রেলওয়ে পরীক্ষার জন্য Biology One-Liners (NCERT ভিত্তিক) | RRB Technician & Group D Special

রেলওয়ে পরীক্ষার জন্য Biology One-Liners (NCERT ভিত্তিক) | RRB Technician & Group D Special

নমস্কার বন্ধুরা! আপনারা যারা রেলওয়ে টেকনিশিয়ান (RRB Technician) এবং গ্রুপ ডি (Group D) পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি একটি 'ব্রহ্মাস্ত' হতে চলেছে। এখানে আমরা NCERT-এর দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর Biology সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে ৩০০-এরও বেশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওয়ান লাইনার প্রশ্ন ও উত্তর একটি পোস্টে সংকলন করেছি। পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে এই পয়েন্টগুলি তৈরি করা হয়েছে, যা আপনাদের প্রস্তুতিকে আরও শক্তিশালী করবে। এই একটি পোস্ট পড়েই বায়োলজির সম্পূর্ণ প্রস্তুতি সম্ভব। চলুন শুরু করা যাক।


    কোষ ও কলা (Cell & Tissue)
  1. জীববিদ্যার জনক (Father of Biology) বলা হয় অ্যারিস্টটলকে।
  2. প্রাণীবিদ্যার জনক (Father of Zoology) হলেন অ্যারিস্টটল।
  3. উদ্ভিদবিদ্যার জনক (Father of Botany) হলেন থিওফ্রাস্টাস।
  4. জীবদেহের গঠনগত ও কার্যগত একক হল কোষ (Cell)।
  5. কোষ আবিষ্কার করেন রবার্ট হুক (মৃত কোষ)।
  6. প্রথম সজীব কোষ পর্যবেক্ষণ করেন লিউয়েনহুক।
  7. কোষের শক্তিঘর (Powerhouse of the Cell) বলা হয় মাইটোকন্ড্রিয়াকে।
  8. মাইটোকন্ড্রিয়ার ভেতরের ভাঁজকে ক্রিস্টি বলা হয়।
  9. প্রোটিন ফ্যাক্টরি (Protein Factory) বলা হয় রাইবোসোমকে।
  10. লাইসোজোমকে আত্মঘাতী থলি (Suicidal Bag) বলা হয় কারণ এটি কোষের ভেতরের অঙ্গাণু হজম করে ফেলে।
  11. কোষ বিভাজনে সাহায্য করে সেন্ট্রোজোম (শুধুমাত্র প্রাণীকোষে)।
  12. উদ্ভিদ কোষের কোষপ্রাচীর (Cell Wall) সেলুলোজ দ্বারা নির্মিত।
  13. ছত্রাকের কোষপ্রাচীর কাইটিন (Chitin) দ্বারা নির্মিত।
  14. প্রাণীকোষে কোষপ্রাচীর থাকে না।
  15. কোষের মস্তিষ্ক (Brain of the Cell) বলা হয় নিউক্লিয়াসকে।
  16. নিউক্লিয়াস আবিষ্কার করেন রবার্ট ব্রাউন।
  17. কোষপর্দা হল একটি অর্ধভেদ্য (Semi-permeable) পর্দা।
  18. উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল কোষ প্রাচীর, ক্লোরোপ্লাস্ট এবং বড় ভ্যাকুওলের উপস্থিতি (উদ্ভিদ কোষে)।
  19. জীবন্ত কোষের প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি (Physical basis of life) বলা হয়।
  20. সরল স্থায়ী কলার উদাহরণ হল প্যারেনকাইমা, কোলেনকাইমা এবং স্ক্লেরেনকাইমা।
  21. জটিল স্থায়ী কলার উদাহরণ হল জাইলেম এবং ফ্লোয়েম।
  22. প্রাণীদেহের আবরণী কলা (Epithelial tissue) দেহকে রক্ষা করে।
  23. অ্যারিওলার কলা (Areolar tissue) হল এক প্রকার যোগকলা যা অঙ্গের ভেতরের ফাঁকা স্থান পূরণ করে।
  24. অ্যাডিপোজ কলা (Adipose tissue) ফ্যাট সঞ্চয় করে এবং তাপ নিরোধক হিসেবে কাজ করে।
  25. হাড়কে হাড়ের সাথে যুক্ত করে লিগামেন্ট।
  26. পেশীকে হাড়ের সাথে যুক্ত করে টেনডন।
  27. তরুণাস্থি বা কার্টিলেজ (Cartilage) এক প্রকার নমনীয় যোগকলা যা কানের পিনা এবং নাকের ডগায় পাওয়া যায়।
  28. মসৃণ পেশি (Smooth muscle) অনৈচ্ছিক এবং এটি পৌষ্টিকনালী, রক্তনালীর প্রাচীরে থাকে।
  29. হৃৎপেশি (Cardiac muscle) শুধুমাত্র হৃৎপিণ্ডে পাওয়া যায় এবং এটিও অনৈচ্ছিক।
  30. বংশগতিবিদ্যা (Genetics)
  31. ক্রোমোজোম বংশগতির ধারক ও বাহক।
  32. মানবদেহে ক্রোমোজোমের সংখ্যা ২৩ জোড়া বা ৪৬টি।
  33. DNA-এর সম্পূর্ণ নাম ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড।
  34. RNA-এর সম্পূর্ণ নাম রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড।
  35. DNA-এর দ্বিতন্ত্রী (Double Helix) মডেলের ধারণা দেন ওয়াটসন ও ক্রিক।
  36. জিনের গঠনগত একক হল DNA।
  37. বংশগতিবিদ্যার জনক (Father of Genetics) হলেন গ্রেগর জোহান মেন্ডেল।
  38. মেন্ডেল তার পরীক্ষার জন্য মটর গাছ ব্যবহার করেছিলেন।
