Contents
মাধ্যমিক ২০২৬ জীবনবিজ্ঞান সাজেশন (পর্ব-২)
প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, আগের পর্বে আমরা ১০০টি প্রশ্ন দিয়েছিলাম। এখানে আরও ১০০টি (১০১ থেকে ২০০) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো। এই ২০০টি প্রশ্ন তৈরি থাকলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল নিশ্চিত।
অধ্যায় ১: জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমম্বয়
১০১. মায়োপিয়া বা নিকটদৃষ্টি কী? এর প্রতিকার কী?
উঃ যে দৃষ্টিতে দূরের জিনিস ঝাপসা কিন্তু কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখা যায়, তাকে মায়োপিয়া বলে। অবতল লেন্সযুক্ত চশমা ব্যবহার করে এর প্রতিকার করা যায়।
১০২. হাইপারমেট্রোপিয়া বা দূরদৃষ্টি কী? এর প্রতিকার কী?
উঃ যে দৃষ্টিতে কাছের জিনিস ঝাপসা কিন্তু দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখা যায়, তাকে হাইপারমেট্রোপিয়া বলে। উত্তল লেন্সযুক্ত চশমা ব্যবহার করে এটি ঠিক করা যায়।
১০৩. সিসমোন্যাস্টিক চলন বলতে কী বোঝো?
উঃ স্পর্শ, আঘাত বা কম্পনের উদ্দীপনার প্রভাবে উদ্ভিদের যে ন্যাস্টিক চলন হয়, তাকে সিসমোন্যাস্টিক চলন বলে। যেমন—লজ্জাবতী লতার পাতায় স্পর্শ করলে পাতা নুয়ে পড়ে।
১০৪. মিশ্র স্নায়ু কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যে স্নায়ু সংজ্ঞাবহ (Sensory) এবং আজ্ঞাবহ (Motor) উভয় প্রকার নিউরোন দ্বারা গঠিত, তাকে মিশ্র স্নায়ু বলে। উদাহরণ—ভেগাস স্নায়ু (১০ম করোটিয় স্নায়ু)।
১০৫. অ্যাড্রিনালিনকে 'জরুরিকালীন হরমোন' বলা হয় কেন?
উঃ রাগ, ভয়, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি জরুরি অবস্থায় অ্যাড্রিনালিন হরমোন দ্রুত ক্ষরিত হয়ে হৃদস্পন্দন ও শ্বাসক্রিয়া বাড়িয়ে দেহকে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সাহায্য করে, তাই একে এই নাম দেওয়া হয়েছে।
১০৬. লঘু মস্তিষ্কের (Cerebellum) দুটি কাজ লেখো।
উঃ (১) দেহের ভারসাম্য বজায় রাখা। (২) ঐচ্ছিক পেশীর কাজ নিয়ন্ত্রণ করে চলাফেরা ও অঙ্গভঙ্গিতে সহায়তা করা।
১০৭. হাইপোথ্যালামাসের দুটি কাজ উল্লেখ করো।
উঃ (১) দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। (২) ক্ষুধা, তৃষ্ণা, হাসি-কান্না ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা। একে 'সর্বোচ্চ প্রভু গ্রন্থি'ও বলা হয়।
১০৮. উদ্ভিদ হরমোন ও প্রাণী হরমোনের দুটি পার্থক্য লেখো।
উঃ (১) উদ্ভিদ হরমোন ভাজক কলা বা কোশ থেকে উৎপন্ন হয়, প্রাণী হরমোন অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হয়। (২) উদ্ভিদ হরমোন উৎসস্থল থেকে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় পরিবাহিত হয়, প্রাণী হরমোন রক্তের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়।
১০৯. প্রেসবায়োপিয়া বা চালশে কী?
উঃ ৪০ বছর বয়সের পর চোখের লেন্সের স্থিতিস্থাপকতা কমে যাওয়ার ফলে কাছের বস্তু দেখতে যে অসুবিধা হয়, তাকে প্রেসবায়োপিয়া বলে। বাইফোকাল লেন্স ব্যবহার করে এটি ঠিক করা হয়।
১১০. টেস্টোস্টেরন হরমোনের উৎস ও কাজ লেখো।
উঃ উৎস: শুক্রাশয়ের লেডিগ বর্ণিত আন্তরকোশ। কাজ: পুরুষের গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ এবং শুক্রাণু উৎপাদনে সাহায্য করা।
১১১. সাইটোকাইনিন হরমোনের দুটি কাজ লেখো।
উঃ (১) কোশ বিভাজন দ্রুত ঘটানো (সাইটোকাইনেসিস)। (২) পত্রমোচন বিলম্বিত করে উদ্ভিদের বার্ধক্য রোধ করা (রিচমন্ড-ল্যাং এফেক্ট)।
১১২. রড কোশ ও কোন কোশের পার্থক্য কী?
