রেলওয়ে পরীক্ষার রসায়ন ব্রহ্মাস্ত্র: NCERT ভিত্তিক সেরা One-Liner

রেলওয়ে পরীক্ষার রসায়ন ব্রহ্মাস্ত্র: NCERT ভিত্তিক সেরা One-Liner

নমস্কার পরীক্ষার্থীরা! আপনারা যারা রেলওয়ে টেকনিশিয়ান (RRB Technician), Railway group D এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাদের জন্য রসায়ন (Chemistry) একটি অত্যন্ত স্কোরিং বিষয়। বিগত বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে এবং NCERT (Class 10, 11, 12) সিলেবাসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি মাথায় রেখে আমরা এই "রসায়ন ব্রহ্মাস্ত্র" পোস্টটি তৈরি করেছি।

এখানে গুরুত্বপূর্ণ, বাছাই করা ওয়ান লাইনার রয়েছে। এই পোস্টটি ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারলে রসায়ন বিষয়ে আপনার প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। চলুন শুরু করা যাক।


  1. পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন (ধনাত্মক চার্জ) ও নিউট্রন (নিস্তড়িৎ) কণা থাকে।
  2. পরমাণুর সবচেয়ে হালকা মৌলিক কণা হল ইলেকট্রন, যার আবিষ্কারক জে. জে. থমসন
  3. প্রোটন কণার আবিষ্কারক হলেন আর্নেস্ট রাদারফোর্ড
  4. নিউট্রন কণা আবিষ্কার করেন জেমস চ্যাডউইক
  5. কোনো মৌলের রাসায়নিক ধর্ম তার যোজ্যতা ইলেকট্রন (Valence Electron)-এর সংখ্যার উপর নির্ভর করে।
  6. কোনো মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা (Atomic Number) হল তার প্রোটন সংখ্যা
  7. মৌলের ভর সংখ্যা (Mass Number) হল প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার মোট যোগফল।
  8. আইসোটোপ-এর ক্ষেত্রে প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন হয় (যেমন- হাইড্রোজেনের 3টি আইসোটোপ)।
  9. আইসোবার-এর ক্ষেত্রে ভর সংখ্যা সমান কিন্তু প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন হয় (যেমন- আর্গন ও ক্যালসিয়াম)।
  10. আইসোটোন-এর ক্ষেত্রে নিউট্রন সংখ্যা সমান থাকে।
  11. এক মোল পদার্থে কণার সংখ্যা 6.022 x 1023, যা অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা নামে পরিচিত।
  12. পদার্থের চতুর্থ অবস্থা হল প্লাজমা এবং পঞ্চম অবস্থা হল বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট
  13. কঠিন কার্বন ডাই অক্সাইডকে (Solid CO2) শুকনো বরফ (Dry Ice) বলা হয়।
  14. ঊর্ধ্বপাতন (Sublimation) প্রক্রিয়ায় কঠিন পদার্থ তাপ প্রয়োগে সরাসরি গ্যাসে পরিণত হয়, যেমন - কর্পূর, ন্যাপথলিন, আয়োডিন।
  15. আধুনিক পর্যায় সারণী মৌলের পারমাণবিক সংখ্যার উপর ভিত্তি করে তৈরি, যার প্রবক্তা হেনরি মোজলে
  16. আধুনিক পর্যায় সারণীতে ৭টি পর্যায় (Periods) এবং ১৮টি শ্রেণী (Groups) রয়েছে।
  17. শ্রেণী ১-এর মৌলগুলিকে ক্ষার ধাতু (Alkali Metals) বলা হয়।
  18. শ্রেণী ২-এর মৌলগুলিকে ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতু (Alkaline Earth Metals) বলা হয়।
  19. শ্রেণী ১৭-এর মৌলগুলিকে হ্যালোজেন (Halogens) বলা হয়, এরা সবচেয়ে বেশি তড়িৎ-ঋণাত্মক।
