পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ছদ্মপদ বা ক্ষণপদ, ফ্ল্যাজেলা এবং সিলিয়ার পার্থক্য (Difference between Pseudopodia, Flagella and Cilia) - Bigyanbook

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো ছদ্মপদ বা ক্ষণপদ, ফ্ল্যাজেলা এবং সিলিয়ার পার্থক্য। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক পার্থক্য গুলি। ছদ্মপদ বা ক্ষণপদ, ফ্ল্যাজেলা এবং সিলিয়ার পার্থক্য ছদ্মপদ বা ক্ষণপদ ফ্ল্যাজেলা সিলিয়া 1) এটি কোনো নির্দিষ্ট অঙ্গ নয়, প্রোটোপ্লাজম ঘনত্বের পরিবর্তনের ফলে প্লাজমাসল, প্লাজমাজেলে রূপান্তরিত হয়ে ক্ষণপদ সৃষ্টি করে। 1) কোষের স্থায়ী অঙ্গ। 1) কোষের স্থায়ী অঙ্গ। 2) সাময়িকভাবে উৎপন্ন আঙুলের মতো অভিক্ষেপ গঠনের মাধ্যমে ক্ষণপদ সৃষ্টি হয়। 2) এই অঙ্গটি দীর্ঘ ও চাবুকের মতো। 2) সিলিয়া সূক্ষ্ম সুতোর মতো আকৃতি বিশিষ্ট। 3) জীব যে দিকে গমন করে সেদিকে ক্ষণপদের সৃষ্টি হয় এবং বিপরীত দিকে ক্ষণপদ অদৃশ্য হয়। 3) ফ্ল্যাজেলা জল বা তরল মাধ্যমে চাবুকের মতো আঘাত করে অথবা স্ক্রু এর মতো প্যাঁচ হয়ে কোষের গমন ঘটায়। 3) ছন্দ বদ্ধ ভাবে (মেটাক্রোনাস ছন্দ) একই সঙ্গে সিলিয়া গুলি দাঁড় টানার মতো সঞ্চালিত হয় কোষের গমন নিয়ন্ত্রণ করে। 4) কয়েকটি ...

তড়িৎ ঋণাত্মকতা ও ইলেকট্রন আসক্তির মধ্যে পার্থক্য (The difference between electronegativity and electron addiction) - Bigyanbook

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো তড়িৎ ঋণাত্মকতা এবং ইলেকট্রন আসক্তির মধ্যে পার্থক্য। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক পার্থক্য গুলি। তড়িৎ ঋণাত্মকতা ও ইলেকট্রন আসক্তির মধ্যে পার্থক্য (The difference between electronegativity and electron addiction) তড়িৎ ঋণাত্মকতা ইলেকট্রন আসক্তি ১) কোন মৌলের পরমাণুর বন্ধনী ইলেকট্রন জোড় কে নিজের দিকে টানবার ক্ষমতাকে তার তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে। ১) কোনো মৌলের গ্যাসীয় পরমাণুর সর্ববহিঃস্থ কক্ষে একটি ইলেকট্রন প্রবেশ করে একটি গ্যাসীয় অ্যানায়ন এ পরিণত হবার সময় যে পরিমাণ শক্তি ত্যাগ করে তাকে ওই মৌলের ইলেকট্রন আসক্তি বা তড়িৎ আসক্তি বলে। ২) তড়িৎ ঋণাত্মকতা কোনো মৌলের পরমাণুর অণুর মধ্যে বন্ধন দ্বারা যুক্ত অবস্থার ধর্ম। ২) ইলেকট্রন আসক্তি কোন মৌলের পরমাণুর বিচ্ছিন্ন গ্যাসীয় পরমাণুর ধর্ম। ৩) তড়িৎ ঋণাত্মকতার কোনো একক নেই। বিভিন্ন স্কেলে এর মান সংখ্যার সাহায্যে প্রকাশিত হয়। ৩) এর একক eV/পরমাণু বা Kcal/mol বা kJ/mol. আরো বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানার...

পেনিসিলিয়ামের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Penicillium) - Bigyanbook