উঃ রড কোশ মৃদু আলোতে দেখতে সাহায্য করে (রডপসিন রঞ্জক থাকে), আর কোন কোশ উজ্জ্বল আলোতে এবং বর্ণ চিনতে সাহায্য করে (আয়োডপসিন রঞ্জক থাকে)।
১১৩. স্নায়ুগ্রন্থি বা গ্যাংলিয়ন কী? এর কাজ কী?
উঃ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বাইরে কয়েকটি নিউরোনের কোশদেহগুলি মিলিত হয়ে যে গ্রন্থি সৃষ্টি করে, তাকে স্নায়ুগ্রন্থি বলে। কাজ: স্নায়ু সৃষ্টি করা এবং নিউরোট্রান্সমিটার ক্ষরণ করা।
১১৪. সুষুষ্মাকাণ্ডের দুটি কাজ লেখো।
উঃ (১) প্রতিবর্ত ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা। (২) মস্তিষ্ক থেকে সারা দেহে এবং দেহ থেকে মস্তিষ্কে স্নায়ু উদ্দীপনা আদান-প্রদান করা।
১১৫. মাছের গমনে পাখনার ভূমিকা কী?
উঃ বক্ষ পাখনা ও শ্রোণি পাখনা মাছকে জলে ওঠানামা করতে এবং স্থির থাকতে সাহায্য করে। পুচ্ছ পাখনা দিক পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।
১১৬. অ্যাফারেন্ট ও ইফারেন্ট স্নায়ুর পার্থক্য কী?
উঃ অ্যাফারেন্ট (সংজ্ঞাবহ) স্নায়ু গ্রাহক থেকে উদ্দীপনা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। ইফারেন্ট (আজ্ঞাবহ) স্নায়ু কেন্দ্র থেকে নির্দেশ কারক অঙ্গে নিয়ে আসে।
১১৭. বল ও সকেট সন্ধি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যে অস্থিসন্ধিতে একটি অস্থির গোল মাথা অন্য অস্থির বাটির মতো গর্তে এমনভাবে আটকানো থাকে যাতে সবদিকে ঘোরানো যায়, তাকে বল ও সকেট সন্ধি বলে। যেমন—কাঁধের সন্ধি।
১১৮. কব্জা সন্ধি কোথায় থাকে? এর কাজ কী?
উঃ হাঁটু ও কনুইতে থাকে। এটি দরজার কব্জার মতো কাজ করে, অর্থাৎ হাড়গুলিকে কেবল একদিকে ভাঁজ করতে সাহায্য করে।
১১৯. গমন ছাড়া চলন সম্ভব, কিন্তু চলন ছাড়া গমন সম্ভব নয় কেন?
উঃ গমনের সময় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন বা চলন আবশ্যিক। কিন্তু উদ্ভিদরা এক জায়গায় স্থির থেকেও ডালপালা নাড়ায় (চলন), তাই সেখানে গমন হয় না।
১২০. অক্সিন ও জিব্বেরেলিনের একটি বিপরীত ক্রিয়া লেখো।
উঃ অক্সিন অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি ঘটিয়ে কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি রোধ করে (এপিক্যাল ডমিন্যান্স), কিন্তু জিব্বেরেলিন পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে সামগ্রিক বৃদ্ধি ঘটায়।
অধ্যায় ২: জীবনের প্রবাহমানতা
১২১. নিউক্লিওটাইড ও নিউক্লিওসাইড কী?
উঃ পেন্টোজ শর্করা ও নাইট্রোজেন বেস যুক্ত হয়ে তৈরি হয় নিউক্লিওসাইড। এর সাথে ফসফেট যুক্ত হলে তৈরি হয় নিউক্লিওটাইড (DNA-র গঠনগত একক)।
১২২. উদ্ভিদ ও প্রাণী কোশের সাইটোকাইনেসিসের পার্থক্য কী?
উঃ উদ্ভিদ কোশে 'কোশপাত' বা Cell Plate গঠনের মাধ্যমে সাইটোকাইনেসিস হয়। প্রাণী কোশে 'ক্লিভেজ' বা ফারোয়িং পদ্ধতিতে কোশপর্দা ভাঁজ হয়ে সাইটোকাইনেসিস হয়।
১২৩. ইন্টারফেজ দশার গুরুত্ব কী?
উঃ কোশ বিভাজনের পূর্বে এই দশায় কোশটি বিভাজনের জন্য প্রস্তুত হয়। DNA প্রতিলিপিকরণ (S দশায়), প্রোটিন সংশ্লেষ এবং শক্তি সঞ্চয় এই দশাতেই ঘটে।
১২৪. মেটাফেজ প্লেট কী?
উঃ মেটাফেজ দশায় ক্রোমোজোমগুলি বেমের বিষুব অঞ্চল বা নিরক্ষীয় তলে সজ্জিত হয়ে যে প্লেট সদৃশ গঠন তৈরি করে, তাকে মেটাফেজ প্লেট বলে।
১২৫. অ্যানাফেজ চলন কাকে বলে?