  39. হঠাৎ বংশগত পরিবর্তনকে মিউটেশন বা পরিব্যক্তি বলে।
  40. ক্রোমোজোম, DNA এবং প্রোটিন (হিস্টোন) দিয়ে গঠিত।
  41. DNA থেকে RNA তৈরির প্রক্রিয়াকে ট্রান্সক্রিপশন বলে।
  42. RNA থেকে প্রোটিন তৈরির প্রক্রিয়াকে ট্রান্সলেশন বলে।
  43. মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণ করে Y ক্রোমোজোম (পুরুষদের XY, মহিলাদের XX)।
  44. ডাউন সিনড্রোম ২১ নম্বর ক্রোমোজোমের ট্রাইসোমির (তিনটি কপি) কারণে হয়।
  45. টার্নার সিনড্রোম হয় একটি X ক্রোমোজোমের অভাবে (XO)।
  46. ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম হয় একটি অতিরিক্ত X ক্রোমোজোমের কারণে (XXY)।
  47. উদ্ভিদ জগৎ (Plant Kingdom & Physiology)
  48. উদ্ভিদ কোষের ক্লোরোপ্লাস্টে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
  49. সালোকসংশ্লেষের জন্য ক্লোরোফিল নামক রঞ্জক অপরিহার্য।
  50. ক্লোরোফিলে ম্যাগনেসিয়াম (Mg) ধাতু উপস্থিত থাকে।
  51. ক্লোরোপ্লাস্টের মধ্যে থাকা চাকতির মতো গঠনকে থাইলাকয়েড বলে।
  52. অনেকগুলি থাইলাকয়েড একসঙ্গে গ্রানা (Granum) গঠন করে।
  53. জাইলেম কলার মাধ্যমে উদ্ভিদ মূল থেকে জল ও খনিজ লবণ পাতায় পরিবহন করে।
  54. ফ্লোয়েম কলার মাধ্যমে পাতায় তৈরি খাদ্য উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয়।
  55. উদ্ভিদের বৃদ্ধি পরিমাপক যন্ত্রের নাম অক্সানোমিটার বা আর্ক ইন্ডিকেটর।
  56. উদ্ভিদের বাষ্পমোচন (Transpiration) প্রক্রিয়াটি পত্ররন্ধ্রের (Stomata) মাধ্যমে হয়।
  57. উদ্ভিদের বৃদ্ধি সহায়ক হরমোনগুলি হল অক্সিন, জিব্বেরেলিন ও সাইটোকাইনিন।
  58. ফলের পরিপক্কতায় সাহায্য করে ইথিলিন নামক গ্যাসীয় হরমোন।
  59. শৈবাল (Algae) সম্বন্ধীয় পড়াশোনাকে ফাইকোলজি (Phycology) বলে।
  60. ছত্রাক (Fungi) সম্বন্ধীয় পড়াশোনাকে মাইকোলজি (Mycology) বলে।
  61. শৈবাল ও ছত্রাকের মিথোজীবী সহাবস্থানকে লাইকেন (Lichen) বলে।
  62. লাইকেন বায়ু দূষণের সূচক হিসেবে কাজ করে, বিশেষ করে সালফার ডাই অক্সাইড (SO2) দূষণের।
  63. ব্রায়োফাইটা বা মস বর্গকে উদ্ভিদ জগতের উভচর বলা হয়।
  64. টেরিডোফাইটা বা ফার্ন হল প্রথম সংবহন কলা (Vascular tissue) যুক্ত স্থলজ উদ্ভিদ।
  65. ব্যক্তবীজী (Gymnosperm) উদ্ভিদের বীজ নগ্ন থাকে (যেমন - পাইন, সাইকাস)।
  66. গুপ্তবীজী (Angiosperm) উদ্ভিদের বীজ ফলের মধ্যে আবৃত থাকে (যেমন - আম, ধান)।
  67. বিশ্বের সর্বোচ্চ উদ্ভিদ হল রেডউড।
  68. মূলরোম (Root hair) জল শোষণের জন্য দায়ী।
  69. শ্বাসমূল (Pneumatophore) লবণাক্ত মাটির উদ্ভিদে (ম্যানগ্রোভ) দেখা যায়, যেমন - সুন্দরী, গেঁওয়া।
  70. স্তম্ভমূল (Prop root) বট গাছে দেখা যায়।
  71. স্বর্ণলতা একটি সম্পূর্ণ পরজীবী উদ্ভিদ।
  72. পতঙ্গভুক উদ্ভিদের উদাহরণ হল কলসপত্রী, সূর্যশিশির।
  73. ফুলের যে অংশ ফলে রূপান্তরিত হয়, তা হলো ডিম্বাশয় বা গর্ভাশয় (Ovary)।
  74. ফুলের যে অংশ বীজে রূপান্তরিত হয়, তা হলো ডিম্বক (Ovule)।
  75. নিষেক ছাড়া ফল উৎপাদনকে পার্থেনোকার্পি বলা হয় (যেমন - কলা)।
  76. পেঁয়াজ ও আলু হল রূপান্তরিত কাণ্ড।
  77. গাজর ও মূলো হল রূপান্তরিত মূল।
  78. পরাগযোগ পতঙ্গের মাধ্যমে হলে তাকে এন্টোমোফিলি বলে।
  79. পাখির মাধ্যমে পরাগযোগকে অর্নিথোফিলি বলে।
  80. প্রাণী জগৎ (Animal Kingdom)
  81. দ্বিপদ নামকরণের প্রবর্তক হলেন ক্যারোলাস লিনিয়াস।
  82. পাঁচ রাজ্য শ্রেণিবিন্যাসের (Five Kingdom Classification) প্রবর্তক হলেন আর. এইচ. হুইটেকার।
  83. পরিফেরা (Porifera) পর্বের প্রাণীদের ছিদ্রাল দেহ দেখা যায়, উদাহরণ - স্পঞ্জ।
  84. নিডারিয়া (Cnidaria) পর্বের প্রাণীদের নিডোব্লাস্ট নামক দংশক কোষ থাকে, উদাহরণ - হাইড্রা, জেলিফিশ।
  85. চ্যাপ্টা কৃমি (Flatworm) প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের অন্তর্গত, উদাহরণ - ফিতাকৃমি।
  86. গোল কৃমি (Roundworm) নেমাটোডা পর্বের অন্তর্গত।
  87. কেঁচো, জোঁক অ্যানেলিডা (Annelida) পর্বের প্রাণী।
