পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অভিযোজন ও বিবর্তনের পার্থক্য কী কী?

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো অভিযোজন ও বিবর্তনের মধ্যে পার্থক্য। অভিযোজন ও বিবর্তনের পার্থক্য  বৈশিষ্ট্য (১) - স্থায়িত্ব         • অভিযোজন: এটি একটি ক্ষণস্থায়ী প্রক্রিয়া।         • বিবর্তন: এটি একটি দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া। বৈশিষ্ট্য (২) - স্তর          • অভিযোজন: এটি ব্যক্তিগতভাবে অথবা প্রজাতিগতভাবে ঘটে থাকে।         • বিবর্তন: এটি প্রজাতিগতভাবে ঘটে থাকে। বৈশিষ্ট্য (৩) - পরিবর্তন          • অভিযোজন: এই প্রক্রিয়ায় পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে জীবের পরিবর্তন ঘটে।          • বিবর্তন: এই প্রক্রিয়ায় প্রজাতির পরিবর্তন ঘটে। বৈশিষ্ট্য (৪) - ফলাফল         • অভিযোজন: পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে জীবের পরিবর্তনের ফলে বেঁচে থাকার সুযোগ বৃদ্ধি পায়।          • বিবর্তন: নতুন প্রজাতির উদ্ভব ঘটে।

আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে ?, প্রতিসরণের সূত্র কী?

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুকে। এই পোস্টে আমরা জানবো আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে ? এবং প্রতিসরণের সূত্র। আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে ? দুটি মাধ্যমের বিভেদ তলের মধ্য দিয়ে আলো যদি বিভেদ তলের সঙ্গে আনত ভাবে এক মাধ্যমে থেকে অপর মাধ্যমে প্রবেশ করে তখন ওই বিভেদ তলে আলোকরশ্মির অভিমুখের পরিবর্তন ঘটে এই ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে। আলোর প্রতিসরণ দুটি সূত্র মেনে চলে। আমরা পরপর দেখে নেব দুটি সূত্র।  আলোর প্রতিসরণের সূত্র  সূত্র ১: আপতিত রশ্মি, প্রতিসৃত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে প্রতিসারক তলের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে। সূত্র ২: আপতান কোণের সাইন এবং প্রতিসরণ কোণের সাইন এর অনুপাত ধ্রুবক হয়। এই ধ্রুবক এর মান মাধ্যম দুটির প্রকৃতি ও আপতিত আলোর বর্ণের উপর নির্ভর করে।  *সূত্র ২, স্নেলের সূত্র নামেও পরিচিত।  • লঘু মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে আলোর প্রতিসরণ  আলোকরশ্মি লঘু মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে যেমন বায়ু থেকে কাঁচে তির্যকভাবে প্রবেশ করলে প্রতিসৃত রশ্মি অভিলম্বের দিকে সরে যায়। • ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমের আলোর প্রতিসরণ  আলোকরশ্মি যদি ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে যেমন কাঁচ থেকে বায়ুতে...

ভারী জল কাকে বলে?

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুকে। এই পোস্টে আমরা জানবো ভারী জল সম্পর্কে।  ভারী জল হলো জলের একটি প্রকার যেখানে একটি ভারী আইসোটোপ যার নাম ডিউটেরিয়াম উপস্থিত থাকে। আপনারা জানেন যে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন নিয়ে জল তৈরি হয়। তবে ভারী জলের ক্ষেত্রে হাইড্রোজেনের পরিবর্তে ডিউটেরিয়াম থাকে। ভারী জলের সংজ্ঞা  যে জলে হাইড্রোজেনের পরিবর্তে ডিউটেরিয়াম নামক আইসোটোপ উপস্থিত থাকে তাকে ভারী জল বলে। সাধারণ জলে হাইড্রোজেন-১ আইসোটোপ উপস্থিত থাকে।  ডিউটেরিয়ামের সংকেত হলো : D 2 O ডিউটেরিয়াম (D) হল হাইড্রোজেনের একটি আইসোটোপ। ডিউটেরিয়াম এ একটি প্রোটন এবং একটি নিউট্রন থাকে তাই এর পারমাণবিক ওজন হলো = ২ । ভারী জলের স্ফুটনাংক (boiling point) = 101.4 °C ভারী জলের গলনাঙ্ক (melting point) = 3.8 °C ভারী জলের আণবিক ভর (molecular mass) কত ? অক্সিজেনের আণবিক ভর হলো 16 দুটো ডিউটেরিয়াম অক্সিজেন এর সঙ্গে থাকে, 2×2=4 সুতরাং, 16 + 4 = 20 (Ans.) আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে অবশ্যই জানাবেন।

ফ্লেমিং এর বাম হস্ত নিয়ম কী?

ছবি
নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞানবুকে। এই পোস্টে আমরা জানবো ফ্লেমিং এর বাম হস্ত নিয়ম কি সেই সম্পর্কে। বাঁ হাতের প্রথম তিনটি আঙ্গুলকে সমকোণে রেখে, তর্জনী চৌম্বকক্ষেত্রের অভিমুখে, মধ্যমা প্রবাহের অভিমুখে স্থাপন করলে, বৃদ্ধাঙ্গুলি তারে প্রযুক্ত বলের অভিমুখে থাকে তাই তড়িৎ এর উপর চুম্বকের ক্রিয়ায় পরিবাহীটির উপর কোন্ দিকে বল প্রযুক্ত হয় তা ফ্লেমিং এর বাম হস্ত নিয়ম থেকে জানা যায়। ফ্লেমিং এর বাম হস্ত নিয়ম  বাঁ হাতের প্রথম তিনটি আঙ্গুল পরস্পরের সঙ্গে সমকোণে রেখে প্রসারিত করলে যদি তর্জনী চৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখ এবং মধ্যমা তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ নির্দেশ করে তবে বৃদ্ধাঙ্গুলি পরিবাহী তারের উপর প্রযুক্ত বলের অভিমুখ নির্দেশ করে।  ফ্লেমিংয়ের এই বাম হস্ত নিয়ম কে মোটর নিয়ম ও বলে।  যদি সংক্ষেপে এটা মনে রাখার সুবিধার্থে করা যায়,  তর্জনী — চৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখ নির্দেশ করে।  মধ্যমা — তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ নির্দেশ করে।  বৃদ্ধাঙ্গুলি — পরিবাহী তারের উপর প্রযুক্ত বলের অভিমুখ নির্দেশ করে। আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে জানাবেন অবশ্যই।