উঃ অ্যানাফেজ দশায় ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার দুভাগে বিভক্ত হয় এবং অপত্য ক্রোমোজোমগুলি বেমতন্তুর সংকোচনের ফলে বিপরীত মেরুর দিকে সরে যেতে থাকে। একে অ্যানাফেজ চলন বলে।
১২৬. পাথরকুচি পাতা থেকে কীভাবে নতুন গাছ জন্মায়?
উঃ পাথরকুচি পাতার কিনারা থেকে অস্থানিক মুকুল সৃষ্টি হয়। এই পত্রাশ্রয়ী মুকুল মাটিতে পড়লে তা থেকে শিকড় গজিয়ে নতুন চারাগাছ উৎপন্ন হয় (প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন)।
১২৭. স্পোর বা রেণুর মাধ্যমে জনন সম্পন্ন করে এমন দুটি জীবের নাম লেখো।
উঃ (১) ছত্রাক (যেমন- মিউকর, রাইজোপাস), (২) মস ও ফার্ন।
১২৮. বায়ুপরাগী ফুলের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উঃ (১) ফুলগুলি বর্ণহীন, গন্ধহীন ও মকরন্দহীন হয়। (২) পরাগরেণু খুব হালকা ও প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়। যেমন- ধান, গম।
১২৯. পতঙ্গপরাগী ফুলের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উঃ (১) ফুলগুলি উজ্জ্বল বর্ণের, সুগন্ধযুক্ত ও মকরন্দযুক্ত হয়। (২) পরাগরেণু আঠালো ও কণ্টকযুক্ত হয়। যেমন- আম, জবা।
১৩০. ফার্নের জনুক্রমে প্রোথ্যালাসের গুরুত্ব কী?
উঃ প্রোথ্যালাস হলো ফার্নের লিঙ্গধর দশা (Haploid)। এতে পুংধানী ও স্ত্রীধানী উৎপন্ন হয়, যা থেকে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু তৈরি হয়ে নিষেকের মাধ্যমে নতুন রেণুধর উদ্ভিদ সৃষ্টি করে।
১৩১. ক্রসিং ওভার (Crossing Over) কী?
উঃ মিয়োসিস বিভাজনের প্যাকাইটিন উপদশায় সমসংস্থ ক্রোমোজোমের দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে দেহাংশের বিনিময় ঘটে, একে ক্রসিং ওভার বলে। এর ফলে জিনের পুনর্বিন্যাস ঘটে।
১৩২. টেলোমিয়ারের কাজ কী?
উঃ (১) ক্রোমোজোমের প্রান্ত দুটিকে জুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। (২) কোশের বার্ধক্য ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
১৩৩. স্যাট (SAT) ক্রোমোজোম কাকে বলে?
উঃ যে ক্রোমোজোমে গৌণ খাঁজ থাকে এবং তার শেষ প্রান্তটি বাল্বের মতো ফোলা হয় (স্যাটেলাইট), তাকে স্যাট ক্রোমোজোম বলে। মানুষের ১৩, ১৪, ১৫, ২১, ২২ নং ক্রোমোজোম স্যাট ক্রোমোজোম।
১৩৪. বৃদ্ধি ও বিকাশের সম্পর্ক কী?
উঃ বৃদ্ধি হলো জীবের আকার ও আয়তনের স্থায়ী পরিবর্তন (পরিমাণগত)। আর বিকাশ হলো বৃদ্ধির ফলে জীবের জটিলতা বৃদ্ধি ও কার্যক্ষমতা লাভ (গুণগত)। বৃদ্ধি ছাড়া বিকাশ সম্ভব নয়।
১৩৫. বহুবিভাজন (Multiple Fission) প্রক্রিয়ায় জনন করে এমন একটি প্রাণীর নাম ও পদ্ধতি লেখো।
উঃ প্লাজমোডিয়াম বা অ্যামিবা। প্রতিকূল পরিবেশে এরা নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম বারবার বিভাজিত করে অসংখ্য অপত্য কোশ সৃষ্টি করে।
১৩৬. DNA ও RNA-র দুটি গঠনগত পার্থক্য লেখো।
উঃ (১) DNA-তে ডি-অক্সিরাইবোজ শর্করা থাকে, RNA-তে রাইবোজ শর্করা থাকে। (২) DNA-তে থাইমিন (T) থাকে, কিন্তু RNA-তে থাইমিনের পরিবর্তে ইউরাসিল (U) থাকে।
১৩৭. কোরকোদগম বা Budding কী?