  88. আর্থ্রোপোডা (Arthropoda) হল প্রাণী জগতের বৃহত্তম পর্ব (যেমন - মশা, আরশোলা)।
  89. মোলাস্কা (Mollusca) হল দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্ব (যেমন - শামুক, ঝিনুক)।
  90. একাইনোডারমাটা (Echinodermata) পর্বের প্রাণীদের ত্বক কাঁটাযুক্ত হয়, উদাহরণ - তারামাছ।
  91. তারামাছের গমন অঙ্গ হল নালিপদ বা টিউব ফিট।
  92. মাছ ফুলকার (Gills) সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
  93. উভচর (Amphibia) শ্রেণীর প্রাণীরা ত্বক ও ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
  94. সরীসৃপ (Reptilia) শ্রেণীর প্রাণীরা বুকে ভর দিয়ে চলে।
  95. পাখি (Aves) শ্রেণীর প্রাণীদের হাড় ফাঁপা ও বায়ুপূর্ণ হয়।
  96. স্তন্যপায়ী (Mammalia) প্রাণীর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল স্তনগ্রন্থি এবং দেহে লোমের উপস্থিতি।
  97. শীতল রক্তের (Cold-blooded) প্রাণী হল মাছ, উভচর, সরীসৃপ।
  98. উষ্ণ রক্তের (Warm-blooded) প্রাণী হল পাখি ও স্তন্যপায়ী।
  99. সিলভার ফিশ একটি পতঙ্গ, এটি মাছ নয়।
  100. অক্টোপাসের রক্তের রঙ নীল কারণ এতে হিমোসায়ানিন থাকে।
  101. কেঁচোর শ্বাস অঙ্গ হল ত্বক।
  102. আরশোলার রক্ত বর্ণহীন কারণ এতে হিমোগ্লোবিন থাকে না।
  103. মাকড়সার পা ৮টি এবং পতঙ্গের পা ৬টি।
  104. মানব শারীরবিদ্যা (Human Physiology)
  105. মানবদেহের বৃহত্তম অঙ্গ হল ত্বক (Skin)।
  106. মানবদেহের বৃহত্তম গ্রন্থি (Largest Gland) হল যকৃৎ বা লিভার (Liver)।
  107. মানবদেহের ক্ষুদ্রতম গ্রন্থি হল পিনিয়াল এবং দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম গ্রন্থি পিটুইটারি।
  108. পিটুইটারি গ্রন্থিকে প্রভু গ্রন্থি বা মাস্টার গ্ল্যান্ড (Master Gland) বলা হয়।
  109. মানবদেহের দীর্ঘতম কোষ হল স্নায়ু কোষ বা নিউরোন।
  110. মানবদেহের দীর্ঘতম হাড় হল ফিমার (ঊরুর হাড়)।
  111. মানবদেহের ক্ষুদ্রতম হাড় হল স্টেপিস (কর্ণের হাড়)।
  112. একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মোট হাড়ের সংখ্যা ২০৬টি।
  113. শিশুদের দেহে হাড়ের সংখ্যা প্রায় ৩০০টি।
  114. রক্ত একটি তরল যোগকলা (Liquid Connective Tissue)।
  115. রক্তের pH মাত্রা হল ৭.৪ (সামান্য ক্ষারীয়)।
  116. রক্তে রক্তরসের (Plasma) পরিমাণ প্রায় ৫৫%।
  117. লোহিত রক্তকণিকার (RBC) গড় আয়ু ১২০ দিন।
  118. লোহিত রক্তকণিকায় হিমোগ্লোবিন থাকে, যা অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে।
  119. হিমোগ্লোবিনে লোহা (Iron) নামক খনিজ পদার্থ থাকে।
  120. শ্বেত রক্তকণিকা (WBC) রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, তাই এদের দেহের সৈনিক বলা হয়।
  121. অণুচক্রিকা বা প্লেটলেট (Platelets) রক্ত তঞ্চনে বা জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
  122. সর্বজনীন দাতা (Universal Donor) রক্ত গ্রুপ হল O নেগেটিভ।
  123. সর্বজনীন গ্রহীতা (Universal Recipient) রক্ত গ্রুপ হল AB পজিটিভ।
  124. রক্তের গ্রুপ আবিষ্কার করেন কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার।
  125. রক্ত সংবহনতন্ত্র আবিষ্কার করেন উইলিয়াম হার্ভে।
  126. ধমনী (Artery) হৃৎপিণ্ড থেকে বিশুদ্ধ রক্ত (অক্সিজেনযুক্ত) বহন করে।
  127. শিরা (Vein) দেহ থেকে দূষিত রক্ত (কার্বন ডাই অক্সাইডযুক্ত) হৃৎপিণ্ডে নিয়ে আসে।
  128. ব্যতিক্রম: ফুসফুসীয় ধমনী (দূষিত রক্ত) এবং ফুসফুসীয় শিরা (বিশুদ্ধ রক্ত)।
  129. মানব হৃৎপিণ্ডের চারটি প্রকোষ্ঠ থাকে।
  130. স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রতি মিনিটে ৭২ বার।
  131. রক্তচাপ মাপার যন্ত্রের নাম স্ফিগমোম্যানোমিটার।
  132. একজন সুস্থ মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ হল ১২০/৮০ মিমি Hg।
  133. হৃৎপিণ্ডের সংকোচনকে সিস্টোল এবং প্রসারণকে ডায়াস্টোল বলে।
  134. হৃৎপিণ্ডের প্রাকৃতিক পেসমেকার হল সাইনো-অ্যাট্রিয়াল নোড (SA node)।