  20. শ্রেণী ১৮-এর মৌলগুলি হল নিষ্ক্রিয় গ্যাস (Noble Gases), কারণ এদের বাইরের কক্ষ ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ থাকে।
  21. পর্যায় সারণীর সবচেয়ে হালকা মৌল হল হাইড্রোজেন (H)
  22. সবচেয়ে হালকা ধাতু হল লিথিয়াম (Li) এবং সবচেয়ে ভারী প্রাকৃতিক মৌল হল ইউরেনিয়াম (U)
  23. একটি পর্যায়ের বাম দিক থেকে ডান দিকে গেলে পারমাণবিক ব্যাসার্ধ (Atomic Radius) হ্রাস পায়, কারণ নিউক্লিয়াসের চার্জ বাড়ে।
  24. একটি পর্যায়ের বাম দিক থেকে ডান দিকে গেলে আয়নাইজেশন শক্তি (Ionization Energy) বৃদ্ধি পায়
  25. একটি পর্যায়ের বাম দিক থেকে ডান দিকে গেলে তড়িৎ-ঋণাত্মকতা (Electronegativity) বৃদ্ধি পায়
  26. একটি পর্যায়ের বাম দিক থেকে ডান দিকে গেলে ইলেকট্রন আসক্তি (Electron Affinity) সাধারণত বৃদ্ধি পায়
  27. একটি পর্যায়ের বাম দিক থেকে ডান দিকে গেলে অধাতব ধর্ম (Non-metallic Character) বৃদ্ধি পায় এবং ধাতব ধর্ম (Metallic Character) হ্রাস পায়
  28. একটি শ্রেণীর (Group) উপর থেকে নীচে নামলে পারমাণবিক ব্যাসার্ধ (Atomic Radius) বৃদ্ধি পায়, কারণ নতুন ইলেকট্রন কক্ষপথ যুক্ত হয়।
  29. একটি শ্রেণীর উপর থেকে নীচে নামলে আয়নাইজেশন শক্তি (Ionization Energy) হ্রাস পায়
  30. একটি শ্রেণীর উপর থেকে নীচে নামলে তড়িৎ-ঋণাত্মকতা (Electronegativity) হ্রাস পায়
  31. একটি শ্রেণীর উপর থেকে নীচে নামলে ধাতব ধর্ম (Metallic Character) বৃদ্ধি পায় এবং অধাতব ধর্ম (Non-metallic Character) হ্রাস পায়
  32. পর্যায় সারণীর সবচেয়ে তড়িৎ-ঋণাত্মক (most electronegative) মৌল হল ফ্লুরিন (F)
  33. সর্বাধিক ইলেকট্রন আসক্তি (highest electron affinity) যুক্ত মৌল হল ক্লোরিন (Cl)
  34. সর্বাধিক আয়নাইজেশন শক্তি (highest ionization energy) যুক্ত মৌল হল হিলিয়াম (He)
  35. সর্বনিম্ন আয়নাইজেশন শক্তি (lowest ionization energy) যুক্ত মৌল হল সিজিয়াম (Cs)
  36. সাধারণ তাপমাত্রায় তরল ধাতু হল পারদ (Mercury, Hg) এবং তরল অধাতু হল ব্রোমিন (Br)
  37. ধাতু ও অধাতু উভয়ের ধর্ম প্রদর্শনকারী মৌলদের ধাতুকল্প (Metalloids) বলে, যেমন - সিলিকন, জার্মেনিয়াম, আর্সেনিক।
  38. ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে আয়নীয় বা তড়িৎযোজী বন্ধন (Ionic Bond) গঠিত হয়।
  39. ইলেকট্রন শেয়ারিং বা ভাগের মাধ্যমে সমযোজী বন্ধন (Covalent Bond) গঠিত হয়।
  40. সাধারণ লবণ বা সোডিয়াম ক্লোরাইডে (NaCl) আয়নীয় বন্ধন দেখা যায়।
  41. জলের অণুতে (H2O) এবং মিথেনে (CH4) সমযোজী বন্ধন দেখা যায়।
  42. জারণ (Oxidation) হল অক্সিজেন সংযোজন বা ইলেকট্রন বর্জন প্রক্রিয়া।
  43. বিজারণ (Reduction) হল হাইড্রোজেন সংযোজন বা ইলেকট্রন গ্রহণ প্রক্রিয়া।
  44. লোহায় মরচে পড়া একটি জারণ-বিজারণ (Redox) বিক্রিয়া এবং এটি একটি ধীর দহন।
  45. অ্যাসিড নীল লিটমাসকে লাল করে এবং ক্ষার লাল লিটমাসকে নীল করে।
  46. pH স্কেলের মান ৭ হলে দ্রবণটি প্রশম, ৭-এর কম হলে আম্লিক এবং ৭-এর বেশি হলে ক্ষারীয় হয়।
  47. বিশুদ্ধ জলের pH মান হল