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো পেনিসিলিয়াম এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক বৈশিষ্ট্যগুলি। পেনিসিলিয়ামের শ্রেণিগত অবস্থান (Systematic position of Penicillium) রাজ্য → মাইকোটা (Mycota)   বিভাগ → ইউমাইকোটা (Eumycota)     উপবিভাগ → অ্যাসকোমাইকোটিনা (Ascomycotina)       শ্রেণি → প্লেক্টোমাইসেটিস (Plectomycetes)         বর্গ → অ্যাসপারজিলেলিস (Aspergillales)           গোত্র → অ্যাসপারজিলেসি (Aspergillaceae)             গণ → Penicillium পেনিসিলিয়ামের সাধারণ প্রজাতি → Penicillium notatum , Penicillium vermiculatum পেনিসিলিয়াম এর প্রধান বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Penicillium ) 1) পেনিসিলিয়াম ( Penicillium ) মৃতজীবী ছত্রাক, যা বিভিন্ন শাক সবজি ও পচনশীল জৈব পদার্থের উপর জন্মায়। সাধারণভাবে এই ছত্রাকের প্রজাতিরা নীল বা সবুজ মোল্ড (Blue or green mold) নামে পরিচিত। 2) অঙ্গজদেহ প্রচুর শাখান্বিত মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত যা অন্তঃস্তরের উপর জালিকার...

প্রোক্যারিওটিক, মেসোক্যারিওটিক, ইউক্যারিওটিক কোশের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Prokaryotic, Mesokaryotic, Eukaryotic cell) - Bigyanbook

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা প্রোক্যারিওটিক কোশের বৈশিষ্ট্য, মেসোক্যারিওটিক কোশের বৈশিষ্ট্য এবং ইউক্যারিওটিক কোশের বৈশিষ্ট্য জানবো। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক বৈশিষ্ট্য গুলি। প্রোক্যারিওটিক কোশ (Prokaryotic cell) • প্রোক্যারিওটিক কোশ কাকে বলে? (What is Prokaryotic cell?)   যেসব কোষে আদর্শ এবং সংগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না, কোশে পর্দা ঘেরা কোষ অঙ্গাণু থাকে না, ক্রোমোজোম গঠিত হয় না, তাদের আদি কোষ বা প্রোক্যারিওটিক কোষ বলে।    উদাহরণ , ব্যাকটেরিয়া, নীলাভ সবুজ শৈবাল, মাইকোপ্লাজমা ইত্যাদি। প্রোক্যারিওটিক কোশের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Prokaryotic cell) 1. এই রকম কোশ আকারে খুব ক্ষুদ্র হয় (মাইকোপ্লাজমা 0.1μm - 0.25μm এবং ব্যাকটেরিয়া 0.2μm - 0.3μm)। 2. জনন বস্তুর বাইরে কোনো আবরণ থাকে না। DNA সহ কোশীয় অংশকে নিউক্লিওয়েড (Nucleoid) বলে বা জেনোফোর (Genophore) বলে। 3. এইরকম কোষের সাইটোপ্লাজম পর্দাবৃত কোষ অঙ্গাণু থাকে না। 4. এই প্রকার কোষের রাইবোজোম 70S প্রকৃতির। প্রোটোপ্লাজমে ইতস্তত ছড়ানো থাকে। 5. শ্বাস উৎসেচক সাইটোপ্লাজমে বা প্লাজমা পর্দার অন্তঃগাত্র...

বোরের পরমাণু মডেলের ত্রুটি | বোরের পরমাণু গঠনচিত্রের ত্রুটি | বোরের পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা (Error of Bohr's atomic structure) - Bigyanbook

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো বোরের পরমাণু মডেলের ত্রুটি। তাহলে চলুন দেখে নিই। 1913 খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের সুবিখ্যাত বিজ্ঞানী নীলস বোর (Niels Bohr) প্ল্যাঙ্কের কোয়ান্টাম মতবাদের সাহায্যে পরমাণুর সুস্থিরতা এবং রেখা বর্ণালি উৎপত্তির যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা দেন। তিনি রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের ত্রুটি সংশোধন করে হাইড্রোজেন পরমাণুর যে গঠনচিত্র রচনা করেন, তা "বোরের পরমাণু গঠনচিত্র বা রাদারফোর্ড-বোরের পরমাণু গঠনচিত্র নামে পরিচিত। বোরের পরমাণু মডেলের ত্রুটি 1. বোরের মতবাদের সাহায্যে দুই বা ততোধিক ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণু বা আয়নের বর্ণালি ব্যাখ্যা করা যায় না। 2. উচ্চ বিশ্লেষণী ক্ষমতাসম্পন্ন বর্ণালি-বীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে গৃহীত পারমাণবিক বর্ণালির সূক্ষ্মতর গঠন বোর তত্ত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না। 3. চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে এক ইলেকট্রন বিশিষ্ট সিস্টেমের বর্ণালিতে উপস্থিত রেখাগুলি আরও সুক্ষ্মতর একাধিক রেখায় বিভাজিত হয় (জিম্যান ক্রিয়া) , তড়িৎক্ষেত্রের প্রভাবেও একই ঘটনা ঘটে (স্টার্ক ক্রিয়া)। একে পরমাণু বর্ণালির সূক্ষ্ম গঠন বলে। বোরের পরমাণু মডেল এর কারণ...