উঃ যে অযৌন জনন প্রক্রিয়ায় মাতৃদেহে এক বা একাধিক উপবৃদ্ধি (কোরক) সৃষ্টি হয় এবং তা মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য জীব সৃষ্টি করে, তাকে কোরকোদগম বলে। যেমন- হাইড্রা, ইস্ট।
১৩৮. G0 দশা কী?
উঃ কোশচক্রের যে দশায় কোশ বিভাজন বন্ধ থাকে বা কোশটি বিশ্রাম নেয়, তাকে G0 দশা বলে। যেমন- স্নায়ুকোশ ও লোহিত রক্তকণিকা G0 দশায় থাকে।
১৩৯. অ্যামাইটোসিসকে প্রত্যক্ষ কোশ বিভাজন বলা হয় কেন?
উঃ কারণ এই বিভাজনে বেমতন্তু গঠিত হয় না এবং নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম সরাসরি বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য কোশ তৈরি করে।
১৪০. যৌন জননের দুটি গুরুত্ব লেখো।
উঃ (১) নতুন বৈশিষ্ট্যের আবির্ভাব ঘটে যা বিবর্তনে সাহায্য করে। (২) পরিবেশের সাথে অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
অধ্যায় ৩: বংশগতি
১৪১. প্রকট ও প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য বলতে কী বোঝো?
উঃ হেটারোজাইগাস অবস্থায় যে বৈশিষ্ট্যটি বাহ্যিকভাবে প্রকাশ পায়, তাকে প্রকট বৈশিষ্ট্য বলে। আর যেটি অপ্রকাশিত থাকে বা সুপ্ত অবস্থায় থাকে, তাকে প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য বলে।
১৪২. মেন্ডেলের স্বাধীন বিন্যাস সূত্রটি লেখো।
উঃ দ্বিসংকর জনন থেকে প্রাপ্ত সূত্র: দুই বা ততোধিক বিপরীতধর্মী যুগ্ম বৈশিষ্ট্যের উপাদানগুলি জনিতৃ থেকে অপত্যে সঞ্চারিত হওয়ার সময় কেবল পৃথক হয় তাই নয়, তারা স্বাধীনভাবে যে কোনো বৈশিষ্ট্যের সাথে সম্ভাব্য সকল প্রকারে বিন্যস্ত হয়।
১৪৩. লিঙ্গ সংযোজিত বা সেক্স-লিঙ্কড বংশগতি কী?
উঃ সেক্স ক্রোমোজোম (মূলত X ক্রোমোজোম) অবস্থিত জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বৈশিষ্ট্যগুলি যখন বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হয়, তাকে লিঙ্গ সংযোজিত বংশগতি বলে। যেমন- বর্ণান্ধতা, হিমোফিলিয়া।
১৪৪. থ্যালাসেমিয়া মেজর ও মাইনরের পার্থক্য কী?
উঃ থ্যালাসেমিয়া মাইনর হলো রোগের বাহক অবস্থা (লক্ষণ প্রকাশ পায় না বা খুব কম)। থ্যালাসেমিয়া মেজর হলো রোগের প্রকট অবস্থা, যেখানে নিয়মিত রক্ত পাল্টাতে হয়।
১৪৫. পুত্র সন্তান বা কন্যা সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা ৫০% কেন?
উঃ পিতার শুক্রাণু দুই প্রকার (X ও Y) এবং মাতার ডিম্বাণু এক প্রকার (X)। X শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করলে কন্যা (XX) এবং Y শুক্রাণু নিষিক্ত করলে পুত্র (XY) হয়। এই সংযোগ ঘটার সম্ভাবনা সমান হওয়ায় পুত্র বা কন্যা হওয়ার সুযোগ ৫০-৫০।
১৪৬. সংকরায়ণ বা Hybridization কী?
উঃ একই প্রজাতিভুক্ত দুটি ভিন্ন বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীবের মিলন ঘটিয়ে নতুন বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীব সৃষ্টির পদ্ধতিকে সংকরায়ণ বলে।
১৪৭. পুরুষদের হেটারোগ্যামেটিক লিঙ্গ বলা হয় কেন?
উঃ পুরুষদের দেহে সেক্স ক্রোমোজোম দুটি ভিন্ন প্রকৃতির (XY), ফলে তারা দুই ধরণের গ্যামেট বা শুক্রাণু (X ও Y) উৎপন্ন করে। তাই এদের হেটারোগ্যামেটিক লিঙ্গ বলে।
১৪৮. মহিলারা বর্ণান্ধতার বাহক হয়, কিন্তু সহজে আক্রান্ত হয় না কেন?
উঃ বর্ণান্ধতার জিন প্রচ্ছন্ন এবং X ক্রোমোজোমে থাকে। মহিলাদের দুটি X ক্রোমোজোম থাকায় একটিতে রোগাক্রান্ত জিন থাকলেও অপর সুস্থ জিনটি প্রকট হয়, ফলে তারা বাহক হয়। আক্রান্ত হতে গেলে দুটি X-এই জিনটি থাকতে হবে, যা বিরল।
১৪৯. গিনিপিগের কালো লোম (B) ও কর্কশ লোম (R) প্রকট হলে, একটি বিশুদ্ধ কালো ও কর্কশ লোমযুক্ত গিনিপিগের জিনোটাইপ কী হবে?
