নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো দ্রাবক আকর্ষী এবং দ্রাবক বিকর্ষী কোলয়েডের মধ্যে পার্থক্য। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

দ্রাবক আকর্ষী কোলয়েড বা লাইওফিলিক এর উদাহরণ হলো, স্টার্চ, গাম, অ্যালবুমিন ইত্যাদি। এদের বিস্তার মাধ্যমের প্রতি বিস্তৃত দশার আসক্তি থাকে।
দ্রাবক বিকর্ষী কোলয়েড বা লাইওফোবিক এর উদাহরণ হলো, গোল্ড সল, সালফার সল ইত্যাদি। এদের দ্রাবক আকর্ষী কোলয়েডের মতো বিস্তার মাধ্যমের প্রতি বিস্তৃত দশার আসক্তি থাকে না।
দ্রাবক আকর্ষী কোলয়েড, দ্রাবক বিকর্ষী কোলয়েডের তুলনায় বেশি সুস্থিত।
দ্রাবক আকর্ষী এবং দ্রাবক বিকর্ষী কোলয়েডের মধ্যে পার্থক্য (Difference between solvent attractive and solvent repulsive colloids)
১) দ্রাবক আকর্ষী কোলয়েড : যেসব কোলয়েডের বিস্তার মাধ্যমে প্রতি বিস্তৃত দশার আসক্তি থাকে তাদের দ্রাবক আকর্ষী কোলয়েড বা লাইওফিলিক বলে।
১) দ্রাবক বিকর্ষী কোলয়েড : যেসব কোলয়েডের বিস্তার মাধ্যমের প্রতি বিস্তৃত দশার আসক্তি থাকে না তাদের দ্রাবক বিকর্ষী কোলয়েড বা লাইওফোবিক বলে।
২) দ্রাবক আকর্ষী কোলয়েড : দ্রাবক আকর্ষী কোলয়েডের ক্ষেত্রে বিস্তৃত দশায় কণাগুলির এবং বিস্তার মাধ্যমের মধ্যে তীব্র আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে। এর ফলে শুধুমাত্র বিপরীত আধানযুক্ত কণা যোগ করে দ্রাবক আকর্ষী কোলয়েডের অধঃক্ষেপ সম্ভব নয় কারণ, বিস্তৃত দশার কণাগুলির চারিদিকে যে বিস্তৃত মাধ্যম থাকে তা বিপরীত আধান গুলিকে বিকর্ষণ করে।
২) দ্রাবক বিকর্ষী কোলয়েড : দ্রাবক বিকর্ষী কোলয়েড বা লাইওফোবিক এর ক্ষেত্রে, বিস্তৃত দশার কণাগুলির এবং বিস্তার মাধ্যমের মধ্যে কোনো আকর্ষণ কম না থাকায় সহজেই বাইরে থেকে বিপরীত আধানযুক্ত কণা যোগ করে দ্রাবক বিকর্ষী কোলয়েডের তঞ্চন বা অধঃক্ষেপ করা যায়।
৩) দ্রাবক আকর্ষী কোলয়েড : উদাহরণ, স্টার্চ, গাম, অ্যালবুমিন ইত্যাদি।
৩) দ্রাবক বিকর্ষী কোলয়েড : উদাহরণ, গোল্ড সল, সালফার সল ইত্যাদি।
প্রশ্ন উত্তর
১) কোলয়েডীয় কণার ইলেকট্রোফোরেটিক চলন কাকে বলে ?
উত্তর : তড়িৎ ক্ষেত্রের প্রভাবে কোলয়েড কণার কোনো একটি নির্দিষ্ট তড়িৎদ্বারের দিকে গমন করাকে কোলয়েডের ইলেকট্রোফোরেটিক চলন বলে।
২) সমতড়িৎ বিন্দু কাকে বলে ?
উত্তর : যে নির্দিষ্ট pH এর মানে তড়িৎ বিভব প্রয়োগ করা সত্ত্বেও উভধর্মী প্রকৃতি বিশিষ্ট কোলয়েড কণাগুলি ক্যাথোড বা অ্যানোড কোনো তড়িৎদ্বারের দিকেই অগ্রসর হয় না, সেই নির্দিষ্ট pH মানকে উক্ত কোলয়েডের সমতড়িৎ বিন্দু বলে।
পড়ুন আমাদের অন্যান্য আর্টিকেলগুলিও। পড়তে থাকুন বিজ্ঞান বুক। কেমন লাগছে আমাদেরকে জানান। আমাদেরকে ইমেল করতে পারেন বা আমাদেরকে whatsapp করতে পারেন বা নীচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। শেয়ার করুন এই আর্টিকেলটি অন্যান্যদের সঙ্গে। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল এবং লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। ধন্যবাদ।