  48. মানুষের রক্তের pH প্রায় ৭.৪ (ঈষৎ ক্ষারীয়)।
  49. লেবু ও কমলালেবুতে সাইট্রিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।
  50. ভিনিগারের রাসায়নিক নাম অ্যাসিটিক অ্যাসিড (CH3COOH)।
  51. দইতে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে।
  52. পিঁপড়ের হুলে ফরমিক অ্যাসিড (মিথানোয়িক অ্যাসিড) থাকে, যা জ্বালা সৃষ্টি করে।
  53. পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক রসে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) থাকে।
  54. 'রসায়নের রাজা' বা 'King of Chemicals' বলা হয় সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4)-কে।
  55. অ্যাসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়ায় লবণ ও জল উৎপন্ন হয়, এটি একটি প্রশমন বিক্রিয়া।
  56. অ্যান্টাসিড হিসেবে ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রক্সাইড [Mg(OH)2] বা মিল্ক অফ ম্যাগনেসিয়া ব্যবহৃত হয়।
  57. খাবার সোডার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম বাইকার্বনেট (NaHCO3)
  58. কাপড় কাচা সোডার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম কার্বনেট ডেকা হাইড্রেট (Na2CO3·10H2O)
  59. ব্লিচিং পাউডারের রাসায়নিক সংকেত হল CaOCl2 (ক্যালসিয়াম হাইপোক্লোরাইট)।
  60. প্লাস্টার অফ প্যারিস (POP)-এর রাসায়নিক সংকেত হল CaSO4·½H2O
  61. জিপসাম-এর রাসায়নিক সংকেত হল CaSO4·2H2O
  62. তাপ ও বিদ্যুতের সর্বোত্তম পরিবাহী ধাতু হল রূপা (Silver, Ag)
  63. অধাতু হলেও বিদ্যুতের সুপরিবাহী হল গ্রাফাইট (কার্বনের রূপভেদ)।
  64. সবচেয়ে নমনীয় (malleable) ও প্রসারণশীল (ductile) ধাতু হল সোনা (Gold, Au)
  65. সোডিয়াম (Na)পটাশিয়াম (K) অত্যন্ত সক্রিয় ধাতু, তাই এদের কেরোসিনের নিচে রাখা হয়।
  66. লোহার ওপর মরচে পড়া রোধ করতে জিঙ্কের প্রলেপ দেওয়াকে গ্যালভানাইজেশন বলে।
  67. মরিচার রাসায়নিক নাম সজল ফেরিক অক্সাইড (Hydrated Ferric Oxide, Fe2O3·xH2O)
  68. বক্সাইট (Al2O3·2H2O) হল অ্যালুমিনিয়ামের প্রধান আকরিক।
  69. হেমাটাইট (Fe2O3)ম্যাগনেটাইট (Fe3O4) হল লোহার আকরিক।
  70. সিনাবার (HgS) হল পারদের আকরিক।
  71. পিতল (Brass) হল তামা (Cu) ও দস্তা (Zn) -এর সংকর ধাতু।
  72. ব্রোঞ্জ (Bronze) হল তামা (Cu) ও টিন (Sn) -এর সংকর ধাতু।
  73. সোল্ডার (Solder) বা রাংঝাল হল টিন (Sn) ও সিসা (Pb) -এর সংকর ধাতু।
  74. স্টেইনলেস স্টিল হল লোহা, ক্রোমিয়াম, নিকেল ও কার্বনের সংকর ধাতু।
  75. বৈদ্যুতিক বাল্বের ফিলামেন্ট টাংস্টেন (W) ধাতু দিয়ে তৈরি হয় কারণ এর গলনাঙ্ক সর্বোচ্চ।
  76. কার্বনের তিনটি প্রধান রূপভেদ (allotropes) হল হীরা, গ্রাফাইট ও ফুলারিন
  77. প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে কঠিন পদার্থ হল হীরা (Diamond)
  78. পেন্সিলের সিস গ্রাফাইট দিয়ে তৈরি হয়।
  79. একই আণবিক সংকেত কিন্তু ভিন্ন গঠনযুক্ত যৌগকে আইসোমার (Isomer) বলে।
  80. কার্বনের যে ধর্মের জন্য এটি শৃঙ্খল গঠন করতে পারে তাকে ক্যাটিনেশন (Catenation) বলে।