উঃ বিশুদ্ধ কালো ও কর্কশ লোমযুক্ত গিনিপিগের জিনোটাইপ হবে—BBRR।
১৫০. সহ-প্রকটতা (Co-dominance) কী? উদাহরণ দাও।
উঃ যখন সংকর জীবে দুটি বিপরীত বৈশিষ্ট্যের কোনোটিই একে অপরের ওপর প্রকট বা প্রচ্ছন্ন না হয়ে উভয়েই সমানভাবে প্রকাশ পায়। যেমন- মানুষের ABO রক্ত গ্রুপে AB গ্রুপ (A ও B উভয়ই প্রকট)।
১৫১. আলফা ও বিটা থ্যালাসেমিয়ার কারণ কী?
উঃ ১৬ নং ক্রোমোজোমের ত্রুটির কারণে আলফা গ্লোবিন চেইন তৈরি না হলে আলফা থ্যালাসেমিয়া হয়। আর ১১ নং ক্রোমোজোমের ত্রুটির কারণে বিটা গ্লোবিন চেইন তৈরি না হলে বিটা থ্যালাসেমিয়া হয়।
১৫২. মিউটাজেন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যে সব ভৌত বা রাসায়নিক পদার্থ মিউটেশন বা পরিব্যক্তি ঘটাতে সাহায্য করে, তাদের মিউটাজেন বলে। যেমন- X-ray, UV রশ্মি, মাস্টার্ড গ্যাস।
১৫৩. বিশুদ্ধ জীব বা Pure Line কী?
উঃ বংশপরম্পরায় একই বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীবদের মধ্যে প্রজনন ঘটালে যদি অপরিবর্তিত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন অপত্য সৃষ্টি হয়, তবে তাদের বিশুদ্ধ জীব বলে।
১৫৪. মেন্ডেলের একসংকর জননে F2 জনুর ফিনোটাইপ ও জিনোটাইপ অনুপাত কত?
উঃ ফিনোটাইপ অনুপাত = ৩ : ১ (লম্বা : বেঁটে)। জিনোটাইপ অনুপাত = ১ : ২ : ১ (বিশুদ্ধ লম্বা : সংকর লম্বা : বিশুদ্ধ বেঁটে)।
১৫৫. মেন্ডেলের দ্বিসংকর জননে F2 জনুর ফিনোটাইপ অনুপাত কত?
উঃ ৯ : ৩ : ৩ : ১।
১৫৬. মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণে মাতার ভূমিকা নেই কেন?
উঃ মাতা কেবল এক ধরণের ডিম্বাণু (X) উৎপাদন করে। তাই সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা মাতার ক্রোমোজোমের ওপর নির্ভর করে না, বরং পিতার শুক্রাণুর (X বা Y) ওপর নির্ভর করে।
১৫৭. সিনড্রোম কী?
উঃ ক্রোমোজোম বা জিনের ত্রুটির ফলে যখন একাধিক লক্ষণ বা উপসর্গ একত্রে প্রকাশ পায়, তখন তাকে সিনড্রোম বলে। যেমন- ডাউন সিনড্রোম।
১৫৮. কোন ক্ষেত্রে মেন্ডেলের স্বাধীন বিন্যাস সূত্র খাটে না?
উঃ লিংকেজ (Linkage) বা জিনের সংযুক্তি থাকলে মেন্ডেলের স্বাধীন বিন্যাস সূত্র খাটে না। যখন একই ক্রোমোজোমে অবস্থিত জিনগুলি জোটবদ্ধভাবে সঞ্চারিত হয়।
১৫৯. প্রোটানোপিয়া ও ডিউটেরানোপিয়া কী?
উঃ লাল বর্ণান্ধতাকে প্রোটানোপিয়া এবং সবুজ বর্ণান্ধতাকে ডিউটেরানোপিয়া বলা হয়।
১৬০. একসংকর জনন পরীক্ষা থেকে মেন্ডেল কোন সূত্রটি পেয়েছিলেন?
উঃ পৃথকীভবন সূত্র বা Law of Segregation।
অধ্যায় ৪: অভিব্যক্তি ও অভিযোজন
১৬১. আর্কিওপটেরিক্সকে 'মিসিং লিঙ্ক' বা 'সংযোগরক্ষাকারী প্রাণী' বলা হয় কেন?
উঃ আর্কিওপটেরিক্সের জীবাশ্মে সরীসৃপ (দাঁত, লেজ) এবং পক্ষী (ডানা, পালক) উভয় শ্রেণীর বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। তাই একে সরীসৃপ ও পক্ষীর সংযোগরক্ষাকারী প্রাণী বলা হয়।
১৬২. ডারউইনের মতে ভেদ বা প্রকরণ (Variation) কী?
