প্রাণীবিদ্যা থেকে কিছু প্রশ্ন উত্তর

www.bigyanbook.co.in


নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো কিছু পার্থক্য সম্বন্ধে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।


ঘর্ম গ্ৰন্থি ও সিবেসিয়াস গ্ৰন্থির পার্থক্য

১) ঘর্মগ্ৰন্থি : ত্বকের অন্তঃস্ত্বকে বা ডার্মিস স্তরে অবস্থিত কুন্ডলীকৃত গ্ৰন্থি হলো ঘর্ম গ্ৰন্থি।

     সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি : ডার্মিস স্তরে অবস্থিত ন্যাসপাতির ন্যায় গ্ৰন্থি হলো সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি।


২) ঘর্মগ্ৰন্থি : ঘর্ম গ্ৰন্থি থেকে ক্ষরিত পদার্থ সরাসরি ত্বকে মুক্ত হয়।

     সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি : সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি থেকে ক্ষরিত পদার্থ নালিকা মাধ্যমে রোমকূপে উন্মুক্ত হয়।


৩) ঘর্মগ্ৰন্থি : ঘর্ম গ্ৰন্থি থেকে স্বেদ বা ঘর্ম ক্ষরিত হয়।

     সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি : সিবেসিয়াস গ্ৰন্থি থেকে সিবাম ক্ষরিত হয়।




নিমাটোডা ও সিস্টোডা এর পার্থক্য

১) নিমাটোডা : অ্যাস্কেলহেলমিনথিস পর্বের একটি শ্রেণি।

     সিস্টোডা : প্ল্যাটিহেলমিনথিস পর্বের একটি শ্রেণি।


২) নিমাটোডা : দেহ অখন্ডিত, লম্বা, বেলুন আকার।

     সিস্টোডা : দেহ কতকগুলি খন্ড বা প্রোগ্লটিড নামক খন্ডে বিভক্ত।


৩) নিমাটোডা : দেহে যৌন দ্বিরূপতা দেখা যায়। অর্থাৎ পুরুষ ও স্ত্রী লিঙ্গে বিভক্ত।

     সিস্টোডা : যৌন দ্বিরূপতা দেখা যায় না। উভলিঙ্গ।




অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা গ্ৰন্থির পার্থক্য (Difference between Endocrine gland and Exocrine gland)

১) অন্তঃক্ষরা গ্ৰন্থি : এই গ্ৰন্থিকে অনাল গ্ৰন্থি বলে।

     বহিঃক্ষরা গ্ৰন্থি : এই গ্ৰন্থিকে সনাল গ্ৰন্থি বলে।


২) অন্তঃক্ষরা গ্ৰন্থি : এই গ্ৰন্থিতে নালি নেই।

     বহিঃক্ষরা গ্ৰন্থি : এই গ্ৰন্থিতে নালি আছে।


৩) অন্তঃক্ষরা গ্ৰন্থি : এই প্রকারের গ্ৰন্থি থেকে হরমোন ক্ষরিত হয়।

     বহিঃক্ষরা গ্ৰন্থি : এই প্রকারের গ্ৰন্থি থেকে উৎসেচক ক্ষরিত হয়।


৪) অন্তঃক্ষরা গ্ৰন্থি : উদাহরণ - পিটুইটারি গ্রন্থি, থাইরয়েড গ্রন্থি।

     বহিঃক্ষরা গ্ৰন্থি : উদাহরণ - লালা গ্ৰন্থি, পাকস্থলী।




হেটেরোসারকাল পুচ্ছ ও হোমোসারকাল পুচ্ছ এর মধ্যে পার্থক্য (Difference between Heterocercal tail and Homocercal tail)

১) হেটেরোসারকাল পুচ্ছ : পুচ্ছ পাখনা অসমান অংশে বিভক্ত হয়।

     হোমোসারকাল পুচ্ছ : পুচ্ছ পাখনা সমান অংশে বিভক্ত। অর্থাৎ প্রতিসম।


২) হেটেরোসারকাল পুচ্ছ : মেরুদন্ডের অংশ পুচ্ছ পাখনার উর্দ্ধখন্ডে অবস্থান করে। উদাহরণ - Scoliodon sp.

     হোমোসারকাল পুচ্ছ : মেরুদন্ডের প্রান্তটি পুচ্ছের সামান্য উপরে থাকে। উদাহরণ - Catla catla




কমেনশালিজম ও সিমবায়োসিস এর পার্থক্য | ব্যাতিহার জীবিতা ও মিথোজীবিতা এর পার্থক্য (Difference between Commensalism and Symbiosis)

১) কমেনশালিজম বা ব্যাতিহার জীবিতা : প্রধানত খাদ্যের কারণে দুটি জীবের পারস্পরিক সহবস্থান, যার মাধ্যমে একটি জীব উপকৃত হয় এবং অপর জীবটির কোনো লাভ বা ক্ষতি হয় না।

     সিমবায়োসিস বা মিথোজীবিতা : জীবনের সম্পূর্ণ বা আংশিক সময়ে দুটি জীবের নিবিড় সম্পর্কযুক্ত সহবস্থান, যেখানে পুষ্টি ও জীবনধারণে একে অপরকে সাহায্য করে।


২) কমেনশালিজম বা ব্যাতিহার জীবিতা : উদাহরণ - ঋষিকাঁকড়া ও সাগরকুসুম।

     সিমবায়োসিস বা মিথোজীবিতা : উদাহরণ - উইপোকা ও ট্রাইকোনিম্ফা।



ধন্যবাদ আপনাকে বিজ্ঞানবুক পড়ার জন্য, পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক, ফলো করুন বিজ্ঞানবুক ফেসবুক, ইউটিউব -এ, শেয়ার করুন বিজ্ঞানবুকের আর্টিকেলগুলি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে, ধন্যবাদ।।

Bigyanbook

লেখাটি কেমন কমেন্ট করে জানান। শেয়ার করুন এই পেজটি। পড়ুন অন্যান্য পোস্টগুলিও। youtube facebook whatsapp email

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন