বিজ্ঞানবুকে আপনাকে স্বাগত 🙏🏻
😊😊
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো গ্যালভানোমিটার সম্পর্কে। আমরা জানবো গ্যালভানোমিটার কাকে বলে? গ্যালভানোমিটারের প্রকারভেদ এবং আরো অনেক কিছু। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

১৮৩৬ সালে ইতালীয় বিজ্ঞানী লুইগি গালভানি (Luigi Galvani) আবিষ্কার করেছিলেন গ্যালভানোমিটারের। এই যন্ত্রের সাহায্যে তড়িৎ প্রবাহের পর্যবেক্ষণ এবং পরিমাপ করা যায়।
এবার আমরা জেনে নেবো গ্যালভানোমিটারের সংজ্ঞা।
গ্যালভানোমিটার কী ?
তড়িৎ প্রবাহ পর্যবেক্ষণ ও পরিমাপ করার যন্ত্র কে গ্যালভানোমিটার বলা হয়।
গ্যালভানোমিটার দু ধরনের হয়। এবার জানবো এর প্রকারভেদ।
গ্যালভানোমিটারের প্রকারভেদ
গ্যালভানোমিটার দু-ধরনের হয় যথা চল চুম্বক গ্যালভানোমিটার এবং চল কুন্ডলী গ্যালভানোমিটার।
চল চুম্বক গ্যালভানোমিটার
চল চুম্বক গ্যালভানোমিটার যন্ত্রের মূলনীতি হলো চুম্বকের উপর তড়িৎ প্রবাহের ক্রিয়া।
পরীক্ষাগারে চল-চুম্বক গ্যালভানোমিটার ব্যবহার বেশ অসুবিধা জনক এবং এরা সুবেদিতা প্রকৃতির নয়।
চল চুম্বক গ্যালভানোমিটারের উদাহরণ : ট্যানজেন্ট গ্যালভানোমিটার, সাইন গ্যালভানোমিটার।
চল কুন্ডলী গ্যালভানোমিটার
চল কুন্ডলী গ্যালভানোমিটার যন্ত্রের মূলনীতি হলো তড়িৎ প্রবাহের উপর চুম্বকের ক্রিয়া।
চল কুন্ডলী গ্যালভানোমিটারের উদাহরণ : ডি আরসোনভাল গ্যালভানোমিটার, টেবিল গ্যালভানোমিটার।
চল কুন্ডলী গ্যালভানোমিটারের সুবেদিতা
চল কুন্ডলী গ্যালভানোমিটার অত্যন্ত সুবেদী। এর মাধ্যমে প্রবাহমাত্রার খুবই সূক্ষ্ম পরিমাপ করা সম্ভব। এই কারণে প্রবাহমাত্রার পরিমাপে এই ধরনের গ্যালভানোমিটার এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি।
প্রলম্বিত বা ঝুলন্ত কুণ্ডলী গ্যালভানোমিটার খুবই সুবেদী।
চল কুন্ডলী গ্যালভানোমিটারের সীমাবদ্ধতা
চল কুন্ডলী গ্যালভানোমিটার গুলির মূল অসুবিধা হলো এদের অতিভার (overload)। অর্থাৎ সহনসীমার তুলনায় বেশি প্রবাহ। সহনসীমা তুলনায় বেশি প্রবাহ গেলে এই ধরনের গ্যালভানোমিটারের ফসফর ব্রোঞ্জ সুতো বা হেয়ার স্প্রিং সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
গ্যালভানোমিটার ব্যবহারের অসুবিধা
1. গ্যালভানোমিটারগুলিকে ঠিকমতো লেভেলিং এবং সেটিং করতে বেশ কিছুটা সময় লাগে।
2. প্রবাহমাত্রার মান সরাসরি কোনো স্কেল থেকে পাওয়া যায় না। বিক্ষেপ কোণ পরিমাপ করার পর গ্যালভানোমিটার সূত্র ব্যবহার করে প্রবাহমাত্রার মান গণনা করা হয়।
3. গ্যালভানোমিটারের রোধ সাধারণভাবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মধ্যমানের হয় অর্থাৎ 100 Ω থেকে 500 Ω হয়। এই গ্যালভানোমিটার কে প্রবাহমাত্রা বা বিভব প্রভেদ পরিমাপের জন্য ব্যবহার করলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ত্রুটি আসে।

গ্যালভানোমিটারের অংশ
1. কয়েল: গ্যালভানোমিটারের সেই অংশ যা দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ পরিমাপ করা হয়।
2. স্প্রিং: কয়েল এবং সূঁচের মধ্যে জয়েন্ট যা পরিমাপ দেয়।
3. সূঁচ: যে অংশটি পরিমাপিত তড়িৎ প্রবাহের মান নির্দেশ করে।
4. স্থায়ী চুম্বক: চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরির জন্য দায়ী, যা তড়িৎ -এর নির্ভর করে কয়েলের গতিশীলতা তৈরি করে।
5. স্কেল: যেখানে তড়িৎ প্রবাহের মাত্রা এবং তীব্রতা দেখানো হয়।
প্রশ্ন: পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত অ্যামিটার বা ভোল্ট মিটার তৈরি করতে কী ধরনের গ্য্যালভানোমিটার ব্যবহার করা হয় ?
উত্তর: পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত অ্যামিটার বা ভোল্ট মিটার তৈরি করতে চল কুন্ডলী গ্যালভানোমিটার ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন: একটি চল কুণ্ডলী গ্যালভানোমিটারে কী ধরনের চৌম্বক ক্ষেত্র থাকে ?
উত্তর: চল কুন্ডলী গ্যালভানোমিটারে ব্যাসার্ধমুখী চৌম্বক ক্ষেত্র থাকে।
প্রশ্ন: একটি গ্যালভানোমিটার কে ভোল্ট মিটারে পরিণত করতে হলে রোধটিকে কীভাবে যুক্ত করা হয় ?
উত্তর: গ্যালভানোমিটার কে ভোল্ট মিটারে পরিণত করতে রোধকে শ্রেণিতে যুক্ত করা হয়।
প্রশ্ন: চল কুন্ডলী গ্যালভানোমিটারের ক্ষেত্রে বিক্ষেপ কোণ -এর সঙ্গে প্রবাহমাত্রার সম্পর্ক কী ?
উত্তর: চল কুন্ডলী গ্যালভানোমিটার এর ক্ষেত্রে বিক্ষেপ কোণ এবং প্রবাহমাত্রার মধ্যে সম্পর্ক হলো সমানুপাতিক।
কেমন লাগছে আপনার বিজ্ঞানবুক পড়তে অবশ্যই জানান নীচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল। শেয়ার করুন এই আর্টিকেলটি আরো অনেকের সঙ্গে। পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Last Updated: April 24, 2025