  81. সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন (Saturated Hydrocarbons) যেমন - মিথেন, প্রোপেন, বিউটেন (LPG-র উপাদান), পর্যাপ্ত অক্সিজেনে দহনের ফলে পরিষ্কার নীল শিখা (Clean Blue Flame) উৎপন্ন করে, কারণ এদের সম্পূর্ণ দহন (Complete Combustion) হয়।
  82. অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন (Unsaturated Hydrocarbons) যেমন - অ্যাসিটিলিন, দহনের সময় উজ্জ্বল হলুদ ও ধোঁয়াযুক্ত শিখা (Yellow Sooty Flame) উৎপন্ন করে, কারণ এদের কার্বনের শতাংশ বেশি হওয়ায় অসম্পূর্ণ দহন (Incomplete Combustion) হয় এবং অবিকৃত কার্বনের কণা শিখায় জ্বলে ওঠে।
  83. একটি সাধারণ নিয়ম হল, হাইড্রোকার্বনে কার্বনের শতাংশ যত বাড়ে, তার দহনের জন্য তত বেশি অক্সিজেন প্রয়োজন হয় এবং শিখা তত বেশি হলুদ ও ধোঁয়াযুক্ত (sooty) হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
  84. বাড়ির গ্যাস স্টোভের বার্নারের ছিদ্র বন্ধ হয়ে গেলে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায়, ফলে LPG (সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন) হওয়া সত্ত্বেও অসম্পূর্ণ দহনের জন্য শিখা হলুদ দেখায় এবং বাসনের নিচে কালি জমে।
  85. অ্যালকেন (সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন)-এর সাধারণ সংকেত CnH2n+2
  86. অ্যালকিন (দ্বিবন্ধনযুক্ত হাইড্রোকার্বন)-এর সাধারণ সংকেত CnH2n
  87. অ্যালকাইন (ত্রিবন্ধনযুক্ত হাইড্রোকার্বন)-এর সাধারণ সংকেত CnH2n-2
  88. সিএনজি (CNG) এবং বায়োগ্যাসের প্রধান উপাদান হল মিথেন (CH4)
  89. এলপিজি (LPG)-র প্রধান উপাদান হল বিউটেনপ্রোপেন
  90. এলপিজি সিলিন্ডারে গন্ধ যুক্ত করার জন্য ইথাইল মারক্যাপটান মেশানো হয়।
  91. ফল পাকাতে ইথিলিন (C2H4) গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
  92. ওয়েল্ডিং-এর কাজে অ্যাসিটিলিন (C2H2) গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
  93. অ্যালকোহলের কার্যকরী মূলক হল -OH, অ্যালডিহাইডের -CHO এবং কার্বক্সিলিক অ্যাসিডের -COOH
  94. সাবান তৈরির প্রক্রিয়াকে স্যাপোনিফিকেশন (Saponification) বলা হয়।
  95. ডিটারজেন্ট হল সালফোনিক অ্যাসিডের সোডিয়াম লবণ।
  96. প্রাকৃতিক রাবার হল আইসোপ্রিন-এর পলিমার।
  97. রাবারের ভলকানাইজেশন প্রক্রিয়ায় সালফার ব্যবহার করা হয় এটিকে শক্ত ও স্থিতিস্থাপক করার জন্য।
  98. PVC-এর পুরো নাম পলিভিনাইল ক্লোরাইড
  99. টেফলন নন-স্টিক বাসনপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  100. নাইট্রাস অক্সাইড (N2O)-কে 'লাফিং গ্যাস' বলা হয়।
  101. বায়ুমণ্ডলে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকা নিষ্ক্রিয় গ্যাসটি হল আর্গন (Ar)
  102. বৈদ্যুতিক বাল্বে নাইট্রোজেনের সাথে আর্গন গ্যাস ভরা থাকে।
  103. উড়ন্ত বেলুনে হাইড্রোজেনের পরিবর্তে নিরাপদ হিলিয়াম (He) গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
  104. জলকে জীবাণুমুক্ত করতে ক্লোরিন (Cl2) গ্যাস বা ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়।