উঃ যৌন জননের ফলে বা পরিবেশের প্রভাবে একই প্রজাতির জীবদের মধ্যে আকার, আকৃতি বা আচরণের যে ছোটখাটো পার্থক্য দেখা যায়, তাকে প্রকরণ বা ভেদ বলে। ডারউইনের মতে এটিই বিবর্তনের কাঁচামাল।
১৬৩. ক্যাকটাসের কাণ্ডকে পর্ণকাণ্ড বলা হয় কেন?
উঃ ক্যাকটাসের কাণ্ড চ্যাপ্টা, রসালো ও সবুজ বর্ণের হয় এবং পাতার মতো সালোকসংশ্লেষ করে। পাতার কাজ করে বলে একে পর্ণকাণ্ড বা ফাইলোক্ল্যাড বলে।
১৬৪. মাছের জলজ অভিযোজনে ফুলকার ভূমিকা কী?
উঃ ফুলকা মাছের প্রধান শ্বাসঅঙ্গ। এটি জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করতে এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করতে সাহায্য করে। ফুলকার উপর ঢাকনা বা কানকো থাকে (রুই মাছ)।
১৬৫. মেরুদণ্ডী প্রাণীদের হৃতপিণ্ডের গঠন কীভাবে বিবর্তনের সাক্ষ্য দেয়?
উঃ মাছের হৃতপিণ্ড ২ প্রকোষ্ঠযুক্ত, উভচরের ৩ প্রকোষ্ঠযুক্ত, সরীসৃপের অসম্পূর্ণ ৪ প্রকোষ্ঠযুক্ত এবং স্তন্যপায়ীর ৪ প্রকোষ্ঠযুক্ত। এই ক্রমোন্নতি প্রমাণ করে যে সরল জীব থেকেই জটিল জীবের উৎপত্তি হয়েছে।
১৬৬. উটের কুঁজের কাজ কী?
উঃ উটের কুঁজে ফ্যাট বা চর্বি সঞ্চিত থাকে। খাদ্যের অভাব হলে এই চর্বি জারিত হয়ে শক্তি এবং বিপাকীয় জল উৎপন্ন করে উটকে বাঁচিয়ে রাখে।
১৬৭. সুন্দরী গাছের পাতা কীভাবে লবণ মোচন করে?
উঃ সুন্দরী গাছের পাতায় লবণ গ্রন্থি (Salt Gland) থাকে, যার মাধ্যমে অতিরিক্ত লবণ জলসহ বের করে দেয়। এছাড়াও পাতা ঝরিয়ে এরা লবণ ত্যাগ করে।
১৬৮. মৌমাছির ওয়াগল নৃত্য (Waggle Dance) কী?
উঃ খাদ্যের সন্ধান ১০০ মিটারের বেশি দূরে থাকলে শ্রমিক মৌমাছিরা এক ধরণের নাচ করে যা ইংরেজি '8' অক্ষরের মতো। একে ওয়াগল নৃত্য বলে। এর মাধ্যমে তারা খাদ্যের দিক ও দূরত্ব বোঝায়।
১৬৯. নয়া-ডারউইনবাদ বা Modern Synthetic Theory কী?
উঃ ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদের সাথে মেন্ডেলের বংশগতি সূত্র এবং মিউটেশন তত্ত্বের সংমিশ্রণে বিবর্তনের যে আধুনিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, তাকে নয়া-ডারউইনবাদ বলে। বিজ্ঞানী ভাইসম্যান, গোল্ডস্মিথ প্রমুখ এর প্রবক্তা।
১৭০. সমবৃত্তীয় অঙ্গ কীভাবে 'কনভারজেন্ট ইভোলিউশন' বা অভিসারী বিবর্তন নির্দেশ করে?
উঃ ভিন্ন ভিন্ন পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভূত জীবেরা যখন একই পরিবেশে বাঁচার জন্য একই প্রকার অঙ্গ (সমবৃত্তীয় অঙ্গ) লাভ করে, তখন তাকে অভিসারী বিবর্তন বলে। যেমন- পতঙ্গ ও পাখির ডানা।
১৭১. ল্যামার্কের 'ব্যবহার ও অব্যবহারের সূত্র'টি কী?
উঃ ল্যামার্কের মতে, কোনো অঙ্গ ক্রমাগত ব্যবহার করলে তা সুগঠিত ও শক্তিশালী হয়, আর ব্যবহার না করলে তা ক্রমশ দুর্বল ও নিষ্ক্রিয় হয়ে বিলুপ্ত হয়।
১৭২. মাছের পটকার রেটি মিরাবিলি (Rete Mirabile) কী?
উঃ মাছের পটকার পশ্চাৎ প্রকোষ্ঠে অবস্থিত অসংখ্য রক্তজালক সমৃদ্ধ বিশেষ গঠন, যা গ্যাস শোষণ করতে সাহায্য করে।
১৭৩. শারীরবৃত্তীয় শুষ্ক মৃত্তিকা কাকে বলে?
