নমস্কার স্বাগত আপনাকে বিজ্ঞান বুকে। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে, গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন এর কারণ, প্রভাব ও প্রতিকার সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে ?
গ্রীন হাউস প্রভাবের ফলে পৃথিবীর উপরিতলের উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়ে যে সমস্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয়, প্রতিকূল পরিবেশ, বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বাড়তে থাকে তাকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন বলে।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন এর কারণ
1) জীবাশ্ম জ্বালানীর দহনের ফলে, অরণ্য বিনাশের ফলে পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইড এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
2) বিভিন্ন ধরনের বর্জ্যবস্তুর পচন থেকে, কয়লা খনি থেকে পরিবেশে মিথেন গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
3) বিভিন্ন ধরনের যানবাহন, এরোসল স্প্রে, প্লাস্টিক ফোম, রেফ্রিজারেটর থেকে নির্গত ক্লোরোফ্লুরোকার্বন বা CFC গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন এর অন্যতম কারণ।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন এর প্রভাব
1) যে সকল জীব একস্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করতে পারে না (যেমন, উদ্ভিদ ও কিছু প্রজাতির প্রাণী) তারা প্রতিকূল উষ্ণতায় বাঁচতে পারবে না।
2) উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বায়ুমণ্ডলের চাপ পরিবর্তিত হওয়ার ফলে ঝড় ও বন্যা হওয়ার ঘটনা বাড়বে।
3) মৌসুমী বায়ুর প্রকৃতি পরিবর্তিত হয়ে পৃথিবীর একপ্রান্তে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত এবং অপর প্রান্তে কম বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে মরুভূমির সৃষ্টি হবে।
4) উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর দুই মেরু প্রদেশের বরফ গলে সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। এরফলে একাধিক দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হবে।
5) ভূ-নিম্নস্থ জল বিভিন্ন স্থানে সামুদ্রিক জল দ্বারা কলুষিত হবে।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন এর প্রতিকার
1) জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পরিবর্তে বিকল্প পদ্ধতির ব্যবহার গ্ৰহণ করতে হবে।
2) অরণ্য ধ্বংস বন্ধ করতে হবে।
3) বিভিন্ন ধরনের অপ্রচলিত শক্তি যেমন সোলার প্যানেল ব্যবহার বাড়াতে হবে।
4) জীবাশ্ম জ্বালানির দ্বারা চালিত যানবাহনের সংখ্যা কমাতে হবে।
5) CFC বা ক্লোরোফ্লুরোকার্বন নির্গত করে এমন জিনিসের ব্যবহার কমাতে হবে।
6) পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখার জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
কেমন লাগছে বিজ্ঞানবুক? জানান কমেন্ট করে। শেয়ার করুন এই পেজটি। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল। লাইক ও ফলো করুন আমাদেরকে ফেসবুকে। পড়তে থাকুন বিজ্ঞানবুক। ধন্যবাদ।