  105. ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় মিথাইল আইসোসায়ানেট (MIC) গ্যাস নির্গত হয়েছিল।
  106. অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রে কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) উৎপন্ন হয়।
  107. ওজোন স্তরের (O3) ক্ষয়ের জন্য দায়ী প্রধান যৌগ হল ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC)
  108. গ্রিন হাউস এফেক্টের জন্য দায়ী প্রধান গ্যাসগুলি হল CO2, CH4, N2O
  109. অম্লবৃষ্টি বা Acid Rain-এর জন্য দায়ী হল সালফার ডাই অক্সাইড (SO2) এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOx)
  110. ফটোগ্রাফিক প্লেটে সিলভার ব্রোমাইড (AgBr) ব্যবহৃত হয়।
  111. কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতে সিলভার আয়োডাইড (AgI) ব্যবহার করা হয়।
  112. পারমাণবিক চুল্লিতে মডারেটর বা গতি নিয়ন্ত্রক হিসেবে ভারী জল (D2O) ও গ্রাফাইট ব্যবহৃত হয়।
  113. কাচ হল একটি অকেলাসাকার কঠিন বা অতি শীতল তরল (Amorphous Solid)
  114. সাধারণ সেফটি দেশলাই বাক্সের ঘর্ষক তলে (striking surface) লাল ফসফরাস ব্যবহার করা হয়, কাঠির মাথায় নয়।
  115. দেশলাই কাঠির মাথায় প্রধানত পটাশিয়াম ক্লোরেট (KClO3) নামক জারক পদার্থ এবং সালফারের মতো দাহ্য পদার্থ থাকে।
  116. ব্যথা উপশমকারী ওষুধকে অ্যানালজেসিক (Analgesic) বলে, যেমন- অ্যাসপিরিন।
  117. জ্বর কমাতে ব্যবহৃত ওষুধকে অ্যান্টিপাইরেটিক (Antipyretic) বলে, যেমন- প্যারাসিটামল।
  118. জলের স্থায়ী খরতা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের ক্লোরাইড ও সালফেট লবণের জন্য হয়।
  119. ওয়াশিং সোডা (সোডিয়াম কার্বনেট) ব্যবহার করে জলের স্থায়ী খরতা দূর করা যায়।
  120. তেজস্ক্রিয়তার আবিষ্কারক হলেন হেনরি বেকেরেল
  121. তেজস্ক্রিয়তার SI একক হল বেকেরেল (Bq), যা প্রতি সেকেন্ডে একটি নিউক্লিয়াসের ক্ষয়কে বোঝায়।
  122. তেজস্ক্রিয়তার প্রচলিত এবং বড় একক হল কুরি (Curie, Ci)। রাদারফোর্ড (Rd) নামেও আরেকটি একক ব্যবহৃত হয়।
  123. আলফা (α) কণা হল একটি হিলিয়াম নিউক্লিয়াস (He2+)-এর স্রোত, তাই এটি ধনাত্মক চার্জযুক্ত
  124. বিটা (β) কণা হল উচ্চ গতিসম্পন্ন ইলেকট্রন (e-)-এর স্রোত, তাই এটি ঋণাত্মক চার্জযুক্ত
  125. গামা (γ) রশ্মি হল উচ্চ শক্তিসম্পন্ন তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ বা ফোটন কণা, তাই এটি নিস্তড়িৎ বা চার্জবিহীন
  126. ভেদন ক্ষমতার (Penetrating Power) ক্রম হল: গামা (γ) > বিটা (β) > আলফা (α)। গামা রশ্মির ভেদন ক্ষমতা সর্বাধিক।
  127. আয়নন ক্ষমতার (Ionizing Power) ক্রম হল: আলফা (α) > বিটা (β) > গামা (γ)। আলফা কণার গ্যাসকে আয়নিত করার ক্ষমতা সর্বাধিক।
  128. জীবাশ্মের বয়স নির্ধারণ করতে কার্বন-14 (C-14) আইসোটোপ ব্যবহৃত হয় (কার্বন ডেটিং)।
  129. পারমাণবিক বোমা নিউক্লিয়ার ফিশন (Nuclear Fission) (বিভাজন) নীতির উপর কাজ করে।
  130. হাইড্রোজেন বোমা নিউক্লিয়ার ফিউশন (Nuclear Fusion) (সংযোজন) নীতির উপর কাজ করে।
  131. সূর্যের শক্তির উৎস হল নিউক্লিয়ার ফিউশন