উঃ সুন্দরবন অঞ্চলের মাটিতে প্রচুর জল থাকলেও অতিরিক্ত লবণের কারণে উদ্ভিদরা সেই জল শোষণ করতে পারে না। তাই এই মাটিকে শারীরবৃত্তীয় শুষ্ক মৃত্তিকা বলে।
১৭৪. ঘোড়ার বিবর্তনে ইওহিপ্পাস ও ইকুয়াসের একটি পার্থক্য লেখো।
উঃ ইওহিপ্পাস ছিল শেয়ালের মতো ছোট এবং পায়ে ৪টি আঙুল ছিল। ইকুয়াস (আধুনিক ঘোড়া) আকারে বড় এবং পায়ে ১টি মাত্র মজবুত আঙুল (খুর) আছে।
১৭৫. অভিযোজন বা Adaptation কাকে বলে?
উঃ পরিবর্তনশীল পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য জীবের গঠনগত, শারীরবৃত্তীয় ও আচরণগত যে স্থায়ী পরিবর্তন ঘটে, তাকে অভিযোজন বলে।
১৭৬. নিষ্ক্রিয় অঙ্গ বা ভেস্টিজিয়াল অর্গ্যান বিবর্তনের কী প্রমাণ দেয়?
উঃ এটি প্রমাণ করে যে, এই অঙ্গটি আমাদের পূর্বপুরুষদের দেহে সক্রিয় ছিল এবং আমরা সেই পূর্বপুরুষ থেকেই বিবর্তিত হয়েছি।
১৭৭. উটের চোখের অভিযোজন লেখো।
উঃ উটের চোখের পাতা বড় লোমযুক্ত হয় এবং চোখের কোণে নিকটিটেটিং পর্দা থাকে, যা মরুঝড়ের সময় বালি থেকে চোখকে রক্ষা করে।
১৭৮. শিম্পাঞ্জিরা কীভাবে পাথরের ব্যবহার করে?
উঃ শিম্পাঞ্জিরা শক্ত পাথরকে হাতুড়ি এবং সমতল পাথরকে নেহাই বা চাটু হিসেবে ব্যবহার করে বাদামের খোসা ভেঙে শাঁস খায়।
১৭৯. ভ্রূণতত্ত্ব বা Embryology কীভাবে বিবর্তনকে সমর্থন করে?
উঃ মেরুদণ্ডী প্রাণীদের (মাছ, উভচর, পক্ষী, স্তন্যপায়ী) ভ্রূণের প্রাথমিক অবস্থায় গিল স্লিট বা গলবিলীয় ফুলকা ছিদ্র এবং লেজের উপস্থিতি প্রমাণ করে তারা একই উদ্বংশীয় জীব থেকে সৃষ্টি হয়েছে। (হেকেলের বায়োজেনেটিক সূত্র)।
১৮০. জীবন সংগ্রামে 'আন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম' কী?
উঃ যখন খাদ্য ও বাসস্থানের জন্য দুটি ভিন্ন প্রজাতির জীবের মধ্যে সংগ্রাম হয়, তাকে আন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম বলে। যেমন- বাঘ ও হরিণের সংগ্রাম।
অধ্যায় ৫: পরিবেশ ও সংরক্ষণ
১৮১. গ্রিনহাউস এফেক্ট কী?
উঃ বায়ুমণ্ডলে CO2, মিথেন ইত্যাদি গ্যাসের আবরণ থাকার ফলে পৃথিবী থেকে বিকিরিত তাপ মহাশূন্যে ফিরে যেতে পারে না, ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। একে গ্রিনহাউস এফেক্ট বলে।
১৮২. নাইট্রিফিকেশন কাকে বলে? সাহায্যকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখো।
উঃ যে পদ্ধতিতে মাটির অ্যামোনিয়া জারিত হয়ে প্রথমে নাইট্রাইট এবং পরে নাইট্রেটে পরিণত হয়, তাকে নাইট্রিফিকেশন বলে। ব্যাকটেরিয়া: নাইট্রোসোমোনাস ও নাইট্রোব্যাকটর।
১৮৩. অ্যাসিড বৃষ্টি বা অম্লবৃষ্টি কী? এর ক্ষতি উল্লেখ করো।
উঃ বাতাসে SO2 ও NO2 বৃষ্টির জলের সাথে মিশে সালফিউরিক ও নাইট্রিক অ্যাসিড তৈরি করে ঝরে পড়লে তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বলে। ক্ষতি: মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়, মার্বেল পাথরের স্থাপত্য (যেমন- তাজমহল) ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
১৮৪. ব্যাঘ্র প্রকল্প বা Project Tiger কবে চালু হয়? এর উদ্দেশ্য কী?
