪১ খ্রিস্টাব্দে সামুয়েল উইনসলোকে নতুন এক পদ্ধতিতে লবণ তৈরি করার জন্য পেটেন্ট দেওয়া হয়।পরে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে পেটেন্ট চালু হয়। কোন কোন জিনিস পেটেন্ট পাওয়ার যোগ্য বৈজ্ঞানিক নীতি বা তত্ত্ব নয় এমন নতুন আবিষ্কার। আবিষ্কার যার সাধারণত শিল্পভিত্তিক প্রয়োগ আছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ অপরিচিত ও ট্র্যাডিশনাল জ্ঞান বহির্ভূত। আবিষ্কারটি মানুষের ও প্রকৃতির পক্ষে মঙ্গলকারক হতে হবে। সাধারণভাবে জৈব বৈচিত্র্যর অংশ কোনো জীব পেটেন্ট এর বহির্ভূত হলেও জিন প্রযুক্তিপ্রাপ্ত কোনো প্রাণী, উদ্ভিদ বা অণুজীব পেটেন্ট পাওয়ার যোগ্য। কোনো নতুন উৎপাদন, উৎপাদন পদ্ধতি, যন্ত্র অ...

জিন | Gene - Bigyanbook

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জিন (Gene) সম্পর্কে জানবো। এর সঙ্গে থাকবে কিছু প্রশ্ন উত্তর। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। জিন হলো জীব কোষের ক্রোমোজোমের মধ্যে থাকা DNA এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা DNA এর একটি নির্দিষ্ট জায়গায় অবস্থান করে। জিনকে ক্রোমোজোমের কার্যগত একক (Functional unit of Chromosome) বলা হয়। জিন হল বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারক, বাহক ও নিয়ন্ত্রক। • জিন কাকে বলে? (What is gene?) প্রধানত ইউক্যারিওটিক কোষের ক্রোমোজোম এ অবস্থিত DNA দ্বারা গঠিত এবং জীবের বংশানুক্রমে প্রবাহিত বৈশিষ্ট্য নির্ধারক একককে জিন বলে। জিনের গঠন (Structure of Gene) DNA নিউক্লিক অ্যাসিড দ্বারা গঠিত। DNA এর নির্দিষ্ট সংখ্যক বেস, যা কোনো একটি প্রোটিন (এনজাইম) সংশ্লেষ এর সংকেত বহন করে, তা নিয়েই জিন গঠিত হয়। জিনকে ক্রোমোজোমের রাসায়নিক একক হিসেবেও অভিহিত করা হয়। জিনের বৈশিষ্ট্য ১) জিন নিউক্লিক অ্যাসিড (DNA) দ্বারা গঠিত।  ২) জিন ইউক্যারিওটিক কোষের ক্রোমোজোমে অবস্থান করে। ৩) জিন জীবের বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য বংশানুক্রমিকভাবে বহন করে। ৪) এটি জীবের প্রকরণ এবং পরিব্যক্তি বা মিউটেশনে (Mutation...

প্রাণীবিদ্যা থেকে কিছু প্রশ্ন উত্তর

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো কিছু পার্থক্য সম্বন্ধে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। ঘর্ম গ্ৰন্থি ও সিবেসিয়াস গ্ৰন্থির পার্থক্য ১) ঘর্মগ্ৰন্থি : ত্বকের অন্তঃস্ত্বকে বা ডার্মিস স্তরে অবস্থিত কুন্ডলীকৃত গ্ৰন্থি হলো ঘর্ম গ্ৰন্থি।       সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি : ডার্মিস স্তরে অবস্থিত ন্যাসপাতির ন্যায় গ্ৰন্থি হলো সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি। ২) ঘর্মগ্ৰন্থি : ঘর্ম গ্ৰন্থি থেকে ক্ষরিত পদার্থ সরাসরি ত্বকে মুক্ত হয়।       সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি : সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি থেকে ক্ষরিত পদার্থ নালিকা মাধ্যমে রোমকূপে উন্মুক্ত হয়। ৩) ঘর্মগ্ৰন্থি : ঘর্ম গ্ৰন্থি থেকে স্বেদ বা ঘর্ম ক্ষরিত হয়।       সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি : সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি থেকে সিবাম ক্ষরিত হয়। নিমাটোডা ও সিস্টোডা এর পার্থক্য ১) নিমাটোডা : অ্যাস্কেলহেলমিনথিস পর্বের একটি শ্রেণি।       সিস্টোডা : প্ল্যাটিহেলমিনথিস পর্বের একটি শ্রেণি। ২) নিমাটোডা : দেহ অখন্ডিত, লম্বা, বেলুন আকার।       সিস্টোডা : দেহ কতকগুলি খন্ড বা প্রোগ্লটিড নামক খন্ডে বিভক্ত। ৩) নিমা...

এইডস | AIDS - Bigyanbook

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো এইডস (AIDS) সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য। এই রোগের প্যাথোজেন বা রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস, রোগের লক্ষণ, এইডস এর কীভাবে বিস্তার ঘটে এবং এই রোগ প্রতিরোধের উপায়। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। AIDS = Acquired Immune Deficiency Syndrome • প্যাথোজেন (Pathogen) :  Human Immuno Deficiency Virus বা HIV । • ইনকিউবেশন পিরিয়ড (Incubation period) :   ৬ মাস থেকে ১০ বছর। • এইডস (AIDS) এর লক্ষণ (Symptoms of AIDS) : এইডস রোগের বিশেষ কিছু লক্ষণ হলো — মাঝে মাঝে জ্বর হয়, অবসন্নতা (lethargy), শ্রমবিমুখতা, ফ্যারিনজাইটিস, ওজন কমে যাওয়া, গা বমি বমি ভাব (nausea), মাথা ব্যাথা (headache), রোগীর জীবনিশক্তি কমে যায়। HIV হেল্পার T-লিম্ফোসাইট -কে আক্রমণ করার ফলে অনাক্রম্যতন্ত্র (immune system) ভেঙে পড়ে, এর ফলে যে কোনো রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে। » এইডস (AIDS) এর বিস্তার কীভাবে ঘটে? • এইডস (AIDS) এর বিস্তার (Mode of Transmission of AIDS) : HIV সাধারণত রক্ত ও বীর্যের (semen) মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত সূঁচ, ব্লেড ব্যবহার করলে, আক্রান্ত রোগ...