  135. ECG (ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম) হৃৎপিণ্ডের কার্যকলাপ নিরীক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  136. হৃৎপিণ্ডের আবরণীকে পেরিকার্ডিয়াম বলা হয়।
  137. পাকস্থলীতে খাদ্য হজমের জন্য হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) নিঃসৃত হয়।
  138. প্রোটিন পরিপাক শুরু হয় পাকস্থলীতে এবং শেষ হয় ক্ষুদ্রান্ত্রে।
  139. ক্ষুদ্রান্ত্রের ভিল্লি (Villi) পাচিত খাদ্য শোষণে সাহায্য করে।
  140. পিত্তরস (Bile Juice) যকৃৎ থেকে নিঃসৃত হয় এবং পিত্তথলিতে জমা থাকে।
  141. ইনসুলিন হরমোন অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অফ ল্যাঙ্গারহ্যান্স থেকে নিঃসৃত হয়।
  142. লালারসে উপস্থিত উৎসেচকের নাম টায়ালিন বা স্যালাইভারি অ্যামাইলেজ।
  143. মানুষের দুধে দাঁতের সংখ্যা ২০টি।
  144. মানুষের স্থায়ী দাঁতের সংখ্যা ৩২টি।
  145. ফুসফুসের আবরণীকে প্লুরা বলা হয়।
  146. মানুষের স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের হার প্রতি মিনিটে ১৬-১৮ বার।
  147. মস্তিষ্কের বৃহত্তম অংশ হল সেরিব্রাম বা গুরুমস্তিষ্ক।
  148. দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে লঘুমস্তিষ্ক বা সেরিবেলাম।
  149. দেহের তাপমাত্রা, ক্ষুধা, তৃষ্ণা নিয়ন্ত্রণ করে হাইপোথ্যালামাস।
  150. EEG (ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাম) মস্তিষ্কের কার্যকলাপ নিরীক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  151. দুটি নিউরোনের সংযোগস্থলকে সাইন্যাপস (Synapse) বলে।
  152. প্রতিবর্ত ক্রিয়ার কেন্দ্র হল সুষুম্নাকাণ্ড।
  153. মানুষের করোটীয় স্নায়ুর সংখ্যা ১২ জোড়া এবং সুষুম্না স্নায়ুর সংখ্যা ৩১ জোড়া।
  154. বৃক্ক বা কিডনির গঠনগত ও কার্যগত একক হল নেফ্রন।
  155. যকৃতে অর্নিথিন চক্রের মাধ্যমে ইউরিয়া সংশ্লেষ হয়।
  156. মূত্রের হলুদ বর্ণের জন্য দায়ী রঞ্জকটি হল ইউরোক্রোম।
  157. চোখের প্রতিবিম্ব গঠিত হয় রেটিনায়।
  158. চোখ দান করার সময় কর্নিয়া দান করা হয়।
  159. মায়োপিয়া (নিকট-দৃষ্টি) ত্রুটি দূর করতে অবতল লেন্স ব্যবহৃত হয়।
  160. হাইপারমেট্রোপিয়া (দূর-দৃষ্টি) ত্রুটি দূর করতে উত্তল লেন্স ব্যবহৃত হয়।
  161. মানুষের চোখের স্পষ্ট দর্শনের ন্যূনতম দূরত্ব হল ২৫ সেমি।
  162. রড কোষ কম আলোতে এবং কোণ কোষ বর্ণ চিনতে সাহায্য করে।
  163. মানুষের গায়ের রঙ মেলানিন নামক রঞ্জকের উপর নির্ভর করে।
  164. অ্যাড্রেনালিন হরমোনকে 'আপৎকালীন হরমোন' বা 'Emergency Hormone' বলা হয়।
  165. পুরুষের যৌন হরমোন হল টেস্টোস্টেরন, মহিলাদের যৌন হরমোন হল ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন।
  166. মানবদেহে অ্যামাইনো অ্যাসিডের সংখ্যা ২০ প্রকার।
  167. প্লীহাকে 'রক্তের কবরখানা' (Graveyard of RBC) বলা হয়।
  168. নিষেক (Fertilization) প্রক্রিয়াটি মহিলাদের ডিম্বনালী বা ফ্যালোপিয়ান টিউবে সম্পন্ন হয়।
  169. মানবদেহে পেশীর সংখ্যা প্রায় ৬৩৯টি।
  170. মানবদেহের সবচেয়ে শক্তিশালী পেশী হল চোয়ালের ম্যাসেটার পেশী।
  171. ভিটামিন, স্বাস্থ্য ও রোগ (Vitamins, Health & Diseases)
  172. ভিটামিন A-এর রাসায়নিক নাম রেটিনল। এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়।
  173. ভিটামিন B1-এর রাসায়নিক নাম থিয়ামিন। এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হয়।
  174. ভিটামিন B12-এ কোবাল্ট ধাতু পাওয়া যায়।
  175. ভিটামিন C-এর রাসায়নিক নাম অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়।
  176. ভিটামিন D-এর রাসায়নিক নাম ক্যালসিফেরল। এর অভাবে শিশুদের রিকেট ও প্রাপ্তবয়স্কদের অস্টিওম্যালেসিয়া হয়।
  177. সূর্যালোকের উপস্থিতিতে আমাদের ত্বক ভিটামিন D সংশ্লেষ করতে পারে।
  178. ভিটামিন E-এর রাসায়নিক নাম টোকোফেরল। এর অভাবে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে।
  179. ভিটামিন K-এর রাসায়নিক নাম ফাইলোকুইনোন। এটি রক্ত তঞ্চনে সাহায্য করে।
  180. জলে দ্রবণীয় ভিটামিন হল B এবং C।