  132. বয়েলের সূত্র অনুযায়ী, স্থির তাপমাত্রায় গ্যাসের চাপ তার আয়তনের ব্যস্তানুপাতিক।
  133. চার্লসের সূত্র অনুযায়ী, স্থির চাপে গ্যাসের আয়তন তার পরম তাপমাত্রার সমানুপাতিক।
  134. আদর্শ গ্যাস সমীকরণটি হল PV = nRT
  135. যে বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয় তাকে তাপমোচী (Exothermic) বিক্রিয়া বলে।
  136. যে বিক্রিয়ায় তাপ শোষিত হয় তাকে তাপগ্রাহী (Endothermic) বিক্রিয়া বলে।
  137. অনুঘটক (Catalyst) রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি বাড়ায় বা কমায় কিন্তু নিজে অপরিবর্তিত থাকে।
  138. জৈব অনুঘটককে এনজাইম বা উৎসেচক বলা হয়।
  139. অ্যাকোয়া রেজিয়া বা 'অম্লরাজ' হল এক ভাগ গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3) ও তিন ভাগ গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের (HCl) মিশ্রণ, যা সোনা ও প্ল্যাটিনামকে দ্রবীভূত করতে পারে।
  140. জলের অস্থায়ী খরতার কারণ হল ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের বাইকার্বনেট লবণ।
  141. ফটকিরি (Alum) জলকে পরিশোধন করতে ব্যবহৃত হয় জমাট বাঁধানোর (coagulation) মাধ্যমে।
  142. নীল ভিট্রিয়ল হল কপার সালফেট (CuSO4·5H2O)।
  143. সবুজ ভিট্রিয়ল হল ফেরাস সালফেট (FeSO4·7H2O)।
  144. সাদা ভিট্রিয়ল হল জিঙ্ক সালফেট (ZnSO4·7H2O)।
  145. কস্টিক সোডার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH)
  146. হাইড্রোজেনকে 'ভবিষ্যতের জ্বালানি' বলা হয়।
  147. বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে ওজোন (O3) স্তর পাওয়া যায়।
  148. খাদ্য সংরক্ষণের জন্য সোডিয়াম বেনজোয়েট ব্যবহৃত হয়।
  149. কৃত্রিম মিষ্টি হিসেবে স্যাকারিন, অ্যাসপার্টেম ব্যবহৃত হয়।
  150. অ্যাসপিরিনের রাসায়নিক নাম অ্যাসিটাইল স্যালিসিলিক অ্যাসিড
  151. ক্লোরোফর্ম (CHCl3) চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হত।
  152. বায়ুর প্রধান উপাদানগুলি হল নাইট্রোজেন (প্রায় ৭৮%) এবং অক্সিজেন (প্রায় ২১%)
  153. হেবার পদ্ধতিতে লোহা অনুঘটকের উপস্থিতিতে অ্যামোনিয়া (NH3) তৈরি করা হয়।
  154. স্পর্শ পদ্ধতিতে (Contact Process) ভ্যানাডিয়াম পেন্টক্সাইড (V2O5) অনুঘটকের উপস্থিতিতে সালফিউরিক অ্যাসিড তৈরি করা হয়।
  155. ধাতু নিষ্কাশনের বিজ্ঞানকে ধাতুবিদ্যা (Metallurgy) বলে।
  156. কলয়েডাল দ্রবণে আলোর বিচ্ছুরণকে টিন্ডাল প্রভাব (Tyndall Effect) বলে।
  157. দুধ হল এক প্রকার ইমালসন (Emulsion), যা একটি কলয়েডাল দ্রবণ।
  158. সাবান ও ডিটারজেন্ট মিসেল (Micelle) গঠন করে ময়লা পরিষ্কার করে।
  159. কঠিন জলে ডিটারজেন্ট সাবানের চেয়ে বেশি কার্যকর।
  160. গ্যাসকে তরলে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে ঘনীভবন (Condensation) বলে।
  161. অ্যালুমিনিয়াম ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকা ধাতু।
