নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানব আরহেনিয়াস তত্ত্ব সম্পর্কে। এছাড়াও থাকবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাহলে চলুন শুরু করা যাক সম্পূর্ণ আর্টিকেল।
আরহেনিয়াস তত্ত্ব
বিজ্ঞানী আরহেনিয়াসের মতে অ্যাসিড এবং ক্ষার উভয়ই তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ। অ্যাসিডের সংজ্ঞা রূপে তিনি বলেন যে, অ্যাসিড এমন একটি যৌগ যার অণুতে প্রতিস্থাপনযোগ্য একটি বা একাধিক হাইড্রোজেন পরমাণু বর্তমান এবং এই যৌগ জলীয় দ্রবণে আয়োনিত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) উৎপন্ন করে। ক্ষারের সংজ্ঞা হিসেবে তিনি বলেন যে, ক্ষার হলো এই রূপ যৌগ, যারা জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH-) উৎপন্ন করে।
অ্যাসিড এবং ক্ষারের প্রশমনের ফলে যেহেতু তাদের নিজ নিজ ধর্মের অবলুপ্ত হয়, সেই জন্য আরহেনিয়াসের মতে, "অ্যাসিড ও ক্ষারের প্রশমন H+ ও OH- আয়নদ্বয়ের বিক্রিয়ায় প্রাপ্ত অবিয়োজিত জল অণুর উৎপাদন"।
অধিকাংশ রাসায়নিক বিক্রিয়া জলীয় দ্রবণে সংঘটিত হওয়ায় আরহেনিয়াসের মতবাদের সাহায্যে জলীয় দ্রবণে সম্পাদিত অ্যাসিড এবং ক্ষারের বহুবিধ প্রক্রিয়ায় তাদের শক্তি প্রশমন এবং আদ্র বিশ্লেষণ প্রভৃতি সম্পর্কীয় পরিমাণগত পরিচয় এর সফল ব্যাখ্যা করা যায়।
আরহেনিয়াস তত্ত্ব এর ত্রুটি
কিন্তু কতগুলি ত্রুটির জন্য এই মতবাদের পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। যেমন —
• এই তত্ত্ব অনুযায়ী কেবল হাইড্রোক্সিল আয়ন যুক্ত জলে দ্রবণীয় যৌগই ক্ষার রূপে পরিগণিত হতে পারে। অর্থাৎ কেবলমাত্র হাইড্রক্সাইড যৌগসমূহ হলো ক্ষার। কিন্তু পরাধর্মী ধাতুর অক্সাইডকে (অতি তীব্র ক্ষার) এই মতবাদে ক্ষার রূপে মানা হয় না।
• এই মতবাদ অনুযায়ী, অ্যাসিড-ক্ষার বিক্রিয়া কেবলমাত্র জলীয় দ্রবণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু জল ব্যতীত অন্য দ্রাবকেও এই রূপ বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। এছাড়াও কোনো দ্রাবক মাধ্যম ব্যতীত এই বিক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। (যথা, NH3 (gas) + HCl (gas) = NH4Cl )
• হাইড্রোজেন আয়ন (H+) বা প্রোটনের অত্যাধিক আধান ঘনত্বের জন্য এরা জলের ন্যায় একটি বিশিষ্ট ধ্রুবীয় দ্রাবকে হাইড্রোনিয়াম আয়ন (H3O+) রূপে অবস্থান করে, মুক্ত হাইড্রোজেন আয়ন গ্রুপে কখনোই থাকে না।
কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে অবশ্যই আপনার মতামত জানাবেন অথবা কোন প্রশ্ন উত্তর থাকলে অবশ্যই জানাবেন। যদি ইউটিউব চ্যানেল বিজ্ঞান বুকের সাবস্ক্রাইব না করে থাকেন তাহলে এক্ষুনি ইউটিউবে গিয়ে বিজ্ঞান বুক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন। ফেসবুক পেজ যদি ফলো না করে থাকেন তাহলে ফেসবুকে গিয়ে ফেসবুক পেজ ফলো করুন। এছাড়াও আপনি বিজ্ঞান বুকের টেলিগ্রাম চ্যানেলেও জয়েন করতে পারেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।