লোহিত রক্তকণিকা হলো হিমোগ্লোবিনযুক্ত লাল বর্ণের রক্তকণিকা। লোহিত রক্তকণিকার কোনো নিউক্লিয়াস থাকে না, এরা নিউক্লিয়াস বিহীন হয়। আরও.....
![]() |
লোহিত কণিকা ও শ্বেত কণিকার পার্থক্য |
লোহিত রক্তকণিকা হলো হিমোগ্লোবিনযুক্ত লাল বর্ণের রক্তকণিকা। লোহিত রক্তকণিকার কোনো নিউক্লিয়াস থাকে না, এরা নিউক্লিয়াস বিহীন হয়।
অপরদিকে শ্বেত রক্তকণিকা হলো হিমোগ্লোবিন বিহীন। শ্বেত রক্তকণিকা বর্ণহীন হয়। শ্বেত রক্তকণিকা, লোহিত রক্ত কণিকার তুলনায় সংখ্যায় কম থাকে।
লোহিত কণিকা ও শ্বেত কণিকার পার্থক্য
লোহিত কণিকা |
শ্বেত কণিকা |
---|---|
1. দ্বিউত্তল অথবা দ্বিঅবতল, ডিম্বাকার, গোলাকার, নিউক্লিয়াস বিহীন রক্ত কণিকা। |
1. আকৃতি পরিবর্তনশীল, নিউক্লিয়াস যুক্ত, একাধিক লোব বা লতিযুক্ত রক্ত কণিকা। |
2. লোহিত কণিকা সংখ্যায় বেশি থাকে। |
2. লোহিত কণিকার তুলনায় শ্বেত কণিকা সংখ্যায় কম থাকে। |
3. হিমোগ্লোবিন -এর উপস্থিতিতে লাল বর্ণের হয়। |
3. হিমোগ্লোবিন না থাকার জন্য বর্ণহীন হয়। |
4. লোহিত রক্ত কণিকার কোনো প্রকারভেদ নেই। |
4. শ্বেত রক্তকণিকা সাধারণত পাঁচ প্রকারের হয়। যথা - নিউট্রোফিল, ইয়োসিনোফিল, বেসোফিল, মনোসাইট, লিম্ফোসাইট। |
5. এরা হেপারিন ক্ষরণে অক্ষম। |
5. শ্বেত রক্তকণিকার বেসোফিল হেপারিন ক্ষরণ করে। |
6. লোহিত কণিকার প্রধান কাজ হলো গ্যাসীয় আদান-প্রদান করা। |
6. শ্বেত রক্তকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে জীবাণু ধ্বংসের মাধ্যমে সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং লিম্ফোসাইটের সাহায্যে অ্যান্টিবডি উৎপাদনের দ্বারা দেহের প্রতিরক্ষার কাজ করে। |
কেমন লাগছে বিজ্ঞান বুক জানান কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে। শেয়ার করুন এই পেজটি অন্যান্যদের সঙ্গে এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ, সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল। পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক, ধন্যবাদ।।