অ্যাসিড বৃষ্টি: সংজ্ঞা, কারণ, প্রভাব, প্রতিকার

নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো অ্যাসিড বৃষ্টি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য। আমরা জানবো অ্যাসিড বৃষ্টি কাকে বলে ? অ্যাসিড বৃষ্টির কারণ, অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাব, অ্যাসিড বৃষ্টির প্রতিকার এই সমস্ত কিছু। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

www.bigyanbook.co.in প্রথমেই আমরা জানবো অ্যাসিড বৃষ্টি কাকে বলে বা অ্যাসিড বৃষ্টি কী বা অ্যাসিড বৃষ্টির সংজ্ঞা।


অ্যাসিড বৃষ্টি কাকে বলে ?

উত্তর: মনুষ্য সৃষ্ট কারণে বায়ুতে যে প্রচুর পরিমাণে SO2 ও NO2 মেশে তা শিশির, তুষার ও বৃষ্টির জলের সংস্পর্শে সালফিউরিক অ্যাসিড ও নাইট্রিক অ্যাসিড তৈরি করে এবং পৃথিবীর বুকে ঝরে পড়ে। এই ঘটনাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বলে।


কোন কোন কারণে অ্যাসিড বৃষ্টি সৃষ্টি হয়, কোন কোন উৎস অ্যাসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী এবার আমরা সেগুলো দেখবো।


অ্যাসিড বৃষ্টির কারণ

যানবাহন, কলকারখানা ও ধাতু নিষ্কাশন চুল্লি থেকে নির্গত গ্যাস ও ধোঁয়ার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে সালফারের অক্সাইড ও নাইট্রোজেন এর অক্সাইড গুলি জমা হয়। SO2 বায়ুর অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রথমে সালফার ট্রাইঅক্সাইড উৎপন্ন করে যা পরে শিশির, তুষার ও বৃষ্টির জলের সঙ্গে মিশে H2SO4 উৎপন্ন করে।

2SO2 + O2 = 2SO3 ; SO3 + H2O = H2SO4

নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড বৃষ্টির জলের সঙ্গে মিশে নাইট্রিক অ্যাসিড তৈরি করে।

2NO2 + H2O = HNO3 + HNO2 ; 3HNO2 = HNO3 + 2NO + H2O


এবার আমরা দেখবো অ্যাসিড বৃষ্টি হওয়ার ফলে কি কি ক্ষতি হয়। অ্যাসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব গুলো এবার আমরা দেখবো।

অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাব

1. অ্যাসিড বৃষ্টি পুকুর, হ্রদ, জলাশয় গুলির জলকে আম্লিক করে তোলে। মাছের ডিম পাড়া কমে যায়। জলজ প্রাণী মারা যায়।

2. গাছের পাতা ঝলসে যায়। সালোকসংশ্লেষ বিঘ্নিত হয়। অঙ্কুরোদগম বাধাপ্রাপ্ত হয়। গাছের বৃদ্ধি কমে যায়।

3. মাটির অম্লতা বেড়ে যায় ও মাটি অনুর্বর হয়ে পড়ে। মাটির সঙ্গে মিশে থাকা ধাতু Mg, Al দ্রবীভূত হয়ে জলে মিশে, মাছের ক্ষতি করে।

4. মানুষের ত্বক ও কোশের ক্ষতি করে।

5. HNO3 , H2SO4 ফুসফুস ও পাকতন্ত্রের ক্ষতি করে, ফুসফুসে ক্যান্সার সৃষ্টি করে।

6. মার্বেলের তৈরি মূর্তি, স্মারক, অট্টালিকা, প্রাসাদ, ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধের ক্ষতিসাধন করে।


এবার আমরা দেখবো কিভাবে এই অ্যাসিড বৃষ্টি বন্ধ করা যায় বা এর প্রতিকার ব্যবস্থা কি।


অ্যাসিড বৃষ্টির প্রতিকার

1. একেবারে প্রথমেই আমাদের সালফার ও নাইট্রোজেন এর অক্সাইড গুলির নিঃসরণ কমাতে হবে, অ্যাসিড বৃষ্টি রোধ করার জন্য।

2. সাধারণ মানুষের নিজস্ব যানবাহন ব্যবহার কম করতে হবে, পরিবর্তে যতটা সম্ভব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে হবে।

3. জীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা উৎপন্ন বিদ্যুৎ এর ব্যবহার কম করতে হবে, পরিবর্তে সৌরবিদ্যুৎ এর ব্যবহার বেশি করতে হবে।

4. কলকারখানা গুলিতে ডিসালফারাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। এই পদ্ধতিতে কলকারখানা থেকে বেরোনো গ্যাস থেকে সালফারের অক্সাইড গুলি নিষ্কাশন করা যায়। এর ফলে সালফারের অক্সাইড গুলি বায়ুমণ্ডলে মিশতে পারে না।


কেমন লাগছে বিজ্ঞানবুক পড়তে? অবশ্যই জানান কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে। আপনি কি Bigyanbook এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করেছেন? যদি না করে থাকেন তাহলে এক্ষুনি ইউটিউবে গিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন বিজ্ঞানবুক এর ইউটিউব চ্যানেল। ফলো করুন বিজ্ঞানবুক -কে ফেসবুকে। শেয়ার করুন এই আর্টিকেলটি অন্যান্যদের সাথে। পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক। ধন্যবাদ।।

Bigyanbook

Share your feedback! Share this post! Explore all posts. Thanks for reading. facebook youtube whatsapp email

27 মন্তব্যসমূহ

  1. Thank you sir for giving this subject in our school given project on this subject for you i was able to complete my project.

    উত্তরমুছুন
  2. আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

    উত্তরমুছুন
  3. thank you sir ami amar assignment er goono apner help nilam thank you so much sir

    উত্তরমুছুন
  4. Thank You So Much !!!!!!!

    উত্তরমুছুন
  5. খুব ভালো লাগলো।

    উত্তরমুছুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন