নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো কোয়াসারভেট কী, কোয়াসারভেট নামকরণ কে করেন এবং আরো অনেক কিছু। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
কোয়াসারভেট কী ?
লিপিড, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটের ঘন সংবদ্ধ মিশ্রনযুক্ত, গোলাকার ও দ্বিস্তরীয়, কোলয়েড কণাকে কোয়াসারভেট বলে।
কোয়াসারভেট নামকরণ কে করেন ?
কোসারভেট শব্দটি সর্বপ্রথম 1929 সালে ডাচ্ রসায়নবিদ হেন্ড্রিক জি. বুনজেনবার্গ ডি জং এবং হুগো আর ক্রুয়েট ব্যবহার করেন।
বিজ্ঞানী ওপারিন এর মতে কোয়াসারভেট হলো প্রাক কোশীয় কণা।
ওপারিন (১৯২৪), ফক্স (১৯৭৪) এবং আরও অন্যান্য বিজ্ঞানী দের মতে আদি পৃথিবীতে সৃষ্ট জৈব পদার্থ গুলি সংযুক্ত হয়ে এক বৃহৎ কোলয়েড কণা তৈরি করে, এই কোলয়েড কণাকে কোয়াসারভেট বলে। সংযুক্ত করণ পদ্ধতিকে কোয়াসারভেশন বলে।
হট ডাইলিউট স্যুপ বা গরম তরল স্যুপ কী ?
আদিম পরিবেশে আবির্ভূত জৈব অণুগুলি সমুদ্রের জলে মিশে জীব সৃষ্টির অনুকূল একটি মাধ্যম সৃষ্টি করেছিল। সমুদ্র জল ও বিভিন্ন জৈব অণুর মিশ্রণকে গরম তরল স্যুপ বলে।গরম তরল স্যুপ নামকরণ কে করেন ?
বিজ্ঞানী হ্যালডেন গরম তরল স্যুপ বা হট ডাইলিউট স্যুপ নামকরণ করেন।
কোয়াসারভেট মডেল কী ?
সাধারণ জৈব যৌগ থেকে কীভাবে আদি ও প্রথম জীবের আবির্ভাব ঘটে সে সম্পর্কে ওপারিন কোয়াসারভেট মডেল রচনা করেন।
বিজ্ঞানী ওপারিন এর মতে, কোয়াসারভেট হলো লিপিড, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের মিলিত রূপ। এটি গোলাকার ও দ্বিস্তরীয় আবরক যুক্ত। এরা পরিবেশ থেকে লিপিড সংগ্ৰহ করে বৃদ্ধি পেত এবং মুকুল সৃষ্টি করে সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সক্ষম ছিল।
প্রোটোসেল কি ?
কোয়াসারভেট বা মাইক্রোস্ফিয়ারের সঙ্গে নিউক্লিক অ্যাসিড যুক্ত হয়ে প্রথম কোশ বা প্রোটোবায়োন্ট বা প্রোটোসেল সৃষ্টি হয়েছিল।
কোয়াসারভেট এর বৈশিষ্ট্য
১) কোয়াসারভেট হলো লিপিড, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের মিলিত রূপ।
২) কোয়াসারভেট গোলাকার এবং দ্বিস্তরীয় আবরক যুক্ত।
৩) কোয়াসারভেট পরিবেশ থেকে লিপিড সংগ্ৰহ করে বৃদ্ধি পেত এবং মুকুল সৃষ্টি করে সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সক্ষম ছিল।
কেমন লাগছে বিজ্ঞানবুক পড়তে? অবশ্যই জানান কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে। আপনি কি Bigyanbook এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করেছেন? যদি না করে থাকেন তাহলে এক্ষুনি ইউটিউবে গিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন বিজ্ঞানবুক এর ইউটিউব চ্যানেল। ফলো করুন বিজ্ঞানবুক -কে ফেসবুকে। শেয়ার করুন এই আর্টিকেলটি অন্যান্যদের সাথে। পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক। ধন্যবাদ।।