  181. ফ্যাটে দ্রবণীয় ভিটামিন হল A, D, E এবং K।
  182. ইনসুলিনের অভাবে ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগ হয়।
  183. টাইফয়েড একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ, যা সালমোনেলা টাইফি দ্বারা সৃষ্ট হয়।
  184. কলেরা ভিব্রিও কলেরি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি জলবাহিত রোগ।
  185. যক্ষ্মা বা টিবি (Tuberculosis) মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগ।
  186. বিসিজি (BCG) টিকা যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধের জন্য দেওয়া হয়।
  187. পোলিও, ডেঙ্গু, AIDS, ইনফ্লুয়েঞ্জা হল ভাইরাস ঘটিত রোগ।
  188. ডেঙ্গু রোগের বাহক হল এডিস মশা।
  189. ম্যালেরিয়া রোগ প্লাজমোডিয়াম নামক প্রোটোজোয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়।
  190. ম্যালেরিয়া রোগের বাহক হল স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা।
  191. কালাজ্বরের বাহক হল বেলেমাছি।
  192. AIDS রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস হল HIV (Human Immunodeficiency Virus)।
  193. HIV ভাইরাস দেহের শ্বেত রক্তকণিকাকে (T-helper cell) আক্রমণ করে।
  194. দাদ (Ringworm) একটি ছত্রাক ঘটিত রোগ।
  195. হিমোফিলিয়া একটি বংশগত রোগ যেখানে রক্ত সহজে জমাট বাঁধে না।
  196. বর্ণান্ধতা (Colour Blindness) একটি বংশগত রোগ, যেখানে লাল ও সবুজ রঙ চিনতে অসুবিধা হয়।
  197. গ্লুকোমা এবং ছানি চোখের রোগ।
  198. আর্থ্রাইটিস বা বাত হল হাড়ের সংযোগস্থলের রোগ।
  199. অস্টিওপোরোসিস ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড়ের একটি রোগ।
  200. টিকাকরণ পদ্ধতির জনক হলেন এডওয়ার্ড জেনার।
  201. জলাতঙ্ক রোগের টিকা আবিষ্কার করেন লুই পাস্তুর।
  202. পেনিসিলিন আবিষ্কার করেন আলেকজান্ডার ফ্লেমিং (পেনিসিলিয়াম নোটেটাম নামক ছত্রাক থেকে)।
  203. বিবর্তন ও বাস্তুতন্ত্র (Evolution & Ecology)
  204. 'অরিজিন অফ স্পিসিস' বইটির লেখক হলেন চার্লস ডারউইন।
  205. যোগ্যতমের উদবর্তন (Survival of the Fittest) তত্ত্বের প্রবক্তা ডারউইন।
  206. সমসংস্থ অঙ্গের (Homologous organs) গঠন এক কিন্তু কাজ ভিন্ন (যেমন - মানুষের হাত, পাখির ডানা)।
  207. সমবৃত্তীয় অঙ্গের (Analogous organs) কাজ এক কিন্তু গঠন ভিন্ন (যেমন - পতঙ্গের ডানা, পাখির ডানা)।
  208. নিষ্ক্রিয় অঙ্গের (Vestigial organs) উদাহরণ হল মানুষের অ্যাপেন্ডিক্স।
  209. আর্কিওপটেরিক্স হল সরীসৃপ ও পাখির মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী জীবাশ্ম।
  210. জীবন্ত জীবাশ্ম (Living Fossil) এর উদাহরণ হল সাইকাস, লিমুলাস।
  211. বাস্তুতন্ত্রে শক্তির মূল উৎস হল সূর্য।
  212. বাস্তুতন্ত্রে শক্তিপ্রবাহ সর্বদা একমুখী (Unidirectional) হয়।
  213. খাদ্য শৃঙ্খলের প্রতিটি স্তরকে ট্রফিক লেভেল বলা হয়।
  214. ওজোন স্তর সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি (UV rays) থেকে আমাদের রক্ষা করে।
  215. গ্রিন হাউস গ্যাসের উদাহরণ হল কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2), মিথেন (CH4), ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC)।
  216. অ্যাসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী প্রধান গ্যাসগুলি হল সালফার ডাই অক্সাইড (SO2) এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO2)।
  217. জৈব বিবর্ধন (Biomagnification) হল খাদ্য শৃঙ্খলে DDT-এর মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিকের ঘনত্ব বৃদ্ধি।
  218. ইউট্রোফিকেশন হল জলাশয়ে অতিরিক্ত পুষ্টির কারণে শৈবালের অত্যাধিক বৃদ্ধি।
  219. ইন-সিটু সংরক্ষণের উদাহরণ হল জাতীয় উদ্যান (National Park), অভয়ারণ্য (Sanctuary)।
  220. এক্স-সিটু সংরক্ষণের উদাহরণ হল চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন।
  221. শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের মূলে রাইজোবিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়া বাস করে যা নাইট্রোজেন স্থিতিশীল করে।