উঃ ১৯৭৩ সালে চালু হয়। উদ্দেশ্য: বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, তাদের বাসস্থান সংরক্ষণ করা এবং বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানো।
১৮৫. জলদূষণের দুটি কারণ লেখো।
উঃ (১) কৃষিক্ষেত্রের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বৃষ্টির জলে ধুয়ে জলাশয়ে মেশা। (২) শিল্পকারখানার বর্জ্য ও নর্দমার নোংরা জল সরাসরি নদীতে ফেলা।
১৮৬. বায়ুদূষণের দুটি লাইকেন বা নির্দেশক উদ্ভিদের নাম লেখো।
উঃ লাইকেন (Lichen) SO2 দূষণ নির্দেশ করে। যেখানে বায়ুদূষণ বেশি, সেখানে লাইকেন জন্মায় না।
১৮৭. সুন্দরবনের কুমির সংরক্ষণের (Crocodile Project) স্থানটির নাম কী?
উঃ ভগবতপুর কুমির প্রকল্প (Bhagabatpur Crocodile Project)।
১৮৮. একশৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা হ্রাসের কারণ কী?
উঃ (১) গণ্ডারের খড়্গ (Horn)-এর ভেষজ গুণের কুসংস্কারের কারণে চোরাশিকার। (২) বন্যা ও বাসস্থানের বিনাশ।
১৮৯. সিংহ সংরক্ষণের জন্য ভারতের বিখ্যাত অরণ্য কোনটি?
উঃ গুজরাটের গির অরণ্য (Gir National Park) হলো এশীয় সিংহের একমাত্র প্রাকৃতিক বাসস্থান।
১৯০. BOD (Biological Oxygen Demand) কী?
উঃ জলে উপস্থিত জৈব বর্জ্য পদার্থ বিয়োজন করার জন্য অণুজীবদের যে পরিমাণ অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, তাকে BOD বলে। BOD বাড়লে জলদূষণ বাড়ে।
১৯১. ফুসফুসের ক্যান্সারের দুটি কারণ লেখো।
উঃ (১) ধূমপান। (২) অ্যাসবেস্টস বা সিলিকা কারখানায় কাজ করা এবং বাতাসের দূষক পদার্থ গ্রহণ।
১৯২. শব্দদূষণ মাপার একক কী? নিরাপদ মাত্রা কত?
উঃ শব্দদূষণ মাপার একক ডেসিবল (dB)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে দিনের বেলা ৪৫ dB এবং রাতে ৩৫ dB নিরাপদ। ৬৫ dB-র বেশি শব্দ ক্ষতিকর।
১৯৩. ইন-সিটু সংরক্ষণের দুটি উদাহরণ দাও।
উঃ (১) জাতীয় উদ্যান (National Park), (২) অভয়ারণ্য (Sanctuary) এবং বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ।
১৯৪. এক্স-সিটু সংরক্ষণের দুটি উদাহরণ দাও।
উঃ (১) বোটানিক্যাল গার্ডেন (উদ্ভিদ উদ্যান), (২) জুওলজিক্যাল গার্ডেন (চিড়িয়াখানা) এবং ক্রায়োব্যাংক।
১৯৫. লেগহিমোগ্লোবিন (Leg-haemoglobin) কী?
উঃ শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের মূলের অর্বুদে অবস্থিত একপ্রকার গোলাপি রঙের রঞ্জক, যা অক্সিজেন শোষণ করে নাইট্রোজেন সংবন্ধনে রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়াকে সাহায্য করে।
১৯৬. ভারতের প্রথম বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ কোনটি?
উঃ নীলগিরি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ (১৯৮৬ সালে স্থাপিত)।
১৯৭. বিশ্ব পরিবেশ দিবস কবে পালিত হয়? এর তাৎপর্য কী?
উঃ ৫ই জুন। পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশ সংরক্ষণে মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য এই দিনটি পালন করা হয়।
১৯৮. সাইলেন্ট ভ্যালি (Silent Valley) কোথায় অবস্থিত? এটি কেন বিখ্যাত?
উঃ এটি কেরলে অবস্থিত। এটি জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ একটি বৃষ্টি অরণ্য এবং এখানে 'লায়ন টেইল্ড ম্যাকাও' (Lion-tailed Macaque) পাওয়া যায়।
১৯৯. অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রতিরোধের দুটি উপায় লেখো।
উঃ (১) ধুলোবালি, ধোঁয়া ও পরাগরেণু এড়িয়ে চলা। (২) ধূমপান বর্জন করা এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করা।
২০০. রেড ডেটা বুক (Red Data Book) কী?
উঃ IUCN প্রকাশিত যে পুস্তকে পৃথিবীর সমস্ত বিপন্ন বা লুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ ও প্রাণীর তালিকা এবং তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে, তাকে রেড ডেটা বুক বলে।
অভিনন্দন! তুমি ২০০টি প্রশ্নের সেট সম্পন্ন করেছ। নিয়মিত এই প্রশ্নগুলো অনুশীলন করো এবং Bigyanbook ভিজিট করতে থাকো আরও আপডেটের জন্য।