    ধাতু (Metal) হল সেইসব পদার্থ, যা সাধারণত তাপ ও বিদ্যুতের সুপরিবাহী হয়, উজ্জ্বল পৃষ্ঠযুক্ত হয় এবং আঘাত করলে পাত বা তারে রূপান্তরিত করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, লোহা (Iron), সোনা (Gold), তামা (Copper) ইত্যাদি।
  162. অক্সিজেন ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকা মৌল।
    মৌল (Element) হলো সেই পদার্থ, যা কেবলমাত্র এক ধরনের পরমাণু দ্বারা গঠিত এবং যাকে রাসায়নিক পদ্ধতিতে আরও সরল কোনো পদার্থে ভাঙা যায় না। পর্যায় সারণীতে (Periodic Table) সব মৌলকে স্থান দেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, হাইড্রোজেন (Hydrogen), অক্সিজেন (Oxygen), কার্বন (Carbon) ইত্যাদি।
  163. অ্যাসিটোনে কার্যকরী মূলক হল কিটোন (-CO-)।
  164. ফরমালডিহাইড মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয় (ফরমালিন রূপে)।
  165. টিএনটি (ট্রাই নাইট্রো টলুইন) একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক।
  166. বেকেলাইট হল প্রথম কৃত্রিম প্লাস্টিক, যা ফেনল ও ফরমালডিহাইড থেকে তৈরি।
  167. নাইলন-6,6 একটি পলিঅ্যামাইড শ্রেণীর পলিমার।
  168. প্রোটিনের বিল্ডিং ব্লক বা একক হল অ্যামাইনো অ্যাসিড
  169. গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ হল মনোস্যাকারাইড
  170. চিনি বা সুক্রোজ হল একটি ডাইস্যাকারাইড
  171. শ্বেতসার (Starch) এবং সেলুলোজ হল পলিস্যাকারাইড
  172. ভিটামিন C-এর রাসায়নিক নাম অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়।
  173. ভিটামিন A-এর রাসায়নিক নাম রেটিনল, এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়।
  174. হাড় ও দাঁতের প্রধান উপাদান হল ক্যালসিয়াম ফসফেট
  175. জার্মান সিলভার হল তামা, দস্তা ও নিকেলের সংকর ধাতু, এতে কোনো সিলভার থাকে না।
  176. সবচেয়ে তড়িৎ পরিবাহী অধাতু হল গ্রাফাইট
  177. ফটোইলেকট্রিক সেলে সিজিয়াম (Cs) ধাতু ব্যবহৃত হয়।
  178. সাদা ফসফরাস অত্যন্ত সক্রিয় হওয়ায় জলের নিচে রাখা হয়।
  179. রক্তে হিমোগ্লোবিনে লোহা (Fe) ধাতু উপস্থিত থাকে।
  180. উদ্ভিদের ক্লোরোফিলে ম্যাগনেসিয়াম (Mg) ধাতু উপস্থিত থাকে।
  181. রকেটের জ্বালানিতে তরল হাইড্রোজেনঅক্সিজেন ব্যবহৃত হয়।
  182. জলের তড়িৎ বিশ্লেষণ করলে ক্যাথোড-এ হাইড্রোজেন এবং অ্যানোড-এ অক্সিজেন গ্যাস জমা হয়।
  183. অ্যানোডাইজিং হল অ্যালুমিনিয়ামের উপর অক্সাইডের পুরু স্তর ফেলার প্রক্রিয়া।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই পোস্টের প্রতিটি ওয়ান লাইনার অত্যন্ত যত্ন সহকারে এবং বিগত বছরের প্রশ্নপত্রের ধরন অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। নিয়মিত এইগুলি রিভিশন করলে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং পরীক্ষায় রসায়ন বিভাগ থেকে আসা যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে আপনি সক্ষম হবেন। আপনাদের সকলের জন্য শুভকামনা রইল!

Bigyanbook

লেখাটি কেমন কমেন্ট করে জানান। শেয়ার করুন এই পেজটি। পড়ুন অন্যান্য পোস্টগুলিও। youtube facebook whatsapp email

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন

Post Note

সাজেশন/নোটস্