  222. বিবিধ (Miscellaneous)
  223. পেট্রোলিয়াম শোধনে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহৃত হয়।
  224. দই তৈরিতে ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক ব্যাকটেরিয়া সাহায্য করে।
  225. পিঁপড়ের হুলে ফর্মিক অ্যাসিড থাকে।
  226. আপেলে ম্যালিক অ্যাসিড, লেবুতে সাইট্রিক অ্যাসিড, তেঁতুলে টারটারিক অ্যাসিড এবং দইতে ল্যাকটিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।
  227. সিল্ক পাওয়া যায় রেশম মথের কোকুন বা গুটি থেকে।
  228. মৌমাছি পালনকে এপিকালচার, রেশম চাষকে সেরিকালচার এবং মাছ চাষকে পিসিকালচার বলে।
  229. হাইড্রোফোনিয়া হল মাটি ছাড়া জলে গাছ লাগানো।
  230. রেসারপিন নামক উপক্ষার সর্পগন্ধা গাছ থেকে পাওয়া যায়, যা উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
  231. কুইনাইন সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে পাওয়া যায়, যা ম্যালেরিয়ার ওষুধ।
  232. ভাইরাস জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী পর্যায়ের বস্তু।
  233. সবচেয়ে বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী হল নীল তিমি।
  234. উড়তে পারে এমন একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী হল বাদুড়।
  235. ডিম পাড়ে এমন একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী হল প্লাটিপাস বা হংসচঞ্চু।
  236. বায়োগ্যাসের প্রধান উপাদান হল মিথেন (CH4)।
  237. গোল্ডেন রাইস-এ ভিটামিন A (বিটা-ক্যারোটিন) এর পরিমাণ বেশি থাকে।
  238. মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হল ৩৭° সেলসিয়াস বা ৯৮.৬° ফারেনহাইট।
  239. রক্ত সম্পর্কিত অধ্যয়নকে হেমাটোলজি, যকৃৎ সম্পর্কিত অধ্যয়নকে হেপাটোলজি এবং ক্যান্সার সম্পর্কিত অধ্যয়নকে অঙ্কোলজি বলে।
  240. পেঁয়াজ কাটার সময় চোখে জ্বালা করে সালফারের উপস্থিতির জন্য।
  241. সাধারণ জীববিদ্যা (General Biology
  242. কোষ সম্পর্কিত অধ্যয়নকে সাইটোলজি (Cytology) বলে।
  243. কলা বা টিস্যু সম্পর্কিত অধ্যয়নকে হিস্টোলজি (Histology) বলে।
  244. জীবাশ্ম সম্পর্কিত অধ্যয়নকে প্যালিওন্টোলজি (Paleontology) বলে।
  245. পতঙ্গ সম্পর্কিত অধ্যয়নকে এন্টোমোলজি (Entomology) বলে।
  246. পাখি সম্পর্কিত অধ্যয়নকে অর্নিথোলজি (Ornithology) বলে।
  247. কোষ ও কোষ বিভাজন (Cell & Cell Division)
  248. ATP (অ্যাডেনোসিন ট্রাইফসফেট) কে কোষের 'এনার্জি কারেন্সি' বলা হয়।
  249. সমবিভাজন (Equational division) বলা হয় মাইটোসিস কোষ বিভাজনকে।
  250. হ্রাস বিভাজন (Reductional division) বলা হয় মিয়োসিস কোষ বিভাজনকে।
  251. দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষত নিরাময়ে মাইটোসিস বিভাজন সাহায্য করে।
  252. জনন কোষ বা গ্যামেট (শুক্রাণু ও ডিম্বাণু) উৎপাদনে মিয়োসিস বিভাজন হয়।
  253. মিয়োসিস বিভাজনের ক্রসিং ওভারের ফলে জিনের নতুন সমন্বয় ঘটে।
  254. মাইটোসিসে অপত্য কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের সমান থাকে।
  255. মিয়োসিসে অপত্য কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের অর্ধেক হয়ে যায়।
  256. বংশগতিবিদ্যা (Genetics)
  257. মানবদেহের ক্রোমোজোম ২২ জোড়া অটোজোম এবং ১ জোড়া সেক্স ক্রোমোজোম নিয়ে গঠিত।
  258. উদ্ভিদ জগৎ (Plant Kingdom)
  259. সালোকসংশ্লেষের আলোক দশা ক্লোরোপ্লাস্টের গ্রানায় এবং অন্ধকার দশা স্ট্রোমায় সম্পন্ন হয়।
  260. সালোকসংশ্লেষে নির্গত অক্সিজেন জল (H2O) থেকে আসে।
  261. আলোর দিকে উদ্ভিদের বৃদ্ধিকে ফটোট্রপিজম বলে।
  262. লজ্জাবতী লতার পাতায় স্পর্শ করলে তা গুটিয়ে যায়, এটি সিসমোন্যাস্টিক চলনের উদাহরণ।
  263. প্রাণী জগৎ (Animal Kingdom)
  264. পেরিপেটাস হল অ্যানিলিডা ও আর্থ্রোপোডার সংযোগ রক্ষাকারী প্রাণী।
  265. হিপোক্যাম্পাস (সামুদ্রিক ঘোড়া) একটি প্রকৃত মাছ।
  266. মানব শারীরবিদ্যা (Human Physiology)
  267. মানবদেহের কশেরুকার সংখ্যা ৩৩টি (প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ২৬টি)।
  268. মানুষের করোটিতে (Skull) মোট হাড়ের সংখ্যা ২২টি।
  269. রক্ত তঞ্চনে সাহায্যকারী প্রোটিন হল ফাইব্রিনোজেন এবং প্রোথ্রোম্বিন।
  270. দেহের ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় হেপারিন।
  271. AB রক্ত গ্রুপে কোনো অ্যান্টিবডি থাকে না।
  272. O রক্ত গ্রুপে কোনো অ্যান্টিজেন থাকে না।
  273. লালারসে লাইসোজাইম নামক জীবাণুনাশক উৎসেচক থাকে।
  274. শিশুদের ক্ষেত্রে দুধের প্রোটিন (কেসিন) পরিপাকে রেনিন নামক উৎসেচক সাহায্য করে।
  275. দেহের অনৈচ্ছিক ক্রিয়া (হৃৎস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাস) নিয়ন্ত্রণ করে মেডুলা অবলংগাটা।
  276. থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত থাইরক্সিন হরমোন দেহের বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
  277. আয়োডিনের অভাবে গলগণ্ড বা গয়টার রোগ হয়।
  278. ইনসুলিন অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অফ ল্যাঙ্গারহ্যান্সের বিটা-কোষ থেকে নিঃসৃত হয়।
  279. পিনিয়াল গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত মেলাটোনিন হরমোন ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে।
  280. স্বাস্থ্য ও রোগ (Health & Diseases)
  281. ডিপথেরিয়া, টিটেনাস এবং হুপিং কাশির জন্য DPT টিকা দেওয়া হয়।
  282. ক্যান্সার সৃষ্টিকারী জিনকে অঙ্কোজিন (Oncogene) বলে।
  283. জৈবপ্রযুক্তি ও ফলিত জীববিজ্ঞান (Biotechnology & Applied Biology)
  284. রেস্ট্রিকশন এনজাইমকে 'আণবিক কাঁচি' (Molecular scissors) বলা হয়, যা DNA কাটতে ব্যবহৃত হয়।
  285. DNA লাইগেজকে 'আণবিক আঠা' (Molecular glue) বলা হয়, যা DNA খণ্ড জোড়া লাগায়।
  286. PCR এর পুরো নাম পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন, যা DNA-এর সংখ্যাবৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয়।
  287. ঈস্ট (Yeast) নামক ছত্রাক পাউরুটি এবং মদ শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
  288. ভারতে সবুজ বিপ্লবের (Green Revolution) জনক হলেন ডঃ এম. এস. স্বামীনাথন।
  289. ভারতে শ্বেত বিপ্লবের (White Revolution) জনক হলেন ডঃ ভার্গিস কুরিয়েন (দুগ্ধ উৎপাদন)।
  290. BT কটন হল একটি জেনেটিক্যালি মডিফাইড শস্য যা কীটপতঙ্গ প্রতিরোধী।
  291. হাইড্রোফোনিক্স হল মাটি ছাড়া জলে গাছ লাগানোর পদ্ধতি।
  292. মানব শারীরবিদ্যার গভীরতর ধারণা (Advanced Human Physiology)
  293. হৃৎপিণ্ডের ডান অলিন্দ ও ডান নিলয়ের মধ্যে ট্রাইকাসপিড বা ত্রিপত্রক কপাটিকা থাকে।
  294. হৃৎপিণ্ডের বাম অলিন্দ ও বাম নিলয়ের মধ্যে বাইকাসপিড বা মাইট্রাল কপাটিকা থাকে।
  295. হৃৎপিণ্ডের 'লাব' শব্দটি কপাটিকা বন্ধ হওয়ার কারণে সৃষ্ট প্রথম শব্দ এবং 'ডাব' শব্দটি দ্বিতীয় শব্দ।
  296. মানবদেহের বৃহত্তম ধমনী হল অ্যাওর্টা বা মহাধমনী।
  297. করোনারি ধমনী হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ করে; এখানে ব্লকেজ হলে হার্ট অ্যাটাক হয়।
  298. রক্তরসের প্রধান উপাদান হল জল (প্রায় ৯০-৯২%)।
  299. রক্তের অসমোটিক চাপ নিয়ন্ত্রণকারী প্রধান প্রোটিন হল অ্যালবুমিন।
  300. মানুষের শ্বসনতন্ত্রের বায়ুথলিকে (যেখানে গ্যাসীয় বিনিময় হয়) অ্যালভিওলাই বলে।
  301. খাবার গেলার সময় শ্বাসনালীকে ঢেকে রাখে এপিগ্লটিস নামক ঢাকনা।
  302. আমাদের গলার স্বরযন্ত্রকে ল্যারিংস (Larynx) বলা হয়।
  303. বৃক্কের গ্লোমেরুলাস রক্ত পরিস্রাবণের (Ultrafiltration) কাজ করে।
  304. বৃক্কের অকার্যকারিতায় রক্ত পরিশোধন করার কৃত্রিম পদ্ধতিকে ডায়ালিসিস বলে।
  305. গুরুমস্তিষ্কের দুটি গোলার্ধকে যুক্ত করে কর্পাস ক্যালোসাম।
  306. দেহের রিফ্লেক্স আর্ক বা প্রতিবর্ত চাপের পথটি হল: গ্রাহক অঙ্গ → সংজ্ঞাবহ নিউরোন → সুষুম্নাকাণ্ড → আজ্ঞাবহ নিউরোন → কারক অঙ্গ।
  307. মানবদেহের দীর্ঘতম স্নায়ু হল সায়াটিক নার্ভ।
  308. মানুষের পাঁজরে মোট ১২ জোড়া বা ২৪টি হাড় থাকে।
  309. প্রথম ৭ জোড়া পাঁজরকে আসল পাঁজর (True Ribs) বলা হয়।
  310. পিভট সন্ধি (Pivot joint) আমাদের ঘাড়ে দেখা যায়, যা মাথা ঘোরাতে সাহায্য করে।
  311. স্যাডল সন্ধি (Saddle joint) বুড়ো আঙুলে পাওয়া যায়।
  312. অগ্ন্যাশয় হল একটি মিশ্র গ্রন্থি কারণ এটি একসাথে উৎসেচক (বহিঃক্ষরা) এবং হরমোন (অন্তঃক্ষরা) উভয়ই নিঃসরণ করে।
  313. স্বাস্থ্য, রোগ ও অনাক্রম্যতা (Health, Disease & Immunity)
  314. টাইফয়েড রোগ নির্ণয়ের জন্য উইডাল টেস্ট (Widal Test) করা হয়।
  315. এইডস (AIDS) রোগ নির্ণয়ের জন্য এলিসা টেস্ট (ELISA Test) করা হয়।
  316. যক্ষ্মা (TB) রোগ ফুসফুসকে আক্রান্ত করে।
  317. জন্ডিস রোগ যকৃৎকে (Liver) আক্রান্ত করে এবং এর ফলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়।
  318. মায়ের দেহ থেকে গর্ভস্থ শিশুর দেহে অ্যান্টিবডি স্থানান্তরিত হওয়া হল একটি প্রাকৃতিক নিষ্ক্রিয় অনাক্রম্যতার (Natural Passive Immunity) উদাহরণ।
  319. টিকাকরণের মাধ্যমে দেহে কৃত্রিম সক্রিয় অনাক্রম্যতা (Artificial Active Immunity) তৈরি করা হয়।
  320. সাপের বিষের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত অ্যান্টি-ভেনম হল এক প্রকার কৃত্রিম নিষ্ক্রিয় অনাক্রম্যতা।
  321. পোলিওর ওরাল ভ্যাকসিন (OPV) হল একটি জীবন্ত ক্ষয়প্রাপ্ত (Live attenuated) টিকা।
  322. 'হাইড্রোফোবিয়া' বা জলাতঙ্ক হল র‍্যাবিস রোগের একটি লক্ষণ।
  323. উদ্ভিদ ও প্রাণী জগতের বিশেষ তথ্য (Specifics of Plant & Animal Kingdom)
  324. দ্বি-নিষেক (Double Fertilization) গুপ্তবীজী উদ্ভিদের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।
  325. উদ্ভিদের 'স্ট্রেস হরমোন' বলা হয় অ্যাবসাইসিক অ্যাসিডকে (ABA), যা পত্ররন্ধ্র বন্ধ হতে সাহায্য করে।
  326. অক্সিন হরমোন উদ্ভিদের অগ্রস্থ প্রকটতা (Apical dominance) নিয়ন্ত্রণ করে।
  327. জাইলেমের ট্রাকিড, ভেসেল ও তন্তু মৃত উপাদান, কিন্তু জাইলেম প্যারেনকাইমা সজীব।
  328. ফ্লোয়েমের সিভনল, সঙ্গীকোষ ও ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা সজীব, কিন্তু ফ্লোয়েম তন্তু মৃত।
  329. যান্ত্রিক দৃঢ়তা প্রদানকারী উদ্ভিদ কলা হল স্ক্লেরেনকাইমা।
  330. ডিম পাড়ে এমন স্তন্যপায়ী প্রাণী হল প্লাটিপাস (হংসচঞ্চু) এবং একিডনা।
  331. ফুসফুসীয় মাছ বা লাংফিশ হল মাছ ও উভচরের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী প্রাণী।
  332. কেঁচো হল একটি উভলিঙ্গ (Hermaphrodite) প্রাণী।
  333. জৈব অণু ও বিবিধ (Biomolecules & Miscellaneous)
  334. উৎসেচক বা এনজাইম রাসায়নিকভাবে প্রোটিন দ্বারা গঠিত।
  335. উৎসেচক জৈব অনুঘটক (Biocatalyst) হিসেবে কাজ করে যা বিক্রিয়ার হার বাড়ায়।
  336. সবাত শ্বসনের গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়া কোষের সাইটোপ্লাজমে ঘটে।
  337. ক্রেবস চক্র মাইটোকন্ড্রিয়ার ম্যাট্রিক্সে সম্পন্ন হয়।
  338. অবাত শ্বসনের ফলে পেশিতে ল্যাকটিক অ্যাসিড এবং ঈস্টে ইথাইল অ্যালকোহল ও CO2 তৈরি হয়।
  339. বংশগতির ভৌত ভিত্তি হল ক্রোমোজোম এবং রাসায়নিক ভিত্তি হল DNA।
  340. বংশগতির কার্যকরী একক হল জিন।
  341. ফেনোটাইপ হল কোনো জীবের বাহ্যিক প্রকাশিত বৈশিষ্ট্য।
  342. জিনোটাইপ হল কোনো জীবের জিনগত গঠন।
  343. মধুর প্রধান শর্করা উপাদান হল ফ্রুক্টোজ।
  344. খাদ্যশৃঙ্খলে DDT-এর মতো অজৈবভঙ্গুর পদার্থের সঞ্চয়কে জৈব বিবর্ধন বা বায়োম্যাগনিফিকেশন বলে।

আশা করি, এই Biology ওয়ান লাইনারগুলি আপনাদের রেলওয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে অনেক সাহায্য করবে। এই পয়েন্টগুলি বার বার রিভিশন করুন এবং নিজের প্রস্তুতিকে মজবুত করে তুলুন। আপনাদের সকলের জন্য শুভকামনা রইল।

Bigyanbook

লেখাটি কেমন কমেন্ট করে জানান। শেয়ার করুন এই পেজটি। পড়ুন অন্যান্য পোস্টগুলিও। youtube facebook whatsapp email

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন

Post Note

PDF